somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

"পাঠাও" নিয়ে কিছু কথা

০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মোটরবাইক শেয়ার অ্যাপস "পাঠাও" ইতিমধ্যে বেশ জনপ্রিয়তা লাভ করেছে। রাজধানীর মধ্যে এই সার্ভিস এখন নারী-পুরুষ অনেকেই নিচ্ছেন। তবে তুলনামূলক ভাবে অর্থ ও সময় সাশ্রয়ী এই সার্ভিসটিকে ক্ষতিগ্রস্থ করতে একশ্রেণীর রাইডার কাজ করছেন। এরা নিজেরা লাভবান হচ্ছেন, কিন্তু বিরূপ প্রতিক্রিয়া/ পরিস্থিতির শিকার হচ্ছেন যাত্রীরা। আর পাঠাও কর্তৃপক্ষও আর্থিক ভাবে যেমন ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছেন, তেমনি তাদের সুনামও নষ্ট হবার হুমকি তৈরি হয়েছে।

"পাঠাও" রাইডারদের কমন একটি অভিযোগ হলো মোট ভাড়ার ২০% চার্জ হিসেবে পাঠাও কেটে নেয়। ফলে যেসব মোটরবাইকের মাইলেজ কম তারা স্বভাবতই চার্জের এই হারে অখুশি। এক্ষেত্রে আমার মতো অনেক যাত্রীকেই রাইডারদের একটি কন্ডিশনের কথা শুনতে হয়। সেটা হলো, পাঠাও অ্যাপসের বদলে কন্ট্রাক্ট বেসিস যেতে হবে। তাদের প্রস্তাবে রাজি না হলে অন্য রাইডার খুঁজতে বলেন। এ পর্যন্ত চার ভাবে এ ব্যাপারটি আমার কাছে অ্যাপ্রোচ করা হয়েছে।

১. রাইডার এলেন, তারপর সরাসরি জিজ্ঞেস করলেন কোন প্রোমো কোড অ্যাকটিভ করা আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমেই যাবেন, নতুবা কন্ট্রাক্ট বেসিস যাবেন। সেজন্য যে ভাড়াটি প্রথমে শো করে সেটির চেয়ে ১০/২০ টাকা বাড়িয়ে তারপর দামাদামি শুরু করেন।

২. রাইডার রিকোয়েস্ট অ্যাকসেপ্ট করে ফোনে সরাসরি বলেন যে তিনি অ্যাপসের মাধ্যমে যাবেন না। যদি যাত্রী রাজি হন তবেই তিনি আসবেন। নতুবা ক্যান্সেল।

৩. এই প্রকারের রাইডার বাইকে যাত্রী উঠানোর পূর্বমুহূর্তে বলবেন তার মোবাইলের ইন্টারনেট ডাটা বা চার্জ শেষ প্রায়। তাই যে ভাড়াটি অ্যাপসে প্রথমে শো করে সেটি থেকে ১০/২০ টাকা বাড়িয়ে ভাড়া দাবি করেন। এতে রাজি না হলে যা ভাড়া দেখায় সেটিই অন্তত দিতে বলেন।

৪. রাইড শুরু হয়েছে। দেড়/ দুই কিলোমিটার আসার পর রাইডার বাইক থামিয়ে বললেন অ্যাপস-ই তো চালু করিনি। তখন তিনি চালু করার ভান করে আবার অ্যাপসে দেখানো ভাড়াটি রাইডারকে দেখিয়ে বলবেন এই ভাড়াটি মনে রাখুন। আবার দেড়/ দুই কিলোমিটার আসার পর মোবাইল বের করে মোবাইল রিস্টার্ট দিয়ে বলবেন অ্যাপস চালুই হয়নি। মোবাইল হ্যাং করেছে। ফলে রাইড শেষ করে কিন্তু পূর্বে দেখানো ভাড়াটিই দিতে হয় যেহেতু অ্যাপসটি তো রাইডারে চালুই করেনি। অথচ যাত্রী নিয়েছে কিন্তু সে অ্যাপসের মাধ্যমেই। ২০% টাকা কমিশন বাবদ পাঠাওকে না দিয়ে মেরে দেবার জন্য এভাবে অ্যাপস চালু না করেই একশ্রেণীর রাইডার নিয়মিতই রাইড চালিয়ে যাচ্ছে।

এখন কথা হলো রাইডার ও যাত্রীর সেতুবন্ধন হয়েছে পাঠাও অ্যাপসের মাধ্যমে। সুতরাং, সেটিকে এড়িয়ে চলাটা তো আসলে অসততা। বেড়াই যদি ক্ষেত রক্ষার বদলে ভক্ষকের ভূমিকায় অবতীর্ণ হয় তখন স্বাভাবিক ভাবেই অসততার প্রশ্ন তো আসবেই।

অনেক সময় যাত্রীরা নিজেদের প্রয়োজনেই কন্ট্রাক্ট বেসিস যেতে রাজি হন। কিন্তু মূল ভূমিকা তো রাখেন একজন রাইডার। তিনি যদি সৎ থাকেন তবে এই বিব্রতকর পরিস্থিতির তো উদ্ভব হয় না। বিষয়টা পাঠাও-এর একজন নিয়মিত যাত্রী হিসেবে আমার জন্য অন্তত বেশ বিব্রতকর। পাঠাও কর্তৃপক্ষ আসা করি এ বিষয়টির প্রতি গুরুত্ব দেবেন।

প্রসঙ্গগত, উবারে যাত্রী বা চালক কেউ একজন ট্রিপ ক্যান্সেল করলেও হিস্ট্রিতে সেটি থেকে যায়, ফলে কমপ্লিন করার সুযোগ থাকে। কিন্তু পাঠাও-এ সেটি নেই। ফলে কোন যাত্রীরও সুযোগ থাকে না পরবর্তীতে কোন কিছু জানানোর।

আরেকটি বিষয় হলো, কেউ সাধারণত সব সময় অসৎ হতে চায় না। আমার মতে, পাঠাও যদি রাইডারদের কাছ থেকে এই চার্জ কমায় তবে এই সমস্যা আশা করি সলভ হবে। তখন অল্প কিছু টাকার জন্য এরকম অসৎ হওয়া মানুষের সংখ্যাও অনেক কমে যাবে।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা আগস্ট, ২০১৭ রাত ১২:০২
৫টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×