somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কেজিবি নানুর চকলেট

২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ সকাল ১১:৩৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পেত্রা আর আমি আমাদের ছোট্ট অফিসটায় গাদাগদি করে বসি। সে আমাদের প্যাথলজি ইন্সটিটিউটের একজন সেক্রেটারি আর আমি এক মামুলি “সাইনটিস”, মানে সাইন্টিস্ট। তবে পেত্রা গবেষক না হওয়ায় আমার বুদ্ধিশুদ্ধির ঘাটতিটা ঠিক ধরতে পারে না। তাই তার সাথে আমার ভালো বনে গেছে।

আজকে অফিসে এসেই দেখি ফর্সা পেত্রা লাল হয়ে গেছে। তার নাকি হাঁসফাঁস লাগছে। আঁড়চোখে জানালার দিকে তাকাচ্ছে বারবার। বাইরে তেরো ডিগ্রির সকালটা হালকা কুয়াশায় ঢাকা। এর ভেতরে হাট করে জানালা খুলে দিলে এ্যানিমিক আমি বিপদে পড়ে যাব। সঙ্গীসাথী হাঁচি কাশির জ্বালায় গলায় বারো মাস ওড়না পেঁচিয়ে ঘুরি। আর সকালের জানালাটা একটু পরে এমনিতেই খুলতাম। একটা হিসাব আছে। ঠিক নয়টায় এই পথ দিয়ে পেটানো চেহারার কন্সট্রানশন ওয়ার্কারদের একটা দল হাতুড়ি-বাটালি কাঁধে হেঁটে যায়। তখন পেত্রা আর আমি হাওয়া খাওয়ার অজুহাতে জানালা খুলে গালে হাত দিয়ে উদাস দাঁড়িয়ে থাকি। ব্যাপারটা রুটিনে পড়ে গেছে।

নয়টা বাজতে আরো আধা ঘন্টা। কিন্তু পেত্রার অবস্থা দেখে মৃদু হেসে ইশারায় সায় দিয়ে দিলাম। সাথে সাথে সে ঝাঁপিয়ে পড়ে জানালা খুলে মাথা বের করে তার ফুরিয়ে যাওয়া ফুসফুসের ট্যাঙ্কিতে অক্সিজেন ঢোকাতে ব্যস্ত হয়ে গেল। বেচারার মেনোপজ চলছে। মেজাজ-মর্জির টানাপোড়েন লেগেই আছে। এই আজকে দিব্যি হাসিখুশি, তো কালকেই এক ছিঁচকাঁদুনে বলিউডি সিনেমা দেখে এসে রুমালে ফোওওওৎ করে নাক ঝাড়ছে। তার চেয়েও মুশকিলের ব্যাপার, ইদানিং সে বেশির সময় পাকা লংকার মত লাল হয়ে থাকে। রেগে টং থেকে না যদিও। বরং, এটাকে নাকি হট ফ্ল্যাশ বলে। মেনোপজের অংশ। মেনোপজ কথাটায় কেমন অসুখ অসুখ গন্ধ দেখে এর নতুন নাম দিয়েছি, “হট বেইব সিনড্রোম“। পেত্রাকে ক্ষ্যাপাতে প্রায়ই বলি, ‘হেই পেত্রা, আজকে তো দারুন লাগছে তোমাকে। একদম রেড হট চিলি বেইব!’ সাথে হালকা শিস, যেটা কিনা শিস না হয়ে ভেংচির মত শোনায়। শিস বা ক্ষ্যাপানো, কোনোটাতেই লাভ হয় না। উল্টো, পেত্রা হেসে গড়িয়ে পড়ে আর দেরাজ হাতড়ে অনেকগুলো চকলেট গুঁজে দেয়।

