somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ফাঁসি ও অন্যান্য মৃত্যুদণ্ডে যেভাবে জীবনের শেষ অঙ্ক পরিচালিত হয় ।

০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ সকাল ৮:২০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মৃত্যুর কথা মনে উঠলে আঁতকে উঠে আবাল-বৃদ্ধ-বনিতা সকলেই । এ পৃথিবীর মায়া কেউই ত্যাগ করতে চায়না । তবুও কেউ না কেউ এ পৃথিবীকে বিদায় জানায় বিভিন্ন উপায়ে । তাকে বলা হয় আত্মহত্যা । এই আত্মহত্যার অন্যতম উপায় হলো গলায় দড়ি দেওয়া ।

গলায় দড়ি, বৈদ্যুতিক তার, বেল্ট, টাই, শাড়ি, বিছানা চাদর, স্কার্ফ, ওড়না, ধুতি, কিংবা সাইকেলের চেইন ইত্যাদি প্যাঁচিয়ে যখন সারা শরীরকে নিচের দিকে ঝুলিয়ে দেওয়া হয় তখন তাকে বলা হয় ফাঁসি । ইংরেজিতে যাকে বলা হয়ে থাকে হ্যাঙ্গিং (Hanging)।



এই হ্যাঙ্গিং বিভিন্ন প্রকারের হয়ে থাকে ।
দড়ির গিট বা নট'র অবস্থানের উপর ভিত্তি করে হ্যাঙ্গিং দু’প্রকার । যথাঃ
১। টিপিকাল হ্যাঙ্গিংঃ যদি নট ঘাড়ের পেছনে থাকে ।
২। অ্যাটিপিকাল হ্যাঙ্গিংঃ যদি নট ঘাড়ের পেছন ব্যতীত অন্য কোনো দিকে থাকে ।

ঝুলানোর অবস্থার ভিত্তিতে হ্যাঙ্গিং দু’প্রকার । যথাঃ
১। কমপ্লিট হ্যাঙ্গিংঃ পা কোনো তল স্পর্শ না করেই পুরো শরীর ঝুলবে ।
২। পার্শিয়াল বা ইনকমপ্লিট হ্যাঙ্গিংঃ এক্ষেত্রে পা বা শরীরের নিম্নাংশ কোনো তল স্পর্শ করবে ।

প্রকৃতির উপর ভিত্তি করে হ্যাঙ্গিং আবার চার প্রকার । যথাঃ
১। সুইসাইডাল হ্যাঙ্গিংঃ যেটিকে আমরা আত্মহত্যা বলে থাকি ।
২। হোমিসাইডাল হ্যাঙ্গিংঃ অন্য কেউ গলায় দড়ি পেঁচিয়ে খুন করলে ।
৩। অ্যাক্সিডেন্টাল হ্যাঙ্গিংঃ দুর্ঘটনাবশত গলায় ফাঁস পড়ে মৃত্য । যেমন গত ১৬ই ফেব্রুয়ারি কিভাবে ফাঁসি দিতে হয়, তা দেখাতে গিয়ে রাজধানীর শাহজাহানপুরের ফজলু রহমান স্কুলের রাকিন ফায়েজ (১১) নামের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্র ফাঁসে আটকে মৃত্যুবরণ করে ।
৪। জুডিশিয়াল হ্যাঙ্গিংঃ অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় শাস্তিস্বরূপ রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত ফাঁসি ।

প্রকারভেদ যাই হউক , সকল প্রকার ফাঁসির ম্যাকানিজম প্রায় একই । তবুও আমাদের আলোচনার মূল কেন্দ্রবিন্দু জুডিশিয়াল হ্যাঙ্গিং ।

