যখন ঘড়ির ঘণ্টা পড়ল, আমি অজানা এক আকর্ষণে পিছে ঘুরে তাকালাম। ঘুরে দেখি তুমি! তখন কি তোমায় আমি চিনতাম!
তোমায় দেখে মনে হয়েছিল, মানুষ এত সুন্দরও হয়! তবে এদের দিকে তাকাতে নেই। কেননা আমার জন্য কোন দেবদূত তৈরি হয়নি, জানি। আমি যেমন খুব সাধারন ও স্বাভাবিক একজন মানুষ, আমার জন্য তেমনই একজন সাধারন মানুষ তৈরি করা হয়েছে। মানুষের সাথে দেবতাদের মিলন তো শুধু কল্পকথাতেই সম্ভব হয়।
এতকিছু ভেবে যেই আবার সামনে ঘুরে হাঁটা শুরু করব, পিছ থেকে ডেকে উঠলে আমার নাম ধরে!! ডাক শুনে আমার আত্মাটা তড়াক করে লাফিয়ে হাতে চলে আসল!! কাঁপতে কাঁপতে পিছে ঘুরে তাকালাম।
জানোই তো, অতি আকর্ষিত মানুষের দিকে তাকানো অতি সাহসের বিষয়, আমার অত সাহস তো আগে ছিলনা। এখন অনেক সাহস হয়ে গেছে অবশ্য। অনেক দ্বিধা ও সাহস নিয়ে পিছে ঘুরে তাকিয়ে দেখি, ক্লাসের ঐ ভ্যাদা সাজিদটা ডাকছে। সাজিদের সাথে আগে কখনো কথা হয়নি তাই ওর কণ্ঠটা অপরিচিত ছিল।
রাগ যা হচ্ছিল না, ব্যাটার উপর…… আবার একটু কৃতজ্ঞতাও ছিল, ওর জন্য তোমাকে নতুন করে দেখতে পেলাম।
____ তুমি কি সেমিনারে যাচ্ছ?
____ হুম।
____ আমিও সেমিনারে যাচ্ছি, রিমতি। চল, একসাথে যাই।
আমিও একটু ভাব নিয়ে সাজিদের সাথে সামনে এগোচ্ছিলাম কিন্তু মাটি আমার পা শক্ত করে আটকে রাখছিল। আর তুমি.. আমাকে পেছনে টানছিলে।
আমি যাব কেন!! তুমি তো দেবদূত। আর দেবতাদের বিশেষ মহিমা থেকে সর্বদা দূরে থাকায় শ্রেয়।
সেমিনারের উপস্থাপক হিসেবে তোমায় দেখলাম দ্বিতীয়.. ওহ, স্যরি তৃতীয়বার। অপলক দৃষ্টিতে তোমার সৌন্দর্য উপভোগ করার পর একটা বিষয় খুব ভালভাবে উপলব্ধি করলাম, স্বর্গীয় সবকিছু শুধু মোহ-ই দেখাতে পারে। স্বর্গীয় বিষয়গুলো শুধুই কল্পনীয়, বাস্তবে এর কোন ভিত্তি নেই। কিন্তু তাই বলে কি আর থেমে থাকা যায়!! স্বর্গীয় বিষয়ের প্রতি মানুষের আকর্ষণ তো বরাবরই।
To be continued....
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০১৬ রাত ১০:১২