দেশের বেসরকারি স্যাটেলাইট টেলিভিশন চ্যানেল ATN বাংলাতে প্রচারিত ধারাবাহিক নাটক ‘মাইক’ এর অভিনেতা মোশাররফ করিম, পরিচালক, প্রযোজক ATN বাংলা সহ পুরো ইউনিটের শাস্তি দাবি করেছে সৌদি আরব প্রবাসী অনলাইন এক্টিভিস্ট ।
মাইক নাটকের বিভিন্ন পর্বে অভিনেতা মোশাররফ করিমের জবানিতে প্রবাসীদের ব্যাপারে কুরুচিপূর্ণ সংলাপ প্রচার করা হয় ।
তাই অভিনেতা মোশারফ করিম
প্রযোজক পরিচালক সহ ATN বাংলাকে তিব্র নিন্দা জানিয়ে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে বুধবার রাত ৮ টাই এক প্রতিবাদ সভার আয়োজন করেছে
রিয়াদ ( হারাতে) সৌদি আরব প্রবাসীরা ।
প্রতিবাদ সভায় রিয়াদের অনলাইন এক্টিভিস্টদের মধ্যে উপস্হিত ছিলেন
@ ব্লগার বাংলা ভাষী, সাংবাদিক আল আমিন, সাংবাদিক মামুনুর রশিদ ,লেখক সাহিনুর,জাহাঙ্গির আলম হৃদয়, শাহাপরান মিঠু , ফকরুল ইসলাম , রুবেল মিয়া,জিন্না,সুজন,সালেহ আহম্মেদ ইসমাইল সহ আর অনেকে
প্রতিবাদ সভায় ব্লগার বাংলা ভাষী তার বক্তব্যে বলেন@
বাংলাদেশে কিছু টিভি চ্যানেল বেশ কিছুদিন যাবত প্রবাসীদের নিয়ে কটূক্তি মূলক সংলাপ প্রচার করে আসছে এর মধ্যে উল্ল্যেক যোগ্য নাটক 'মাইক' জার মধ্যে জনপ্রিয় অভিনেতা মোশারফ করিম সৌদি প্রবাসীদের নিয়ে হেয় পুণ্য সংলাপ প্রকাশ করেছেন । যা কিনা জাতির কাছে কোন ভাবে গ্রহগ যোগ্য নয় । তাই তিনি অতি বিলম্বে সকল প্রবাসীদের কাছে ওই নাটকের রচয়িতা,অভিনেতা , সহ নাটকের সাথে জড়িত সকল কলাকূূশলিকে ক্ষমা চাওয়ার আহ্বান জানান । অন্যথাই কঠোর আন্দোলনে যাওয়ার হুশিয়ারি দেন ।
প্রবাসী লেখক শাহিনুর বলেন @
লেখক,নাট্যকার , পরিচালক অভিনেতারা হলেন জাতির বিবেক । তারা সুবিধা বঞ্চিত মানুষের মানবিক দিক গুলি সমাজে তুলে ধরবেন সহানুভূতির দৃষ্টিতে ,তাই না করে তাদেরকে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে ,এটা কোন ধরনের বিনোদন ? তিনি এর তিব্র নিন্দা জানান ।
সভায় সিনিয়র অনলাইন এক্টিভিস্ট আমিনুল হুদা শাহিন বলেন@ "আমরা প্রায়ই টেলিভিশনের মধ্যে বিভিন্ন নিউজে শুনে থাকি, বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ফান্ড অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে গেছে। কিন্তু এই ফান্ড গড়ার পেছনে যে প্রবাসীদের সবচেয়ে বেশি অবদান তারা হলেন সৌদি আরব প্রবাসী। অথচ আমরা দেখি বিভিন্ন সময় বহু নাটক সিনেমায় সৌদি আরবসহ পুরো মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের কটাক্ষ করে নাট্য নির্মাতা এবং এর কলা কুশলীরা। তাই আমি আশা করব বাংলাদেশ সরকার যেন এর যথাযথ বেবস্থা গ্রহণ করে দৃষ্টান্ত স্থাপন করে এবং নির্মাতারা ভবিষ্যতে এ ধরনের নাটক সিনেমা নির্মাণ থেকে বিরত থাকে।”
বিশিষ্ট সাংবাদিক ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট মোহাম্মদ আল আমীন বলেন, "দেশের অর্থনীতির চাকা সচল থাকে এই প্রবাসীদের টাকার কারণে, কোনো নাট্য নির্মাতা কিংবা অভিনেতার নয়। তাই একজন সৌদি প্রবাসী হিসেবে আমি এর তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি।”
