একবার এক গুরু-শিষ্য ঘুরতে ঘুরতে এক দেশে হাজির হইলো, সেই দেশে মুড়ি-মুড়কি একদর।দুধ-দই_ছানা-মাখন সব একদর।শিষ্য তো আনন্দে আটখানা, কিন্তু গুরু বললেন, এই দেশে থাকা যাবে না। শিষ্য অবাক হইয়া বললো- গুরু এমন কথা কেনো বলতেছেন? গুরু কইলেন- যেই রাজ্যে মুড়ি-মুড়কি একদর সেই দেশে নীতির বালাই থাকে না। শিষ্য আপত্তি করলো, কইলো গুরু আপনে গেলে যান, আমি এখানেই থাকুম। তো গুরু কইলো, ঠিকাছে কি আর করা। থাকো তাইলে। তো গুরু আবার ভ্রমণে চইলা গেলেন। শিষ্য এদিকে চর্ব-চোষ্য-লেহ্য-পেয় খাইয়া নাদুসনুদুস হইয়া উঠলো।
কিছুদিন পরের কথা। রাজবাড়িতে চুরি হইলো, চোর ধরা পড়লো। তারে শূলে চড়ানোর হুকুম হইলো। কিন্তু তার রোগা পাতলা চেহারা রাজার পছন্দ হইলো না। কইলেন-এরে শূলে চড়াইয়া মজা নাই। তোমরা মোটাসোটা কাউরে ধরে আনো। পেয়াদারা গিয়া বাইন্ধা নিয়া আসলো শিষ্যরে। তার তো ভয়ে জবান বন্ধ। সে কোনো অপরাধ করে নাই, অথচ তারে শূলে চড়তে হবে এ কেমন আইন! কাকতালীয়ভাবে একইসময় গুরু সে দেশে হাজির, অনেকদিন শিষ্যরে দেখেন না, সে কেমন আছে একটু খোজখবর নিতে আসা। দেখেন কাহিনী গুরুতর। তো তিনি শিষ্যরে বাচাইতে চালাকির আশ্রয় নিলেন। রাজার সামনে গিয়া বললেন, মহারাজ, আমার একটা আর্জি ছিলো। আপনি যদি অনুমতি দেন, তাহলে এই মোটকার বদলে আমি শূলে চড়তে চাই। রাজা বললেন, কেনো? তোমার এই খায়েশ কেনো? গুরু কইলেন, মহারাজ আমি স্বপ্নে দেখছি আজকে এই তিথিতে এ ক্ষণে যে শূলে চড়বে সে স্বর্গে যাবে। তো রাজা কয়, বটে! আমারে বোকা পাইছো? আমি থাকতে তুমি শূলে চড়বা কেনো!বইলা তিনি মহাসমারোহে স্বর্গে যাওয়ার আয়োজন সমাপ্ত করলেন। গুরু শিষ্য আর এক মুহূর্ত দেরী করলো না। নগদে সীমানা পার।
যে দেশে মূর্খ বর্বর মন্ত্রী এমপিরা দেশের আলোকিত মানুষ কে অপমান করে, যে দেশে রাজাকাররা বুক ফুলিয়ে গাড়িতে দেশের পতাকা লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায়, যে দেশে সত্যি কথা বললে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা খেতে হয় সে দেশের জনগনের ভাগ্যে কি আছে সহজে অনুমেয়...

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।