ফাঁসিতে ঝুলার পর যেসব কারণে মৃত্যু হয়ঃ

১। অ্যাসফিক্সিয়া (Asphyxia):
এটি এমন একটি অবস্থা, যখন ফুসফুস ও বায়ূমণ্ডলের মধ্যকার বায়ুর আদান-প্রদান ব্যহত হয়। এটি মূলত ঘটে থাকে শ্বাসনালীতে বাঁধা পড়াতে । গলায় রশি বাঁধা অবস্থা যখন পুরো শরীর ঝুলে তখন ট্রাকিয়াতে (শ্বাসনালী) প্রায় ১৫ কেজি, ভার্টিব্রাল আর্টারিতে ১৮-২০ কেজি, ক্যারোটিড আর্টারিতে ৩-৫ কেজি ও জুগুলার ভেইনে ২ কেজি ‘কন্সট্রিকটিং ফোর্স’ বা সংকোচনকারী বল অনুভূত হয় । ফলে ল্যারিঞ্জিয়াল ও ট্রাকিয়াল লুমিনা ক্রমে সংকুচিত হতে থাকে । একসময় এ বল জিহ্বার গোড়াকে তার পেছনের দেয়ালের (পোস্টেরিয়র ওয়াল অফ দ্য ফ্যারিংস) সাথে চেপে ধরে । পরিশেষে এপিগ্লোটিস ফোল্ডিং এর মাধ্যমে বায়ূর আদান প্রদান বন্ধ সুনিশ্চিত হয়ে যায় । ফলে অক্সিজেন স্বল্পতার দরূণ ব্যক্তি ক্রমে বিভিন্ন ধাপ অতিক্রম করে মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয় ।

২। অ্যাপোপ্লক্সি অথবা সেরেব্রাল কনজেশন (Apoploxy Or Cerebral Congestion):
এ ঘটনায় জুগুলার ভেইনে অনুভূত ২ কেজি বল ভেইনকে ক্রমে বন্ধ করে দিতে থাকবে । ফলে উপরিভাগ থেকে ভেনাস ব্লাড হার্টের দিকে ধাবিত হতে ব্যর্থ হয় । এই ঘটনাকে বলা হয় সাবক্সিয়া (Suboxia)। এর ফলে মস্তিষ্কে ভেনাস প্রেসার বাড়তে থাকবে । ফলে ব্যক্তি ক্রমশ সংজ্ঞাহীনতার (Unconsciousness) দিকে ধাবিত হবে ।

৩। যৌথ অ্যাসফিক্সিয়া ও অ্যাপোপ্লক্সি (Combined Asphyxia & Apoploxy):
শিরোনাম দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটি হচ্ছে উপরের দু'টি ঘটনার সম্মিলিত রূপ । এই দুই ঘটনার সম্মিলিত রূপেই মৃত্যু সুনিশ্চিৎ হয়ে যায় । এই যৌথ ঘটনাকেই ধরে নেওয়া যেতে পারে ফাঁসিতে মৃত্যুর সাধারণ কারন । কিন্তু বাস্তবতা এত সহজে ছাড় দেওয়ার পাত্র নয় । ঘটনা আরও বাকি আছে ।

৪। সেরেব্রাল অ্যানেমিয়া/ইশ্চেমিয়া/অ্যানক্সিয়া (Cerebral Anaemia/Ischaemia/Anoxia):
দঁড়ি যদি প্রশস্ত বা নরম উপাদানের সমন্বয়ে গঠিত হয় তাহলে সেটি ঘাড়ের বেশি গভীরে দেবে যেতে পারেনা । ফলে শুধু জুগুলার ভেইনেই চাপ দেয় । কিন্তু দঁড়ি যদি তুলনামূলক চিকন হয় তাহলে সেটি দেবে গিয়ে ক্যারোটিড ও ভার্টিব্রাল আর্টারিতেও চাপ প্রয়োগ করে । সেই চাপ যেনতেন চাপ নয় । অনুভূত সংকোচনকারী বলের পরিমাণ শুরুর দিকেই লেখা হয়েছে । আবার মনে করিয়ে দিচ্ছি - ভার্টিব্রাল আর্টারিতে ১৮-২০ কেজি ও ক্যারোটিড আর্টারিতে ৩-৫ কেজি । ফলে মস্তিষ্কের দিকে অক্সিজেন সমৃদ্ধ রক্ত প্রবাহ বাধাপ্রাপ্ত হয় । ফলে মস্তিষ্কে দেখা দেবে অক্সিজেনের অভাব । আর এ ঘটনাই হলো অ্যানক্সিয়া (Anoxia)। এর ফলাফলও সাবক্সিয়ার (Suboxia) মতোই । ব্যক্তি সংজ্ঞাহীনতার (Unconsciousness) দিকে ধাবিত হবে ।

