সকালের আলো ফোটবার পূর্বেই-
রিক্সা আর মোটরগাড়িগুলো
দলবেঁধে ছুটতে শুরু করার পূর্বেই-
টিফিন বাটিতে মোটা চালের ভাত,
কয়েক ফালি সজ্নে-ডাটা,
একটা পোনা মাছের ভাজা লেজ,
দু'টাকার শপিং ব্যাগে দ্রুত দুলছে।
পাদানীতে পাটা রাখলে পরে
স্বস্তির ফুরসত মিলবে।
অতঃপর ছুটে চলা-
পথ-চলতি স্কুল ব্যাগ,
বোতল ভর্তি মিনারেল-ওয়াটার,
শৈল্পিক কায়দায় কোমরে গোঁজা সফেদ রুমাল,
উৎকণ্ঠিত মাতৃকূল,
ব্যস্তসমস্ত পিতৃকূল,
ফুলেদের ফোলা ফোলা চোখ-মুখ,
নিদ্রাকাতরতা অমলিন তখনও
এ সবই স্রোতের ভেতরকার কথা।
সাথে চলছে যুবশক্তি,পেনশনভোগী, বাউণ্ডুল,ভবঘুরে।
লাল,নীল হরেক রঙ্গের সাজগোজ নিয়ে
খলখল,কলকল করে একদল শুধু
বলেই যাচ্ছে,বলেই যাচ্ছে।
মধ্যবয়েসী এক খ্যঙ্ড়াকাঠি
শপিং ব্যাগ আর টিফিনবাটির উৎসমূল খুঁজতে গিয়ে
কনুই বাহু সব পেছনে ফেলে
অপলক তাকায় মধ্যদেশে।
বহুবর্ষব্যাপী সীমাহীন এক ক্ষুধা যেন
বুকের মধ্যে পুষে বেড়াচ্ছে।
পোনামাছের ভাজা লেজ ক্রমে
শীতল থেকে শীতলতর হতে থাকে।
শেষমেষ লৌহশলাকায় মোড়ানো ফটকের সামনে এসে থামে।
হাতের মুঠো থেকে যখন
মেলে ধরে ধূলিমলিন কার্ডখানি,
ততক্ষণে কুড়ি মিনিটের শ্রম
ভাগজোক করে নিয়েছে
রাস্তা,ফুটপাথ আর মানুষজন।
সেঁধিয়ে যাওয়ার পর লৌহ শলাকারা আপন মহিমা দেখায়
ভেতরপানে কেউ যে রয়
তা কখনো মনেই হয় না।