somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হঠাৎ স্বর্ণকেশী! (পর্ব ২২)

০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


পালকের মত হালকা টাইটানিয়ামের ফোল্ডিং ক্রাচটা নেড়েচেড়ে দেখে লতার হাতে ফিরিয়ে দিলাম। সে এক ঝটকায় সেটা খুলে পরে নিল। নীলচে ধাতব ফ্যাশনেবল ক্রাচে লতাকে বায়োনিক ওম্যান বায়োনিক ওম্যান লাগছে। ঝকঝকে চেহারায় মন খারাপের চিহ্নমাত্র নেই। নিয়তিকে মেনে নেয়া আর মানিয়ে নেয়ার জন্যে লতাকে মেডেল দেয়া উচিত। সেখানে লেখা থাকবে, “ফিনিক্স পাখির জন্যে এক আকাশ ভালবাসা।“ না না, ‘শুভেচ্ছা’; শুভেচ্ছাই ভাল। নিরীহ শব্দ। উল্টা পাল্টা কথা লিখে আবার ‘মেইড ইন জার্মানি’ টাইটানিয়াম ক্রাচের আঘাতে বেঘোরে প্রান হারাবার ইচ্ছে নেই।

লতার এই চেহারার সাথে সেদিনের চেহারা আকাশ আর পাতাল। আমি পঁচাত্তর ভাগ নিশ্চিত এই মেয়ের বাই পোলার গোছের অসুখ আছে। গত এক সপ্তাহ নাওয়া খাওয়া ছেড়ে একঘরে নিজেকে বন্দি করে রাখা লতার কান্ড কারখানায় অতীষ্ঠ হয়ে ফ্রাউ কেলনার খবর দিয়েছিলেন। চাপাচাপিতে গিয়েছিলাম বটে। কিন্তু লতার ঘরে শ’খানেক টোকা দেবার পর লাভের লাভ যা হল, সে দরজাটা সামান্য ফাঁক করে সমগ্র বাংলাদেশ পাঁচ টন ওজনের এক ডাক্তারি বই ছুড়ে মারল। চট করে মাথা সরিয়ে স্পট ডেড হবার হাত থেকে বাঁচলাম। রণে ভংগ দিয়ে কোনমতে জান হাতে ফিরে আসতে হয়েছিল সেদিন।

তাই আজকে যখন সে নিজ থেকে দেখা করতে চাইল, তখন অবাকই হলাম। কিন্তু খুশিমনেই লাঞ্চের সময়টুকু তার জন্যে বরাদ্দ রাখলাম। টাই খুলে ফাঁসমুক্ত হয়ে জ্যাক উলফস্কিনের স্পোর্টস জ্যাকেটটা চাপিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। কাছের ক্যাফেটেরিয়ায় টুকটাক কিছু খেয়ে নিয়ে কাগজের কফি কাপ হাতে এগোচ্ছি দু’জন। সামনের ট্রাম স্টেশনে লতাকে বিদায় জানিয়ে ফিরে যাব। এই লতাবিহীন সাতটা দিনকে মনে হয়েছে যেন সাত বছর। সে খবর কি কেউ রাখে? থাক, মামুলি খবর রাষ্ট্র করে কাজ নেই। তার চেয়ে লতার কথা শোনায় মন দিলাম। এই এক সপ্তাহ লতা নাকি ঘরে বসে নেট ঘেটে বিস্তর গবেষনা করে এই ক্রাচ খুঁজে বের করে আমাজন থেকে অর্ডার দিয়ে অপেক্ষায় ছিল। আজকে পার্সেল হাতে পৌঁছাতেই সে আড়মোড়া দিয়ে ঘর থেকে বেরিয়েছে। আগের হোঁৎকা বেঢপ ক্রাচে নাকি অসুখ অসুখ গন্ধ।
লতার চলার গতি এতই স্বাভাবিক যে বোঝাই যাচ্ছে না, ক্রাচের আশ্রয়ে চলছে তার এক পা। ভাল জিনিসই খুঁজে বের করেছে দেখা যাচ্ছে। উৎফুল্লচিত্তে মাথা নেড়ে, কাঁধ ঝাকিয়ে কিশোরীর চপলতায় কথা বলে যাচ্ছে লতা। তার আনন্দটুকু আস্তে আস্তে আমার পুরো ভেতরটা জুড়ে ছড়িয়ে পড়ছে। সেটুকু লুকানোর প্রানান্ত চেষ্টায় যখন অস্থির, তখন হঠাৎ কোথা থেকে বেয়ারা বাতাস এসে লতার খোলা চুল উড়িয়ে এনে মুখের ওপর ফেলল। সোনালি রেশমের নরম ছোঁয়ায় আর ল্যাভেন্ডারের তীব্র ঘ্রানে মুহূর্তেই মাতাল হয়ে টলে উঠলাম যেন। সব কেমন ঝাপসা দেখাচ্ছে। থমকে গিয়ে লম্বা একটা নিঃশ্বাস নিতে চাইলাম। লতা ঘাবড়ে গিয়ে জিজ্ঞেস করল, ‘অনীক, শরীর খারাপ লাগছে নাকি?’ ‘নাহ্ তো!’ সামলে নিতে নিতে হাত ঘড়িটার দিকে তাকিয়ে উত্তর দিলাম।