৫। রিফ্লেক্স ভ্যাগাল ইনহিবিশন (Reflex vagal inhibition):
এই ঘটনার ফলে ব্যক্তি কয়েক সেকেন্ড থেকে মিনিটের মধ্যে মৃত্যুর কোলে ঢেলে পড়বে ।
ক্যারোটিড সাইনাস, ক্যারোটিড শিথ এবং ক্যারোটিড বডিতে চাপের ফলে ওসব রক্তবাহিকাগুলো বন্ধ হয়ে গিয়ে একসময় হার্ট রেইট কমাতে (মিনিট প্রতি ৬ বিট এরও নিচে) থাকবে এবং কমাতে থাকবে রক্তচাপ (১০ মিমি পারদ চাপের নিচে) । এভাবে ব্রাডিকার্ডিয়া (Bradycardia)হয়ে একসময় হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাবে । আর হার্টবিট বন্ধ হয়ে যাওয়া মানেই মরণ ঘণ্টা বাজা শুরু ।

৬। সারভাইকাল ভার্টিব্রার ফাটল বা স্থানচ্যুতি (Fracture or dislocation of the cervical vertebra):
দেহ হঠাৎ ঝুলে পড়ার দরুণ গলায় যে চাপ পড়ে তার ফলে মেরুদণ্ডের ২য়-৩য় কিংবা ৩য়-৪র্থ ভার্টিব্রার লেভেলে ফ্র্যাকচার-ডিজলোকেশন ঘটে । ফলে আঘাত পেয়ে স্পাইনাল কর্ড, মেডুলার জাংশন হতে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় । যেখানে থাকে রেসপিরেটরি ও হার্ট সেন্টার । ফলে মৃত্যু আরও ত্বরান্বিত হয় ।

ফাঁসি কার্যকরের আগে মঞ্চ ও পাটাতন বার বার পরীক্ষা করে দেখা হয়। ৩০ফুট লম্বা দড়িটি ভিজিয়ে শুকানো হয় যেন তাতে ভাঁজ বা প্যাঁচ না খায়। দড়িটি মোম, তেল ও সাবান দিয়ে মসৃন করা হয়। আসামির স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় এবং যখন তাকে পাটাতনের দাঁড় করানো হয় তখন কলেমা পড়িয়ে তার মুখ কালো কাপড় দিয়ে ঢেকে দেয়া হয়। উপর থেকে ফেলার গতি হয় অতি দ্রুত যেন তা গলায় ১২৬০ ফুট-পাউন্ড চাপ তৈরী করতে পারে। দড়ির নট টি থাকে আসামীর বাম কানের নীচে। অতি দ্রুত পড়ার সময় উপর্যুক্ত কারণে আসামি মৃত্যুর দিকে ধাবিত হয়।

সাধারণত উপর্যুক্ত ঘটনাবলীর ফলে ৩-৫ মিনিটের ভেতর আসামী/ব্যক্তি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে যদিও হৃৎপিণ্ড ও ফুসফুস ১০-১৫ মিনিট সক্রিয় থাকে । তাই জুডিশিয়াল হ্যাঙ্গিং এর বেলায় মিনিট দশেকের মতো ঝুলিয়ে রাখা হয় আসামীকে । নিচে দেওয়া আছে ফাঁসি কার্যকরের একটি ভিডিও ।