পেত্রার দেরাজ আলি বাবা চল্লিশ চোরের গুপ্তধন। সিসিম ফাঁক বলে হাতল ধরে টানতেই রঙ্গীন মোড়কে মোড়ানো লজেন্স-চকলেটগুলো হীরা জহরতের মত ঠিকরে পড়ে। ফারাক এটাই যে এই গুপধন ভান্ডারের খবর এই চার তলা দালানের তামাম লোকজন জানে। একটু পর পর কেউ না কেউ এসে অবলীলায় এক মুঠ চকলেট খামচে নিয়ে চলে যাচ্ছে। আবার এক আধ জন এসে শুধু হাত গুঁটিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কাজে ডুবে থাকা অন্যমনষ্ক পেত্রা মুখ না তুলে জিজ্ঞেস করে, ‘কি নেবে তুমি?’ পঞ্চাশ পেরোনো রাশভারী চেহারার প্যাথলজিস্টের কাছ থেকে ছোট্ট ছেলের লাজুক গলায় অনুচ্চ জবাব আসে, ‘গামি বিয়ার খাবো। শুধু কমলা আর সবুজ রঙেরগুলো।‘ পেত্রা তখন এক গাল হেসে কাজ থামিয়ে হরেক রঙের ভালুকে ভরা ঠোঙ্গাটা সামনে মেলে ধরে। ঠিক যেন পাড়ার দোকানদার।

তো আলি বাবার ভান্ডার ভেঙ্গে সকাল বিকাল জার্মান মন্ডা মিঠাই খেয়ে ভালই আছি। সমস্যা হচ্ছে, দাঁত সুরসুর করে মাঝে মাঝে। গেল বার আক্কলে দাঁত তোলার ঠিক আগ মুহূর্তে ডাক্তার বাবু আলপটকা বলে ফেলেছিল, সে নাকি একই সাথে ঘোড়ার ডাক্তার। এই চার পেয়ে প্রানীর দাঁত তুলতেও বেশ ওস্তাদ। তার কাছে আরেকবার দাঁত নিয়ে যাবার আগে ভাবতে হবে। ভাবনার সমান্তরালে চকলেট খাওয়াও চলছে সমান তালে।

যাহোক, গতকাল দেখেছি পেত্রার দেরাজে চকলেট বাড়ন্ত। আজোকে তাই বাসা থেকে একটা চালান নিয়ে এসেছি। ঘরে জমে স্তুপ হয়ে ছিল। স্তুপের পেছনে একজনের হাত আছে। আসতে যেতে দেখি অমায়িক চেহারার বয়স্ক ভদ্রমহিলা একটা নীল হাতব্যাগ ঝুলিয়ে ইতস্তত হেঁটে বেড়াচ্ছে। বেশ বোঝা যায়, তার বাসা কাছে পিঠেই। একবার তাকে দেখে হ্যালো বলেছিলাম। উত্তরে সে আর দশটা গোমড়ামুখো লোকের মত পাশ কাটিয়ে না গিয়ে বরং থমকে দাঁড়িয়ে দুই হাত নেড়ে কাছে ডেকে নিল। তারপর তুমুল বেগে একটা কথাই আওড়াতে লাগলো, ‘দোব্রো, দোব্রো...’। শুনে এ্যাবরা কা ড্যাবরা ছাড়া আর কিছুর সাথে মেলাতে পারলাম না। কেমন সন্দেহ হল, কোন কালো যাদুকরী তুকতাক নয় তো আবার?

যাহোক, বহু কষ্টে বোঝা গেল, তার বাড়ি রাশিয়ায়। এক অক্ষর জার্মান জানেন না। ছেলের কারনে জার্মানিতে এসে থাকা। এখন বন্ধুহীন একঘেয়ে অবসর সে হেঁটে বেড়িয়ে কাটিয়ে দিচ্ছে। খানিক বাদে দোব্রো দোব্রো’র দাবড়ানি থেকে যখন ছাড়া পেলাম, তখন দেখি নীল ব্যাগ খুলে সে ইট আকৃতির একটা চকলেট বার বাড়িয়ে ধরেছে। জবরদস্তিতে পড়ে নিতেই হল। কাগজের গায়ে হিজ বিজ ভাষা দেখে বুঝলাম, এ তার দেশীয় জিনিস। তারপর থেকে দেখা হলেই সে প্রায় দৌড়ে এসে জাপটে ধরে। কাঁধে মাথায় হাত বুলিয়ে রাশিয়ান ভাষায় কিচির মিচির চলে মিনিট দুই। যার সারমর্ম, সে নাকি একজন বাবুশ্কা আর আমি নাকি দোব্রো। এতদিনে জেনে গিয়েছি যে দোব্রো মানে ‘ভাল, মোটামুটি কি চলনসই’ আর বাবুশ্কা মানে নানি বা দাদী। তো রাশিয়ান নানুর সামনে পড়া মানেই হাত ভর্তি চকলেট নিয়ে বাড়ি ফেরা।