সহজ হয়ে নিয়ে তাড়াতাড়ি যোগ করলাম, ‘তোমাদের যাওয়া কবে?’ লতা রহস্য করে বলল, ‘সেটা বললে কি দেবে?’ মনের কোনে হালকা আশা যে, লতা বলবে তার যাওয়া হচ্ছে না। কিন্তু তাজ্জব করে দিয়ে লতার উত্তর আসল তারা এবারও বাংলাদেশ যাচ্ছে। সামনের সপ্তাহে। শেষ মুহূর্তে ওরা সিদ্ধান্ত বদলেছে। নতুন দেশে গিয়ে নতুন অভিজ্ঞতার দরকার নেই। বরং আগের অভিজ্ঞতা থাকায় বাংলাদেশে গিয়ে কাজটা সহজ হবে, এই যুক্তি তাদের।

জায়গাটার নাম “কারিগ্রাম”। লতা সাগ্রহে বলেই চলছে, ‘নামটা কারিগ্রাম কেন, সেখানে কি ভাল কারি পাওয়া যায়?’ আমি তখনও খবরটা হজম করে উঠতে পারি নি। তার মাঝেই বললাম, ‘নামটা বোধহয় ‘কুড়িগ্রাম’ হবে।‘ আর মনে মনে বাংলাদেশের মানচিত্র ঘেঁটে বের করার চেষ্টা করছি কুড়িগ্রামটা কোথায়। আহ্, পেয়েছি, কুড়িগ্রাম, রংপুর বিভাগ, উত্তরবংগ। কিন্তু লতারা দল বেঁধে বাংলাদেশে গেলে আমি কি করব? আমার তো ছুটি মিলবে না এবার। তাই উদাস দৃষ্টি ছুড়ে দুপুরের নীল আকাশে ভেসে যাওয়া মেঘগুলোর ভেতর হাতি-ঘোড়া খুঁজতে লাগলাম। আদার ব্যাপারী হয়ে জাহাজের খোঁজে আর কি লাভ? তবুও নেহাৎ ভদ্রতা করে জানতে চাইলাম, ‘কতদিনের জন্যে যাওয়া হচ্ছে?‘ আমার নির্লিপ্ততায় আহত হয়েই কিনা জানি না, ছোট করে উত্তর আসল, ‘তিন সপ্তাহ’। তার মানে একুশ দিন?! ততদিনে মিউনিখের রাস্তায় কোন একজনকে ডাঙ্গায় তোলা মাছের মত খাবি খেতে খেতে ঘুরতে দেখা যাবে।

লতাকেও আর বেশি কিছু বলতে শোনা গেল না। এর মানে কি ভেবে কুলাতে পারলাম না। আমার ছুটির কথা তো লতার জানার কথা। ট্রাম এসে গেছে। ট্রামকে এখানে বলে ষ্ট্রাসে বান। বায়োনিক ওম্যান ফ্রাউ শার্লট তার টাইটানিয়াম ক্রাচে ভর দিয়ে অবলীলায় তাতে চেপে বসল। ফুরিয়ে যাওয়া কফিকাপটা সামান্য তুলে তাকে বিদায় জানালাম। ষ্ট্রাসে বান বিন্দু হয়ে ছুটে চলল। নিখুঁত নিশানায় কাপটা ঝুড়িতে ছুড়ে অফিস বরাবর পা চালাবো আর শ্বাসকষ্টটা আবার পেয়ে বসল। ভারি উতপাৎ তো! কোন অগোচরে কে যে কার নিঃশ্বাসের বাতাসটুকু কেড়ে নিয়ে পালায়, কে তা বলতে পারে?