এশিয়া মহাদেশ, লাইবেরিয়া ও আমেরিকাতে ফাঁসির মাধ্যমে মৃতুদণ্ড কার্যকর করা হয় ।

ফাঁসি ছাড়াও মৃত্যুদণ্ড কার্যকরে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে আরও যেসব পদ্ধতি অনুসরণ করা হয় –

১। শিরচ্ছেদঃ সৌদি আরব, কাতার ।

২। গ্যাস চেম্বারঃ ক্যালিফোর্নিয়া, মিসৌরি ও আ্যারিজোনা ।

৩। বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগঃ গুয়েতমালা, থাইল্যান্ড, চিন, ভিয়েতনাম ও আমেরিকা ।

৪। ফায়ারিং স্কোয়াডঃ চিন, উত্তর কোরিয়া, ইন্দোনেশিয়া, কিউবা, ভিয়েতনাম ।

৫। ইলেকট্রিক চেয়ারঃ আমেরিকা, ফিলিপাইন ।

৬। ধাক্কা দিয়ে পাহাড় থেকে ফেলে দেয়াঃ ইরান, চিলি ।

৭। ছুরিকাঘাতঃ সোমালিয়া ।

গ্যাস চেম্বারে বিষাক্ত গ্যাস প্রয়োগে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ঃ
একটি আবদ্ধ ঘরে বা কক্ষে একটি চেয়ার ও একটি সিলিন্ডার থাকে । যেখানে সায়ানাইড ক্যাপসুল ও নীচে একটি পাত্রে সালফিউরিক এসিড থাকে। এবার চেয়ারে বসিয়ে আসামীর হাত পা বেঁধে দেয়া হয়। ইসিজি লিড লাগিয়ে সংযোগ দেওয়া হয় ইসিজি মনিটরে ।
এবার বন্ধ দরজার ওপাশ থেকে তিনটি বিস্ফোরন ঘটানো হয়। এতে সিলিন্ডারের সায়ানাইড সালফিউরিক এসিডে পড়ে। মুহুর্তেই বিষাক্ত গ্যাস তৈরী হয়, যা মানুষকে কিছুক্ষনের মধ্যে অচেতন করে ফেলে। কিছুক্ষন পরে খিঁচুনি শুরু হয় এবং এক যন্ত্রনাদায়ক মৃত্যু ঘটে। আসামীর মৃত্যু নিশ্চিত হবার পর সেই চেম্বারে এমোনিয়া গ্যাস পাম্প করা হয় ও একজোস্ট দিয়ে বিষাক্ত গ্যাস বের করে দেয়া হয়। প্রায় ৩০ মিনিট পর সেই চেম্বার খুলে মৃত দেহ বের করা হয়।



ইলেকট্রিক চেয়ারে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ঃ
এতে এক কাঠের চেয়ার ব্যবহার করা হয় যাতে বিশেষ পদ্ধতিতে ইলেকট্রিক লাইন দেয়া থাকে। আসামিকে সে চেয়ারে বসিয়ে হাত পা বুক ফিতা দিয়ে বাঁধা হয়। একটা মেটালিক হেলমেট মাথায় পরানো হয়। তাতে ইলেকট্রিক সংযোগ দেয়া হয়। প্রথমে ৮ সেকেন্ডের জন্য ২৩০০ ভোল্ট, এরপর ২২ সেকেন্ডের জন্য ১০০০ ভোল্ট আবার পরবর্তীতে ২৩০০ ভোল্ট ৮ সেকেন্ডের জন্য দেয়া হয়। এতে করে একসময় আসামি মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে ।



বিষাক্ত ইনজেকশন প্রয়োগের মাধ্যমে যেভাবে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়ঃ
আসামীকে এক্ষেত্রে একটি রুমে আনা হয় ও একটি বিশেষ বেডে শোয়ানো হয়। এক্ষেত্রেও ইসিজি লিড লাগিয়ে মনিটরের সাথে সংযোগ দেয়া হয়। দুই হাতে ক্যানুলা করে নরমাল স্যালাইন দেয়া হয়। এরপর থায়ো পেন্টাল সোডিয়াম দিয়ে প্রথমে আসামীকে অচেতন করা হয়। এরপর সারা দেহ অবশ করার জন্য প্যারালিজিং ড্রাগ প্যানকিউরিয়াম দেয়া হয়। তারপর অবশেষে হার্ট অকেজো করার জন্য দেয়া হয় পটাশিয়াম ক্লোরাইড ইনজেকশন। ক্রমান্বয়ে আসামী ঢলে পড়ে মৃত্যুর কোলে ।
ইসিজি মনিটর দেখে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

