![]()
গভীর রাতে হাটাহাটির অভ্যাসটাও এই হুমায়ুন আহমেদের হাত ধরে নাহ্ হিমুর হাত ধরে। হিমু বাংলাসাহিত্যের কালজয়ী চারিত্র হিমুদের একজন এক জন হিসেবে এ দাবী করতেই পারি বাংলাসাহিত্য যত দিন থাকবে তত দিন হিমু থাকবে।
ফোন দিলে যদি জুলিয়টের বাবা ফোন ধরে, "হ্যালো এটা কি পুলিশ স্টেশন/ রেল স্টেশন" এই ডায়লগ কোন বঙ্গ রোমিওর দিতে ইচ্ছে করে নি বা করে না এমন রোমিও বাংলায় পাওয়া দুষ্কর।
শুভ্র সিরিজে ঠিক কি মেসেজ দিতে চেয়েছিলেন কখনো বুঝা হয়ে উঠেনি। তবে জেন্টেলম্যান শুভ্র হবার ইচ্ছেটা মাঝে মাঝেই জাগত তাই এ সিরিজটার ৫/৬ বই পড়া হয়েছে।
হুমায়ুন আহমেদের মিশির আলী জ্ঞানী জ্ঞানী কথা বার্তা আমার খুব বেশী পছন্দ হয় নি, তাই খুব একটা পড়া হয় নি (৩টা)।
হুমায়ুন আহমেদের এই সব দিনরাত্রি, কেউ কোথাও নেই, বহুব্রীহি, বৃষ্টি বিলাশ কালজয়ী সৃষ্টির কয়েকটি। তবে একজন লেখক হিসেবে তার যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন প্রথম উপন্যাস নন্দিত নরকেই। বস্তি ও তার আসে পাশের মানুষগুলি ও সেসব মানুষে সুখ-দুঃখ্য, অপরাধ প্রবনতা, অভাব অনটন সবই তুলে এনেছিলেন এক মলাটের ৫৮ পৃষ্টার নন্দিত নরকে।
লেখক হুমায়ুন আহমেদের প্রতি আগ্রহে ভাটা পড়ে তার মেয়ের বান্ধবী শাওনকে বিয়ের পর। পুরপুরি বিচ্ছেদ ঘটে তার জনপ্রিয় সিরিজ হিমুকে র্যাব ও সাবেক সরাস্ট্র প্রতিমন্ত্রী রাবর বিরোদ্ধে ব্যাবহারের জন্যে। হিমু সিরিজের পরপর তিনটি পর্বে এদের নিয়ে বিতর্ককিত করেছেন (সম্ভবত শওনের মা ও আওয়ামী লীগ নেত্রী তহুরা বেগমকে রাজনীতিতে সুবিধা করে দিতে। তহুরা বেগম সংরক্ষিত মহিলা আসনের আওয়ামী লীগের এমপি)। এসবের প্রথম পর্ব হিমু রিমান্ডে (টাইটেল ভুলও হতে পারে) কিনেছিলাম হুমায়ুন আহমেদের লেখা শেষ বই হিসেবে।
শেষ কথা ভুল-ত্রুটি, লোভ-লালসা (২০০২ পরবর্তি) এই ক্ষদ্র অংশটি বাদ দিলে বাংলা সাহিত্যের চির অম্লান এক নাম হুমায়ুন আহমেদ। মানুষ একবার মরে তবে তিনি মরে ছিলেন দুবার একবার ২০০২এ নর্তুকী শাওনকে বিয়ে করে প্রথমবার দ্বিতীয় বার চিরবিদায় জানিয়ে চলে গেলেন না ফেরার দেশে। যেখানেই থাকেন ভাল থাকবে।
ওহ্ হ্যা বৃষ্টিতে ভিজতে ভুলবেন না যেন।
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৮:৪৪

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