সেখান থেকেই আজকে পেত্রার দেরাজে চালান দেবার জন্যে এক পোটলা চকলেট এনেছি। থলি উপুড় করতেই অনেকগুলো হাঁস হুড়মুড় করে বেড়িয়ে এল। গোলাপি কাগজে মোড়া চকলেট হাঁস। একটা খেয়ে দেখেছি। বেহেশতি স্বাদ। মুখে দিলে মাখনের মত গলে যায়। পেত্রাও নিশ্চয়ই কয়টা খাবে আজকে। তার চেহারা লাল হবার সাথে মাত্রাতিরিক্ত চকলেট খাওয়ার একটা সমানুপাতিক ব্যাপার আছে।

বিকালে কাজ গুছিয়ে বাড়ি যাবার তোড়জোড় করছি। এদিকে পেত্রা এক কাপ হার্বাল চা নিয়ে বসেছে। চায়ের তিতকুটে ভেষজ ঘ্রানে সারাটা অফিস ছেয়ে গেছে। তবুও আপত্তি জানালাম না। এই চা নাকি তার ‘হট বেইব সিনড্রোম’কে কিছুটা হলেও ‘কুল’ রাখে। রাশিয়ান নানুর দেয়া একটা হাঁসও বিনা প্যাঁক প্যাঁকে চায়ের কাপ-পিরিচ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে আছে দেখছি।

হাঁসের মোড়ক খুলতে খুলতে পেত্রা হাঁক ছাড়লো, ‘উপহারটা নিও কিন্তু মনে করে।‘ ভুলেই গিয়েছিলাম জিনিসটার কথা। এই উপহার একজন নও মুসলিমের জন্যে। ছেলের মাত্রই মুসলমানি হয়েছে। বাটিক প্রিন্টের লুঙ্গি পড়ে আঙ্গুল উঁচিয়ে ভি চিহ্ন দেখানো চার বছরের ছেলের একটা হাস্যোজ্জ্বল ছবি পেত্রাকে দেখানো হয়েছে। লুঙ্গীম্যানের সাহসের নমুনা দেখে মুগ্ধ হয়ে সে বিশাল এক বাক্স খেলনা কিনে এনে আমার টেবিলে রেখে দিয়েছে।

শেষ মুহূর্তে কি সব কাগজ ঘাটছি। হঠাৎ কানে এল পেত্রা বিষম খেয়ে খক্ খকিয়ে বেদম কাশছে। তার হাতে আধ খাওয়া হাঁস। তারই এক টুকরো বোধহয় শ্বাসনালীতে ঢুকে গেছে। কাগজ ফেলে দৌড়ে আসলাম। ‘পেত্রা, কি হল, কি হল?’ ফ্যাসফ্যাসে গলায় উত্তর আসলো, ‘বুঝলাম না, খালি কাশি আসছে।‘ পিঠে চাপড় দিলে আবার হিতে বিপরীত হয় কি না ভেবে আমতা আমতা করছি। পেত্রা কাশতে কাশতেই বলল, ‘দাঁড়াও, গলায় কফ উঠে আসছে, ওয়াশ রুমে যাচ্ছি।‘

আমাকে মহা দুশ্চিন্তায় ফেলে পেত্রা টলতে টলতে বেরিয়ে গেল। হাঁস তো আমিও একটা আস্ত গিলেছি। কই, কিছুই তো হয় নি। কিন্তু পেত্রার তো মনে হয় ভীষন রকমের রিএ্যাকশন হচ্ছে। খানিক বাদে সে দেয়াল ধরে ধরে কোন মতে ফিরে আসলো। ‘জানো, দুপুরের লাঞ্চ সব বেরিয়ে গেল।‘ বলেই আবার কাশির রোল উঠলো।