পকেটে মুঠোফোনটা কেঁপে উঠে জানান দিল, হাওয়ায় উড়ে ছোট্ট একটা চিঠি এসেছে। আঙ্গুলের স্পর্শে মেলে ধরে দেখি তাতে লেখা, “শনিবারে ফ্লাইট। এয়ারপোর্ট অবধি কি পৌঁছে দেয়া যায়?” ঠোঁটের কোনে অব্যক্ত হাসি ফুটিয়ে লিখে দিলাম, “জো হুকুম, মহারানি!” তারপর আরো একটা লাইন জুড়ে দিলাম। কি ভেবে আবার মুছেও দিলাম। বলা আর না বলা কথার চিঠি পায়ে বেঁধে উড়ে গেল অদৃশ্য শ্বেত পায়রাটা।

দেখতে দেখতে শনির পিঠে ভর করে শনিবার চলে আসল। অফিস ছুটির দিন বলে সুবিধে হয়েছে। কিন্তু ইচ্ছামত তুষার পড়ে শহরের অবস্থা দফারফা। ছোট ছোট কমলা প্লাউ ট্রাকগুলো রাস্তার বরফ সরিয়ে কুল পাচ্ছে না। ফ্রাউ কেলনারের গাড়ি করে লতাকে নিয়ে এসেছি। গাড়িতে দুই মহিলা প্রচুর কথা বলে মাথা ধরিয়ে দিয়েছে। সাবধানে চালাতে গিয়ে শিরা দপ্দপ্ করছে রীতিমত। সুবিধামত পার্ক করে টার্মিনাল এক-এ ঢুকে দেখি লতাদের দলটা জন্ডিস রঙের কটকটে জ্যাকেট পরে ভিড় করে দাঁড়িয়ে। হলুদ জ্যাকেটের বুকে বড় বড় করে লেখা ‘অ্যার্জটে ওনে গ্রেনজেন’। ডক্টরস্ উইথআউট বর্ডারস। লাগেজ ড্রপ আর চেক-ইন করবে বলে লতা তাদের সাথে চলে গেল। বলে গেল আবার এসে বিদায় নিয়ে যাবে।

ফ্রাউ কেলনারের জন্যে দৌড়ে গিয়ে ডোনাট আর আইস টি নিয়ে আসতে হয়েছে। এই শীতে কেউ আইস টি খেতে পারে জানা ছিল না। চুকচুক করে আইস টি খেতে খেতে ভদ্রমহিলা বকবক করেই চলছেন, বেশিক্ষন না খেয়ে থাকলে নাকি তার সুগার কমে গিয়ে মাথা ঘোরে, হ্যানো ত্যানো কি সব। হঠাৎ বলে বসলেন, ‘তোমরা কয় ভাইবোন, অনীক?’ ফ্রাউ কেলনারের লো সুগারের সাথে আমার ভাইবোনের কি সম্পর্ক বুঝলাম না। তাও বললাম, বড় তিন বোন, আর সবার ছোট আমি। কেন বলুন তো?’ ফ্রাউ কেলনার লতারা যেদিকে গিয়েছে সেদিকে ইশারা করে দুষ্টুমি হাসি হেসে বললেন, ‘এজন্যেই কি তুমি এত সেন্সিটিভ?’ প্রায় এক হালি বোন থাকলে যে লোকে সেন্সিটিভ হয়ে যায়, এই তথ্য ইনি কোথায় পেলেন? ধ্যুৎ, কি সব হাতির মাথা, ব্যাঙ্গের ছাতা মার্কা কথাবার্তা। বিরক্ত হয়ে বিড়ি ধরানো ভঙ্গিতে ঠোঁটে দুই আঙ্গুল চেপে ধরে উঠে দাঁড়ালাম লতার ফিরে আসার অপেক্ষায়।

লতা দলছুট হয়ে তাড়াহুড়া করে ছুটে আসছে। হাতে বেশি সময় নেই আর। তার গায়েও জন্ডিস জ্যাকেট। আর লাল কোট হাতে ধরা। হাঁপাতে হাঁপাতে এসে বলল, এটা বেশি ভারি হবে, গায়েরটা দিয়েই চলবে। বঙ্গদেশের শীতের দৌড় তার জানা আছে। রোবটের মত হাত বাড়িয়ে লতার কোটটা নিলাম। হায়, কে কার দেশে যাচ্ছে আর কে কার দেশে পড়ে থাকছে। ফোস করে একটা দীর্ঘশ্বাস বেরিয়ে গেল। লতাও দেখি ফোস করে দীর্ঘশ্বাস ফেলল। লতার এই কথাবিহীন খেলাটা আমি জানি। কিন্তু আজকে সে সেই খেলায় গেল না। মুখ ফুটে বলে বসল, ‘আচ্ছা, তাহলে, আসি‘। ভাঙ্গাচোরা হাসি ফুটিয়ে শুধু বলতে পারলাম, ‘হুমম্…’। লতার ফোন বেজে উঠতে এক পাশে সরে গিয়ে বাঁচলাম।

