জ্বালো ঘরেতে আলো,
একা বসে আছে সে, আকাশের সাথে!
জ্বালো সবগুলো আলো,
তার সন্ধ্যার সাজানো প্রদীপে!
সন্ধ্যামালতীর সাথে একা বসে আছে সে!
চার দেওয়ালের খাঁজে,
কুড়িয়ে পাওয়া এক স্বপ্নের মানিপ্ল্যান্ট,
বেড়ে ঊঠে ধীরলয়ে অজান্তে প্রতিদিন!
ছবির গভীরে রাখা পার্কের ছায়াটা,
আয়ত চোখের নীলে মধ্যরাতের দিন!
ছোট ব্যলকনি ভরা মায়ার গাছেরা,
তন্বী ফুলের লতা ছড়ায় বাতাসে,
তার হাত ছুঁয়ে নামে প্রশান্ত স্নেহের ঢেউ।
ভুল করে চাঁদটাও পঞ্চদশীর দিনে,
বারন্দাটার পাশে নিয়ে আসে আলো।
রুপালী স্রোতের মত চন্দ্রকুয়াশা,
ভরে রাখে ভালোবেসে অস্পষ্ট ছায়ায়,
থাইগ্লাস ঘেঁষে থাকা ছায়ার রেখাকে!
কিছুদূরে রাস্তায় ভিড়ের কোলাহল,
শেষ হয় এখানে শঙ্খের শব্দের ধীরতায়!
কল্পনা তার নাকি তবু সমুদ্র ছাড়ায়,
বহুদূরে পৃথিবীর নিঃস্তব্ধতম দ্বীপ থেকে,
রঙ্গিন প্রবালের মতো শান্তি,
সে চেয়েছে কিনতে! জানালার বাতাসে!
তাইতো ঝিনুকেরা বাচে নারিকেলি দ্বীপে,
আজো শুধু তাকে ভালোবেসে!
একা বসে আছে সে!
ভাস্কর্যের স্তব্ধতা নিয়ে প্রিয় গাছেদের সাথে!
জীবনের আলো দেখে মুগ্ধতা তার,
মনে হয় কল্পনায়, ছোট্ট ঘরের কোণে,
জোনাকির আগুনের পাখা!
একরাশ স্তব্ধতা মেঘেদের ভর করে,
হুটহাট নেমে আসে কালো চুলের ছায়ায়।
এই নিয়ে একা একা তার বেচে থাকা।
জ্বালো সবগুলো আলো,
আজ প্রথম প্রহরে!
আকাশ এসেছে নাকি দেখতে তাকে,
ছড়ানো চুলের মেঘে আয়ত চোখের কোলে,
ঝাড়বাতি হয়ে নামে নক্ষত্রের ঢল!
এই প্রথম প্রহরে আকাশ এসেছে দরোজায়,
তন্বী মেয়েটি ঢাকে মুখ আনত লজ্জায়!
সর্বশেষ এডিট : ১১ ই মে, ২০১৯ সকাল ৮:০৫