![]()
ঘটনা প্রবাহ: ৭১রের মানবতাবিরোধী কর্মকান্ডে বিচারাধীন বিএনপি নেতা সাকা চৌধুরীর পক্ষে তার খালাত ভাই দরবেশ বাবার সাক্ষী দেয়ার কথা ছিল সোমবার। এতেই ক্ষুব্দ বিরক্ত রনি এর আগে কয়েক সাপ্তাহ ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় তিন বছর আগের দরবেশ বাবার শেয়ার বাজার কেলেংকারী নিয়ে সরব হয়ে উঠে। ঘটনার শুরু এখান থেকেই। এদিকে দরবেশ বাবা রনিকে শাহেস্থা করতে বেছে নেয় তার টিভি চ্যানেলের তালাশ নামক অনুসন্ধানী টিভিশোকে। এরই মধ্যে ঘটে তালাশ টিমের সাথে রনির ধস্তাদস্তির ঘটনা।
শনিবার এঘটনার পরপরই সংবাদ সম্মেলন করে ক্ষমা চান এমপি রনি।
রবিবার আদালতে উপস্থিত হয়ে ৩০০০ টাকা মুচলেকায় দুই মাসের জামিন পান।
এর ৪৮ ঘন্টা না পেরুতেই আদালত পুর্বের আদেশ বাতিল করে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারী করে। এর মাত্র দুই ঘন্টার মধ্যে এমপি গ্রেফতার।
এমপি রনির এই গ্রেফতারে আদালতের এই ভুমিকা, দল হিসেবে আওয়ামী লীগের ভুমিকা দুটাই রহস্যজনক। আদালতের ভুমিকা কেন রহস্যজনক মনে হয়েছে আগেই বলেছি। প্রশ্ন হল আওয়ামী লীগ কেন এমনটা করল? উত্তর দরবেশ বাবা!!!!!!!!!! আসলেই কি তাই?
কারো সাথে দরবেশ বাবার এটাই প্রথম ক্ল্যাশ না। এর আগে আরো অনেকের সাথেই দরবেশ বাবার লড়াই হয়েছে। আর শেয়ার বাজার নিয়া রনিই প্রথম কথা বলছে এমনও না।
-শেয়ার বাজার কেলেংকারীর জন্যে এর আগে আসিফ নজরুল, পিয়াস করিম নুরুল কবীরসহ অনেক বাম কলামিস্টই লিখেছেন, টিভিতে কথা বলেছেন। ঠিক একারনে কাউকে কোনরকম বিপদে পড়তে হয় নি।
-বিরোধী জোট থেকে আন্দালিভ পার্থ এই শেয়ার বাজারের কেচ্ছা শুনিয়েই রাজনীতির ময়দানে আজ সুপার স্টার। তারও তেমন কিছু হয় নি। (২০১২তে পার্থ যখন জেলে যায় তখন প্রথম বারের মত বিরোধীদলীয় মহাসচিবসহ অনেক বর্ষীয়ান নেতাকেই ঐদিন জেলে যেতে হয়ে ছিল)
-২০০৯এ আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার পরপরই দরবেশ বাবা রাতের আধারে গিয়েছিলেন গুলশানের একটি বাড়ি দখল করতে। মুনিবের জায়গা পাহারা দিতে সেখনে আগে থেকেই উৎপেতে ছিলেন এটিএন বাংলার সাংবাদিক। ঘটনাস্থলেই ঐ সাংবাদিক জায়গার মালিক মাহফুজুর রহমান জানিয়ে দরবেশ বাবার সাইনবোর্ড লাগানোর প্রতিবাদ করে।এতে রেগে গিয়ে হুঙ্কার ছাড়ে দরবেশ এটিএন বাংলা কিভাবে চলে দেখে নেব। এটিএন বাংলা শুধু চলেই না। ইতিমধ্যে একটা বাচ্চাও ফুটাইছে।
আমি বলছিনা দরবেশ বাবার কোন ক্ষমতা নাই। তবে একটা সীমাবদ্ধতা আছে আর তা হাসিনা। যাদের সাথে হাসিনার সম্পর্ক সরাসরি তাদের ব্যাপারে আর সব হাম্বা দানবের মত দরবেশ বাবার পার্ফমেন্সও ফ্যাকাসে। ঠিক এ কারনটি গোলাম মাওলা রনি এমপির ক্ষেত্রেও যায়। বিরোধী দলে থাকা কালে রনি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয় সূধাসদনের একজন কর্মী ছিলেন। তার কাজ কর্মের পুরস্কার স্বরুপ তাকে পটুয়াখালী-৩ আসনে নৌকায় মনোনয়ন পান। তাই দরবেশ বাবা এখানে দৃশ্যত হিরো হলেও পেছনের দরবেশ অন্য কেউ। তাহলে কারা দরবেশের কাঠাল ভাংছে?
মহাজোট সরকারের মন্ত্রী পরিষদে সাবেক ছাত্র ইউনিয়নদের সংখ্যা ও প্রভাব দুটাই বেশী। অন্যদিকে আওয়ামী মিডিয়ার পুরোটাই বামদের দখলে থাকার কারনে বাম মন্ত্রীদের ব্যার্থতার সমালোচনাও হয় কম। ফলে আওয়ামী লীগের অল্প সামান্য যেসব কৃতিত্বের দাবী করে সে গুলাও যায় তাদের ঝুলিতেই।
মুল আওয়ামী লীগ (মুজিব পন্থি) ধর্মের দিক থেকে ৪০%ডান, ৬০%নাস্তিকতা অনুসরন করলেও বর্তমানে আওয়ামী লীগ ধর্মে ৫% / ৯৫% অনুসরন করে। ফলে একের পর এক ধর্ম বিদ্ধেসী আইন প্রনয়ন, আলেম দের বিভিন্ন ইস্যুতে ক্ষেপিয়ে তোলা সবশেষ শাপলার গনহত্যার করনে আজ অনেকটা জন বিচ্ছিন্ন আওয়ামী লীগ।ঐ ঘটনার পর থেকেই বামদের সমালোচনায় মুখর এমপি রনি। সবশেষ পাচ সিটি নির্বাচনে হারার পর যখনই মুখ খুলেছেন মতিয়া চৌ, বেবী মওদুদ, লেলিনদের তুলোধুনো করেছেন। এর মাসুল হিসেবেই তাকে কারাগারে যেতে হল। ছ-সাত জন নাস্তিক (বাম) ব্লগার বাচাতে প্রায় তিন হাজার আলেম যে সরকার খুন করতে পারে সে সরকারের মধ্যে থাকা বামদের নিয়ে কথা বলার আগে একটু ভাবা দরকার ছিল এমপি সাব। বামদের প্রভাব
সর্বশেষ এডিট : ২৫ শে জুলাই, ২০১৩ রাত ৯:২৭

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



