দৃশ্যপট- রাজীব স্কুলের সেরা ছাএদের একজন। ক্লাসে খুব মনযোগী। একদিন ভাবল তার প্রিয় সবুজ সার্ট পরে স্কুলে যাবে।
কিন্ত স্কুলে যা ঘটল তার জন্য সে মোটেও প্রস্তত ছিল না। ক্লাস টিচার রাজীবকে বেদম প্রহার করলেন। রাজীব বল্ল স্যর আমিত সব পড়া ঠিক ঠিক পড়ে এসেছি। স্যর বললেন - পড়লে কি হবে, তুই তো স্কুলের নিয়ম মানিষনি।তুই স্কুলের নিয়ম ভেঙ্গেছিস,হেড স্যরের আদেশ অমান্য করেছিস, তাই তোকে পিটালাম।
এবার আসি মূল আলোচায়--
মহান আল্লা এক শ্বয়ং সম্পূণ্র্ অমুখাপেক্ষী সত্তা। তিনি আমাদের ইবাদতের মুখাপেক্ষী নন। বরং আমরা মানুষ আমাদের জন্ম, বেচে থাকা, সুস্থতা থেকে শুরু করে প্রতিটি ব্যপারে আল্লার মুখাপেক্ষী।তিনিই আমাদের জীবনের মালিক।তিনিই আমাদের বাচিয়ে রাখেন।আর তাই তারঁ হুকুম মানতে যুক্তি খোজাঁ আন্যায় আর আপ্রয়োজনীয়। রাজীব একটি স্কুলের ছাএ হিসেবে স্কুলের নিয়মের অধীন ।সে তার খে্য়াল খুশী মত চলতে পারে না। তাই সে সাস্তি পেয়েছে।
ধরুন পর্দা করার কারনে একজন মেয়ে নিজেকে চার দেয়ালে আবদ্ধ রাখল, আল্লা- রাসূলের হূকুম মেনে চল্ল। সমাজের দ্ৃষ্টিটে হয়ত তার মূল্য বেশী নেই, কিন্ত সে আল্লার কাছে সম্মানিত।
আল্লা বলেন প্রকত সম্মান শুধু তিন জনের জন্য-- আল্লা, আল্লার রাসূল আর মুমিন বান্দাদের জন্য।
পূণ্ দীন মানলে বেশীরিভাগ মানুষ আপনাকে কটাক্ষ করবে, কিন্ত তাতে কিছু যায়, আসে না কারণ বেশীরভাগ মানুষ দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দেয়। আল্লতালা মানুষের চীরস্হায়ি কল্যান চান। তিনি চান আখেরাতের কঠিন আজাব থেকে মানুষ বেচে যাক।
আল্লা বলেন দুনিয়ার জীবন কাফেরদের জন্য যান্নাতের মত আর মুমিনের জন্য জেল খানার মত।
কাজেই আমাদের প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থার প্রভাবে প্রভাবান্বিত হওয়ার কিছুই নেই, কানে দিন তুলো আর পিঠে বাধুন কুলো। কুরআনের প্রতিটি বানী মেনে চলুন।মনে রাখবেন আপনাকে একাই থাকতে হবে।