সান্ধ্যপাখি নীড় খুঁজে ফিরে চক্রাকার অন্ধকারে ।
যেখানে অনন্ত রক্তক্ষরণ - প্রপাত;
সেখানে তোমার শুদ্ধ স্নান !
ধূসর নক্ষত্রের হৃদয়ে কি ক্ষত -
আলো-অন্ধকারের ব্যবধান তার কতটা জানে !
তবু জীবন রসায়ন- ক্রিয়া অথবা মিথষ্ক্রিয়া;
প্রেম আমার শৈশবের পদ্মা !
সম্প্রসারিত মহাবিশ্বসম অসীম আয়তন হৃদয়ে
তবু অনাবাদি ঘাস -
বিবর্ণ ধূ ধূ বিকেলের দীর্ঘশ্বাস;
তপ্ত বালুকায় মাঝে মাঝে অন্ধকার হয় ঐ আকাশ।
গেলাস গেলাস কালো আলো চুষে চলেছে
অসহায় হৃদপিণ্ড !
ইনসমনিয়ায় আক্রান্ত চোখ যুগল বিস্ফারিত
নরম আলোর আবাহনে ।
আহা !
ভৈরবী বাতাসে ভাসে সান্ধ্যপাখি কান্না ।
ছল ছল জল জীবন দগ্ধ হয় -
শ্রাবণ রোদন শেষে ।
জৈব যন্ত্রের স্পন্দনে তবু একই মন্ত্র !
শ্রবণেন্দ্রিয়ের সজাগ অনুভুতি জানান দেয়
সেই মোহিনী বৃষ্টি কণ্ঠ-
শব্দরা ধীরে ক্লান্ত হয়;
থেমে থাকেনা নিজ কক্ষপথে অতিকায় এই গোলকের
নিরুদ্বেগ আবর্তন ।
স্বপ্নেরা সেই কবেই হয়েছে ব্রহ্মচারি ;
তবু ঘাসেরা খোঁজে অলীক অধর স্পর্শ !
তবু ঘুমচোখ সান্ধ্যপাখি স্পর্শ করে
মুঠো মুঠো ভালবাসা !
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০১৩ বিকাল ৩:১৮