শোরগোল শুনে নীলস্ চলে এসেছে। সে আমাদের ল্যাবেই পিএইচডি করে। নীল চোখের নীলস হতভম্ব হয়ে প্রশ্ন করলো, ‘ঘটনা কি এখানে? এ্যাই পেত্রা, তোমাকে এমন ফ্যাকাসে লাগছে কেন?’ কিন্তু যাকে জিজ্ঞেস করা হয়েছে, তার প্রায় জবান বন্ধ হবার জোগাড় হয়েছে। কাশতে কাশতেই কোনোমতে আঙ্গুল তুলে লেজের দিকটা খেয়ে ফেলা চকলেট হাঁসটার দিকে ইশারা করলো। পেত্রার ‘কাশ রহস্য’-এর উৎস যে এই হাঁস, সেটা বুঝতে নীলসের বাকি রইল না। আমিও কিছুটা যেচে পড়ে যোগ করলাম, এই চকলেটের যোগানদাতা স্বয়ং আমি। কিন্তু চকলেট খেয়ে এমন অ্যাানাফাইল্যাক্সিস হবে জানলে ভুলেও চকলেটগুলো পেত্রার দেরাজে রাখতাম না। তারপর ঘামতে ঘামতে বললাম, ‘চলো, ওকে হাসপাতালের ইমারজেন্সিতে নিয়ে যাই। রকম কিন্তু ভাল ঠেকছে না।‘ শুনে পেত্রা প্রবল বেগে আপত্তি জানালো, ‘না, না, খক খক, আমি ঠিক হয়ে গেছি, খক খক...’।

জার্মানদের জান কিছুটা কই মাছের প্রান। তাই পেত্রার ট্রিট্মেন্টের পরোয়া না করে নীলস্ বরং ডায়াগনোসিসের পেছনে লেগে গেল। ‘কি চকলেট ছিল এটা? মোড়ানো কাগজটা কই?’ বলেই বাতিল কাগজের ঝুড়ি থেকে পাকা গোয়েন্দার মত দুই আঙ্গুলের সাড়াশিতে চেপে দোমড়ানো গোলাপি রাংতাটা তুলে আনলো। এ তো দেখছি রাশিয়ান লেখাজোঁকা।‘ মাথা নেড়ে হড়বড় করে রাশিয়ান নানুর ইতিহাস বললাম। নীলসের চোখে ঝিলিক খেলে গেলো। সে কেঁচো খুড়তে শুরু করল।

‘রাশিয়ান? বটে। তা কতদিন ধরে তার দেয়া চকলেট খেয়ে যাচ্ছো?’ গোয়ান্দার কাজ সহজ করার জন্যে বললাম, ‘এই তো মাস দুয়েক। কিন্তু কই, আমার তো কিছু হয় নি কখনো।‘ নীলসে তার সোনালি দাড়ি-মোচের ফাঁক দিয়ে নাটকীয় ভঙ্গিতে বলল, ‘স্লো পয়জনিংয়ের কেস হতে পারে। তাই টের পাও নি। কিংবা আজকের হাঁসটায় হয়তো ওভার ডোজ ছিল‘। লাগাম ছাড়া কথা বার্তার তালগোল ঠাহর করে না হাঁ হয়ে গেলাম। নীলস্ এদিকে কথার তুবড়ি ছুটিয়েই চলছে, ‘দেখো গিয়ে তোমার রাশিয়ান নানু কেজিবি’র লোক ছিল এক কালে।‘ বোকার মত প্রশ্ন করলাম, ‘কি জিবি?’। উত্তর আসলো, ‘আরে কেজিবি, কেজিবি, মানে সোভিয়েত ইউনিয়নের গোয়েন্দা বাহিনী। ঐ যে যাদের হাজারে বিজারে গুপ্তচর ছিল। তোমার নানু হয়তো এমনি একজন ছিল এককালে। ব্যবসা গুটিয়ে জার্মানি এসে ঘাঁটি গেঁড়েছে। পুরানো স্বভাব যায় নি, তাই একে ওকে চকলেট খাইয়ে পয়জনিং করছে। হবি আর কি। এমন তো হতেই পারে, তাই না?‘

এইখানে পেত্রা আর না পেরে চিঁ চিঁ করে রাগী স্বরে বলল, ‘এ্যাই নীলস্, বাজে বকা থামাও দেখি। এমনিতেই মেয়েটা ভয়ে অস্থির। আর তোমার না অ্যানিমেল ডিসেকশন আছে ল্যাবে? যাও, যাও।‘ আমাকে হতভম্ব করে দিয়ে ধড়িবাজ নীলস্ একটা ধূর্ত শেয়াল মার্কা হাসি হেসে বলল, ‘তোমাকে ভয় দেখাতে তো দারুন মজা!’। বলেই সে হা হা অট্টহাসিতে ঘর কাঁপিয়ে ছুরি কাঁচি শান দিতে ল্যাবের দিকে রওনা দিল।