ম্যাক্স আর মায়ের সাথে দুই কথা সেরে লতা পায়ে পায়ে এদিকেই এগিয়ে আসল। আসতে থাকল, আসতেই থাকল। তার চোখে গভীর দুরভিসন্ধি। বেগতিক দেখে এক পা, দু পা করে পেছোতে থাকলাম। এ কোন বিপদ! এমন সময় মুশকিল আসান হয়ে ফ্রাউ কেলনার এসে সামনে দাঁড়ালেন। জানে পানি ফিরে পেলাম। লতা অগ্নিদৃষ্টি হেনে আমাকে ভস্ম করে দিয়ে ফ্রাউ কেলনারের সাথে কিচিরমিচির কি সব বলে উঠল। আমিও যেচে পড়ে মুখস্থ আউড়ে গেলাম, ‘ভালো থাকা হয় যেন, মজার মজার ছবি তুলে পাঠানো হয় যেন, ইত্যাদি ইত্যাদি’। আসল কথা, এখান থেকে বেরোতে পারলে হয় এখন। ছটফট লাগছে। হাত ঘামছে।

অস্বস্তিকর বিদায় পর্ব শেষ হল অবশেষে। মনেপ্রানে চাইছি লতা যেন একবারও পেছন ফিরে না তাকায়। তাকালেই জারিজুরি ফাঁস। তার উপর ফ্রাউ কেলনার আজকে জহুরির চোখ দিয়ে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখছেন আমাকে। কিন্তু ভোগান্তির আরো বাকি ছিল। টার্মিনালের পার্কিং থেকে গাড়ি বের করে মিনিট দশেক পর একটা বিরতি না নিয়ে আর পারা যাচ্ছিল না। ওয়াইপার চলছে ডানে বামে। তবুও উইন্ডশিল্ড অস্পষ্ট আর ঝাপসা লাগছিল। বুঝলাম, সমস্যাটা ওয়াইপারের না। অন্যকোথাও। এক পাশে গাড়ি থামিয়ে ফ্রাউ কেলনারকে ‘আসছি একটু’ বলে নেমে পড়লাম। আজকে শূন্যে মিলিয়ে যেতে পারলে ভাল লাগত। “এ্যাই অনীক, দেরি হচ্ছে যে। গাছে পানি দিচ্ছো নাকি?’ কথার বাহার দেখে চিলিক দিয়ে মাথায় রক্ত উঠে গেল। আমি বাঁচি না আমার জ্বালায়, আর উনি মজা লুটছেন। জোর করে বাষ্পটা গিলে ফেলে সেন্সিটিভিটির চৌদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধার করতে করতে গাড়িতে এসে বসলাম। সাঁই শব্দে মাথা বের করে তাকালাম। দেখলাম, অতিকায় ধাতব রাজহাঁসটা তার অ্যালুমিনিয়ামের ডানায় উড়িয়ে নিয়ে গেল লতাকে। (চলবে)

ড. রিম সাবরিনা জাহান সরকার: মিউনিখ, জার্মানি।
০৫.০২.২০১৯

আগের পর্ব এখানে
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ রাত ১:৩১
৫টি মন্তব্য ৫টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে লীগ আইডেন্টিটি ক্রাইসিসে জামাত

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৪৬


বাংলাদেশে রাজনৈতিক ছদ্মবেশের প্রথম কারিগর জামাত-শিবির। নিরাপত্তার অজুহাতে উনারা এটি করে থাকেন। আইনী কোন বাঁধা নেই এতে,তবে নৈতিক ব্যাপারটা তো অবশ্যই থাকে, রাজনৈতিক সংহিতার কারণেই এটি বেশি হয়ে থাকে। বাংলাদেশে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

লিখেছেন নতুন নকিব, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৪৩

সেকালের পাঠকপ্রিয় রম্য গল্প "অদ্ভূত চা খোর" প্রসঙ্গে

চা বাগানের ছবি কৃতজ্ঞতা: http://www.peakpx.com এর প্রতি।

আমাদের সময় একাডেমিক পড়াশোনার একটা আলাদা বৈশিষ্ট্য ছিল। চয়নিকা বইয়ের গল্পগুলো বেশ আনন্দদায়ক ছিল। যেমন, চাষীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×