মুলত সাত দলের দাবীর প্রক্ষিতেই ১৯৮৬ সালের প্রহসনের নির্বাচনের আয়োজন করে এরশাদ। তবে এরশাদের ঐ নির্বাচনের আগেই পাঁচ দফায় পরিবর্তন আনেন জোট নেত্রী ১৯৮৫,১৮ ডিসেম্বর (দৈনিক ইনকিলাব) তারিখে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বদলে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন দাবী জানান প্রথমবারের মত। এভাবেই জন্ম নেয় নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্যাবধায়ক সরকার।
![]()
তবে আমাদের আওয়ামী মিডিয়ার কল্যানে আজ তত্যাবধায়ক সরকার থিউরী জামাত মস্তিষ্ক প্রসূত বলে প্রতিষ্ঠিত। যদিও বিএনপি বা খালেদা জিয়া নিরপেক্ষ নির্দলীয় তত্যাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচন চেয়েছিলেন কারন ক্ষমতালোভী এরশাদের অধীনে নির্বাচন সম্ভব নয় বলে। ৯১'র সাহাবুদ্দিনের তত্যাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনে এরশাদের জাতীয় পার্টি তৃতীয় দল হওয়ায় মধ্য দিয়ে প্রমানিত হয় খালেদা জিয়া সঠিক ছিলেন।
৯১ পরবর্তী জাপা-জামাত-আওয়ামী জোট গনতান্ত্রীক সরকরের কাছে ঐ একই পদ্ধতির নির্বাচন দাবী করে। তাদের আন্দলনের এক পর্যায়ে তারা সংসদ থেকে পদত্যাগসহ ৫৭ দিন হরতাল পালন করে শুধু এই এক নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্যাবধায়ক সরকারের জন্যে। সব বিরোধী দলী সাংসদ পদত্যাগ করা এবং সংসদে বিএনপি একক ২০০ আসন না থাকায় বাধ্য হয়েই এক দলীয় নির্বাচন (ষষ্ঠ জাতীয় সংসদ নির্বাচন) করে বিএনপি। ঐ সংসদ মধ্যরাতে অধিবেশন বাসিয়ে সংবিধানে তত্যাবধায়ক সরকার সংযোজন করে।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