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট ফখরুল ইসলাম বলেন,@
"নাটক-সিনেমা তথা সংস্কৃতি হচ্ছে একটি সমাজের দর্পণ, অথচ অত্যন্ত দুঃখজনকভাবে পুরো জাতির সামনে সেই দর্পণের মাধ্যমে সৌদি আরবসহ মধ্যপ্রাচ্য প্রবাসীদের যেভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা হচ্ছে তা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। তাই আমি এর সাথে সংশ্লিষ্টদের বিচার দাবি করছি এবং ভবিষ্যতে এহেন কর্মকাণ্ড থেকে সব নাট্য নির্মাতা কলা কুশলি থেকে শুরু করে সবাই এই জঘন্য কাজ থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাচ্ছি।”
সাংবাদিক ও অ্যাক্টিভিস্ট শাহ পরাণ মিঠু বলেন,@
"যে নাটক সিনেমা দিয়ে প্রবাসীদের পরিশ্রমের মূল্যায়ন করা হবে, অথচ সে নাটক-সিনেমা দ্বারা সৌদি প্রবাসীদের হৃদয়ে আঘাত দিচ্ছেন যা মেনে নেয়া অসম্ভব তাই আমি অনতি বিলম্বে সংশ্লিষ্ট সবাইকে ক্ষমা চাওয়ার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।”
এসময় তিনি আরো বলেন, "নাট্য নির্মাতা এবং কলা কুশলিরা যদি ক্ষমা প্রার্থনা না করেন তাহলে আমরা সবাই মিলে দূতাবাসে স্মারকলিপি প্রাদানসহ যা যা করা প্রয়োজন সবকিছুই করবো।”
অটোক্যাড ইঞ্জিনিয়ার ও অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট তসলিম খন্দকার বলেন,@
"আমরা ফকিরনি নই, বরং যারা আমাদের টাকায় দেশে বসে আয়েশ করছেন আর বড় বড় কথা বলে বেড়াচ্ছেন তারাই ফকিরনি। আমরা মাথার ঘাম পায়ে ফেলে টাকা উপার্জন করি, কারো কাছে হাত পাতি না।”
অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট জাহাঙ্গির আলম হৃদয় তার বক্তব্যে বলেন, "সৌদি আরবে আসতে পারে শুধু সৌভাগ্যবানরা কারণ এটা রাসুলের দেশ এখানে আসা সবার ভাগ্যে জোটে না। আমি নাট্য নির্মাতাদের কাছে অনুরোধ করব তারা যেন গণমাধ্যমের মাধ্যমে সবার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করে এবং ভবিষ্যতের জন্য শুধরে যায়।”
অন্য আরেক অনলাইন অ্যাক্টিভিস্ট কাওসার বলেন, @
"আমি নিজে মোশারফ করিমের এলাকার এবং তার ভক্ত। আজকেও আমি মোশারফ করিমের অভিনয় দেখে এখানে এসেছি। উনার একজন ভক্ত হিসেবে আমার দাবি থাকবে উনি যেন প্রবাসীদের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করেন এবং ভবিষ্যতে এমন কুরুচিপূর্ণ নির্মাতাদের নাটকে অভিনয় না করেন।”
এসময় ‘মাইক’ নাটকের পাশাপাশি উঠে আসে "নজরবিহিন নজির আলী" সিকান্দার বক্স" সিরিজসহ আরো অনেক নাটকের নাম। পাশাপাশি তীব্র সমালোচনা করা হয় যে সমস্ত চ্যানেল এই নাটকগুলো প্রচার করেছে সে সমস্ত চ্যানেলের। এসময় অভিনেতা মোশারফ করিমের উচ্চারিত ডায়ালগটি শুনে অনেকেই আবেগে আপ্লূত হয়ে চোখের পানি ছেড়ে দেন। অনেকেই বলতে থাকেন "সারাজীবন কষ্ট করে এই প্রতিদান পেলাম"।
উপস্থিতিদের সবাই তাদের বক্তব্যে সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি তীব্র নিন্দা ও ক্ষোভ জানিয়ে তাদেরকে পুরো জাতির কাছে ক্ষমা চাইতে বলেন।