‘ক্রিস্টোফার নোলান’ ম্যান স্টিলের অন্যতম লেখক এবং প্রযোজক। ব্যাটম্যান সিরিজ এর কল্যণে সারা বিশ্বব্যাপী যার পরিচয়।ইনসেপসন আর ব্যটম্যান যারা দেখেছেন তারা অবশ্যই ক্রিস্টোফার নোলানের সিগনেচার মার্ক আন্দাজ করতে পেরেছেন । ম্যান অব স্টিল সে রকমই একটি থিম্যাটিক্যালি মুভি।
‘ম্যান অব স্টিল’কে আসলে সুপার ম্যানের গল্প বললে কিঞ্চিত ভুল হবে।এটি আসলে কার্ল এলের গল্প। যিনি ক্রিপটন নামক গ্রহের বাসিন্দা জোর এলের সন্তান। এবং সে আস্রয় পায় পৃথিবী নামক একটি গ্রহে।সেখানে সে ধীরে ধীরে হয়ে উঠে মানুষের প্রতিনিধি এবং তাদের বাচা মরার সঙ্গি।
ক্রিপটন গ্রহের এক সময়কার সেনাপ্রধান ছিলেন জড। যিনি এই ছবির খলনায়ক। পৃথিাবীর শক্রু সে। কার্ল এলেরও শক্রু। জড এ মুভিতে খলনায়ক হলেও আসলে সে একজন দেশ প্রেমিক। নিজের গ্রহকে ভালবাসে খুব। ধবংস হয়ে যাওয়া নিজেদের গ্রহকে আবার বানাতে চায় পৃথিবীর সকল প্রাণের বিনিময়ে। আর কার্ল হলো সকল মানবজাতির প্রতিনিধি।নিজের শিকড়ের সন্ধান জেনেও পৃথিবীর মানুষের পাশে এসে দাঁড়ায়। বাচাতে চায় পৃথিবীকে। ছবিতে পেন্টাগনের সমালোচনা ও আমরিকার বিদেশনীতির সমালোচনা এসেছে বারকয়েক।
আসলে ম্যান অব স্টিলের গল্পে পূর্ব সুপারম্যান কাহিনীর পুনরাবৃত্তি নেই বললেই চলে। আর বৈশিষ্টের দিক থেকে বিচার করলে এর প্রধান বৈশিষ্ট হচ্ছে এটি নোলানের গল্প, আর জ্যাক স্নাইডারের পরিচালনা। এই দুয়ে মিলে ম্যান অব স্টিলকে দান করেছে সুপারম্যানের এক নতুন সংজ্ঞা। যা দর্শকদের মনস্তাত্তিক জটিলতার মধ্য দিয়ে নিয়ে যাবে ভিন্ন এক জগতে।