somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মুক্ত গণ-মাধ্যম-ভাবনার নতুন প্লাটফর্ম: স্রেফ শুভেচ্ছা

১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

বিডিনিউজ ব্লগ বিষয়ে কিছু বলবো এই জন্য নয়, স্রেফ শুভেচ্ছা জানানোই এই নোটের উদ্দেশ্য। বহুত আগে, আমার সঠিক সময় এবং তারিখটা মনে নেই, আমি সামহোয়ারইন ব্লগে লেখালেখি শুরু করার কিছুদিন পরই সম্ভবত- প্রথম বিডিনিউজ ব্লগ পরীক্ষামূলক শুরু হয়েছিলো। তখনো বাংলা ব্লগ-রাজ্য সম্পর্কে আমার ধারণা অনেকটাই কম, এখনো যা যথেষ্ট অল্পই আছে। স্রেফ রিফাত হাসান নামে একটা নিক নিয়ে রেখেছিলাম। আমার মনে আছে তখনকার রিফাত নামের বানানটা ইংরেজিতে লিখতে হয়েছিল। তখন ওখানে লেখালেখি করা হয় নাই আর। এইবারের শুরু সম্ভবত আরো নতুন আইডিয়াসহ। গতকালকে এবং আজকে পরপর দুটি মেইল পেয়েছি ব্লগ-কর্তৃপক্ষের আজকের উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ পেয়ে। প্রথমটি কৌশিক আহমেদ এর, তিনি ব্যক্তিগতভাবে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এই অনুষ্ঠানে। তার আগে জি-টকে আলাপচারিতায় জেনেছিলাম তিনি এই ব্লগের এডমিন এর দায়িত্ব নিয়েছেন। আজকে ব্লগ টিমের পক্ষ থেকে আইরিন সুলতানার আর একটি মেইল পেলাম। মূলত ব্যক্তি নামের মেইল পেয়েই এই ব্লগ এবং ব্লগ টিমের প্রতি কিছুটা নৈকট্য-বোধ এবং না যেতে পারায় অন্তত শুভেচ্ছা জানানো কর্তব্য মনে করছি।

আমি চাটগাঁ থাকি, ব্যক্তিগত জীবন যাপনে অনেকটা অসামাজিক গোছের একজন। যদিও মানুষের ‘রাজনৈতিকতা’ নামে যে ব্যাপারটিকে অত্যধিক গুরুত্বপূর্ণ মনে করি আমি, তার জন্য এই সামাজিক মেলা মেশা এবং আদান প্রদানের ঘন-ঘটা খুব জরুরী। তবু, এইসব অনুষ্ঠানে মূলত অনুপস্থিত থাকাটাই আমার স্বভাব। তাই ব্লগে বহুদিন ধরে লেখালেখি করেও এই জগতের প্রভূত লোকজনদের সাথে আমার মুখোমুখি দেখা হয় নাই কখনো। এমন কি আমি যে অঞ্চলে থাকি পারতপক্ষে সেখানকার কবি-সাহিত্যিক-লেখক সম্প্রদায়ের সাথেও তেমনতরো মেশা হয় না, কিছু জিগরি বন্ধু বান্ধব ছাড়া। এই জিগরি বন্ধু-বান্ধবদের অনেকেও জানে না যে ব্লগ নামক একটা জায়গায় আমি মাঝে মধ্যে কিছু জঞ্জাল লিখি। কখনো যদি শোনে তখন বলে, ব্ল-গ-, অইটা আবার কী জিনিশ? কিছুদিন আগে এক পরিচিত শ্রদ্ধেয় বন্ধুজন- যিনি বেশ ভাল রাজনীতি-সচেতন, অসম্ভব ভালো কবিতা লেখেন, চায়ের আড্ডায় পত্র-পত্রিকার কলাম এবং টিভি টকশোগুলোর তুখোর সমালোচক- চায়ের বুদবুদের ভিতরেই রাজনৈতিক পরিবর্তনে রীতিমত জেহাদ চালিয়ে যান- আমার মতই রবীন্দ্র-সঙ্গীত এবং শিল্পের অন্যান্য অনুসঙ্গের প্রতি বাঙালী জাতীয়তাবাদের পৌত্তলিক আগ্রহকে প্রশ্ন করতে ভালবাসেন- তাকে একদিন সসঙ্কোচে বিডিনিউজের মতামত-বিশ্লেষণ কলামে আমার প্রকাশিত একটি লেখার কথা বলি- প্রাসঙ্গিক আলোচনার খাতিরে। তাঁর সাথে আমার প্রাথমিক কথাবার্তা নিম্নরূপ:

লেখাটা কোথায় প্রকাশিত হয়েছে?

বিডিনিউজ-এ।

হাঁ, নাম শুনেছি। অইটা কি কোন পত্রিকা?

নাহ। তবে পত্রিকার মতই। নেটে বসে পড়া যায়।

ওহ। আচ্ছা। প্রথম আলোতে লেখা প্রকাশিত হলে ওইটা বেশি গুরুত্ব বহন করে, নাকি বিডি নিউজে?

কেন এমন কথা বলছেন?

নাহ। নেট একটা লেখার জায়গা হলো? ওইটা কজন পড়ে? তার চেয়ে তোমার এই লেখা যদি প্রথম আলো-সমকাল-যুগান্তর- এমনকি নয়া-দিগন্তের মতো কোন পত্রিকায়ও ছাপা হতো তাহলে বুঝা যেত গুরুত্বপূর্ণ কিছু হচ্ছে।

অগত্যা বুঝলাম আমার সংকোচটাই ভাল ছিল। আমার অসামাজিক সংকোচের জয় হোক। তাঁর সাথে মূল বিষয়েও আর কোন আলোচনা এগোল না। মানুষের পৌত্তলিকতার শেষ নেই। প্রিণ্ট মিডিয়ার প্রতি এই অ-পৌত্তলিক মানুষের যে পৌত্তলিক আগ্রহ এবং আনুগত্য তাকে টলানো আপাতত আমার কর্তব্যের মধ্যে পড়ে না। অপ্রিয় তথ্য হলো, বাংলাদেশের এইসব প্রতাপশালী প্রিন্ট মিডিয়াগুলোতে আমার এই শ্রদ্ধেয় বন্ধুর পাঠানো অসম্ভব ভালো কবিতাগুলোর স্তূপ পড়ে আছে- তার কোন লেখা এইসব মিডিয়ায় প্রকাশিত হয় নাই। কতক সম্পাদকীয় নীতি- কতক দলবাজিতা- কতক আরো বিবিধ অনুসঙ্গ কাজ করে এইসব না-ছাপানোতে।

আমি প্রিণ্ট মিডিয়ায় লেখার বিরুদ্ধে নই। কিন্তু, মুক্ত গণ-মাধ্যম-এর যে স্বাধীনতা তা আর কোথাও সম্ভব নয়। ব্লগ হলো মুক্ত গণ-মাধ্যম। এর মূল স্পিরিট হলো কোনরকম সম্পাদকীয় নীতির খড়গ ছাড়াই লেখালেখি করতে পারা। আমি এই ব্যাপারটি ভালবাসি। তাই এই মাধ্যমটির প্রতি আত্মীয়তা কখনো কমবে না আমার।

বিডিনিউজ ব্লগের প্রতিও তাই আমার শুভেচ্ছা ও শুভকামনা। পাশাপাশি ব্লগের মডারেশন নীতিমালা সংক্রান্ত সামহোয়ারইনে প্রকাশিত আমার পুরনো একটা লেখার লিঙ্ক এখানে জুড়ে দিলাম।

সামহোয়ারইনের মডারেশন নীতিমালা: একটি ভিন্ন পর্যবেক্ষণ
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১১ সকাল ১০:১৭
১১টি মন্তব্য ১০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×