ফায়ারিং স্কোয়াড যেভাবে কাজ সম্পন্ন করেঃ
আসামীকে একটি ঘরের মধ্যে একটি চেয়ারে বসানো হয় অথবা একটি পাটাতনে দাঁড় করানো হয়। হাত পা মুখ বাঁধা অবস্হায় থাকে। তার থেকে ২০ ফুট দূরে একটা দেয়াল থাকে যাতে ফাকা জায়গা করা থাকে। এখান থেকেই গুলি করা হয়। পরপর পাঁচ বার গুলি করা হয়। আসামীর মুখ এ সময় কালো কাপড় দিয়ে ঢাকা থাকে ও সাদা কাপড় দিয়ে আসামীর হার্ট চিহ্নিত করে দেয়া হয়। এটি একটি পুরানো পদ্ধতি, আমেরিকাতে এই পদ্ধতির ব্যবহার আছে।

নির্দেশকারীর নির্দেশ পাওয়া মাত্র সবাই চেয়ারে আটকানো অথবা দাঁড় করানো মানুষটির হৃৎপিণ্ড বরাবর গুলি ছোড়েন। এতে তার হৃৎপিণ্ড এবং হৃৎপিণ্ডের আশে পাশের অঙ্গ যেমনঃ ফুসফুস(Lungs), যকৃত (Liver), অগ্ন্যাশয় (Pancreas) মুহূর্তেই ছিন্নভিন্ন হয়ে যায়। অসম্ভব কষ্ট পেয়ে মানুষটির মৃত্যু হয়।

এখানে মজার বিষয় হচ্ছে - পাঁচটি রাইফেলের চারটিতে গুলি থাকে বাকি একটি থাকে ফাঁকা অর্থাৎ গুলিবিহীন । নিহত ব্যক্তি চারটি গুলির আঘাতে মারা যায়। অন্যদিকে পাঁচজন শুটারের মাঝে একজন শুটার তার হত্যাকারী নয়। কে হত্যাকারী নয় তা নির্ণয় করাও সম্ভব নয়। ফলে সবাই দাবী করতে পারে যে, নিহত ব্যক্তি অন্তত তার গুলিতে মারা যায়নি।




ফাঁসি সাধারনত ভিডিও করা হয় না। তবে ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর জার্মান ও জাপানি যুদ্ধাপরাধীদের ফাঁসি ভিডিওতে ধারন করা হয়। নিচে রয়েছে জার্মানির নূরেমবার্গ ট্রায়ালের একটি ভিডিও । প্রায় ৬৫ বছর আগের ভিডিও যেটি মে ২৮, ১৯৪৬ সালে কার্যকর করা হয়েছিল ল্যান্ডসবার্গ জেলে।

সময়, প্রযুক্তি, আইন ও ধরণ বদলেছে এর মাঝে । বদলেনি শুধু মানুষের অপরাধপ্রবণতা আর ন্যায় অন্যায়ের সংমিশ্রণ ।

দূর্বল চিত্তের অধিকারী/অধিকারিণীদের ভিডিওটি না দেখার অনুরোধ রইলো ।



তথ্যসূত্রঃ
1.The Essentials of Forensic Medicine and Toxicology – Dr. K.S. Narayan Reddy
2.The Essentials of Forensic Medicine and Toxicology – Selim Reza
3.Internet

ছবিঃ
Internet

সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০১৬ রাত ১০:১৬
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।

লিখেছেন ...নিপুণ কথন..., ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ৮:০৭

সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×