গা ঝাড়া দিয়ে হতভম্ব ভাবটে ঝেড়ে ফেলেছি। আর দেরি করার জো নেই। ট্রেন ধরতে হবে। পেত্রার অবস্থা একটু ভাল। এক হাতে খেলনার বাক্স আর আরেক হাতে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, ‘কেজিবি নানুর চকলেট খেয়ে কি একটা দশা হল আজকে। কিন্তু তুমি যেন আবার বেমক্কা মরে যেও না, কেমন? তাহলে আমি চরম ফাঁসা ফেঁসে যাবো।‘ পেত্রার চোখে কৌতূহল, ‘ফাঁসার কি হল?’ এবার আমিও নীলসের মত নাটকীয় গলায় বললাম, ‘তুমি পটল ফটল তুললে কালকের পত্রিকায় খবর আসবে, ‘চকলেট খেয়ে মৃত্যু। সন্দেহের তীর বাংলাদেশী বংশোদ্ভূত সহকর্মীর দিকে। তার সাথে আল-ফায়েদার যোগসাজশ খতিয়ে দেখছে জার্মান পুলিশ। এ ঘটনায় চ্যান্সেলর মার্কেল গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন...ইত্যাদি। সুতরাং, পেত্রা, তোমার কিছুতেই মরা চলবে না, বুঝলে?‘।

লাল টকটকে হট বেইব পেত্রা মুখ চেপে হাসছে আর কাশছে। কাশতে কাশতেই বলছে, ‘বাড়ি যাও, বাড়ি যাও। মরবো না, মরবো না। খক খক, খক খক...‘।

২২.০৯.২০১৯
মিউনিখ, জার্মানি
সর্বশেষ এডিট : ২৩ শে সেপ্টেম্বর, ২০১৯ রাত ৯:৩৫
১৫টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে...

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:০৯

ছিঁচকাঁদুনে ছেলে আর চোখ মোছানো মেয়ে,
পড়তো তারা প্লে গ্রুপে এক প্রিপারেটরি স্কুলে।
রোজ সকালে মা তাদের বিছানা থেকে তুলে,
টেনে টুনে রেডি করাতেন মহা হুলস্থূলে।

মেয়ের মুখে থাকতো হাসি, ছেলের চোখে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অহমিকা পাগলা

লিখেছেন আলমগীর সরকার লিটন, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১৪


এক আবেগ অনুভূতি আর
উপলব্ধির গন্ধ নিলো না
কি পাষাণ ধর্মলয় মানুষ;
আশপাশ কবর দেখে না
কি মাটির প্রণয় ভাবে না-
এই হলো বাস্তবতা আর
আবেগ, তাই না শুধু বাতাস
গায়ে লাগে না, মন জুড়ায় না;
বলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

হার জিত চ্যাপ্টার ৩০

লিখেছেন স্প্যানকড, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৩৩




তোমার হুটহাট
চলে আসার অপেক্ষায় থাকি
কি যে এক ছটফটানি
তোমার ফিরে আসা
যেন প্রিয় কারো সনে
কোথাও ঘুরতে যাবার মতো আনন্দ
বারবার ঘড়ি দেখা
বারবার অস্থির হতে হতে
ঘুম ছুটে... ...বাকিটুকু পড়ুন

জীবনাস্ত

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৪৪



ভোরবেলা তুমি নিশ্চুপ হয়ে গেলে একদম,
তোমার বাম হাত আমার গলায় পেঁচিয়ে নেই,
ভাবলাম,তুমি অতিনিদ্রায় আচ্ছন্ন ,
কিন্তু এমন তো কখনো হয়নি
তুমি বরফ জমা নিথর হয়ে আছ ,
আমি... ...বাকিটুকু পড়ুন

যে দেশে সকাল শুরু হয় দুর্ঘটনার খবর দেখে

লিখেছেন এম ডি মুসা, ১৮ ই এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:১১

প্রতি মিনিটে দুর্ঘটনার খবর দেখে অভ্যস্ত। প্রতিনিয়ত বন্যা জলোচ্ছ্বাস আসে না, প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার খবর আসে। আগে খুব ভোরে হকার এসে বাসায় পত্রিকা দিয়ে যেত। বর্তমানেও প্রচলিত আছে তবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×