[এই মেয়েটা টেনিস খেলে। আমি ওর ভীষণ ফ্যান!!!: রুদ্র]
তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে, শেষ ডায়েরি লিখেছি। এই তিন সপ্তাহ বিশেষ ব্যস্ততায় কাটিয়েছি। ফলে, আমার ডায়েরির যারা পাঠক, যারা অপো করেছে, তাদের আন্তরিক স্যরি বলছি। ইন্ডিয়ার ওয়েলসে [ইন্ডিয়ান ওয়েলস : ভারতে অনুষ্ঠিত টেনিস প্রতিযোগিতা] বাজে পারফর্মেন্সের পর মন খারাপের কিছু দিন গেছে। আমি সেই বিষণœতা কাটিয়ে ওঠেছি। মিয়ামিতে যে পারফর্মেন্সে করেছি, তাতে খুশি আমি। মনে হচ্ছে, সামনের দিনগুলো ভালো যাবে।
জাস্টিনের বিপে সেমিফাইনাল খেলার সময় সত্যিকার অর্থেই কান্ত ছিলাম আমি। ১০০ ভাগ দিতে পারিনি। বিপরীতে জাস্টিন তার সেরাটাই দেখিয়েছে। আমিও আমার সেরাটাই খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু টানা ৪ সপ্তাহ খেলে কান্ত শরীরের পে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন, আমি বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছি। বিশ্রাম দরকার। একান্ত নিজের সঙ্গে, ফ্যামিলি আর বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো জরুরি। আহ্ কান্তি! সত্যিই আমার শরীর ও মনÑ দুটোই কান্ত ভীষণ।
হেরে যাওয়া থেকেও পজিটিভ কিছু নিতে চাই আমি। যেহেতু ফেডারেশন কাপের জন্য দলে [রাশিয়ান টেনিস টিম] জায়গা পেয়েছি, আমার প্রস্তুতি দরকার। নিজের দেশকে উপস্থাপন করার এ এক চমৎকার সুযোগ। আমি এ নিয়ে ভাবতে চাই। তারো আগে, নিজের ঘরে ফেরার ব্যাপারে উদগ্রীব আমি।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পরপরই আমি ফিরতে চেয়েছিলাম দেশে। কিন্তু, দুঃখজনক ব্যাপার হলো, কিছু কাজে মিয়ামিতে আটকে গেছি। কাল হেরে যাওয়ার পর আব্বু আমাকে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে গেছে। ওর অনেক বন্ধু-বান্ধবও যোগ দিয়েছিল আমাদের সঙ্গে। ওহ্, বলা হয়নি, মিয়ামির একটা রাশিয়ান-রেস্টুরেন্টে আব্বুর বেশ কিছু বন্ধু কাজ করে। জানি, সময়ের হিসেবে কেবল এক মাসের মতো, তবু আমি যেন অনন্তকাল ধরে রাশিয়ান খাবার মিস করছিলাম। ভীষণ ভীষন খেতে ইচ্ছে করছিল, আহ্...!
আব্বুর বন্ধুদের কেউ কেউ আবার টেনিস খেলতেন। সময়টা ভালো কেটেছে সবার। ‘পিচি মলোকো’ [পাখির দুধ] নামের রাশিয়ান কেক দিয়ে রাতের খাবার শেষ করেছি। খুব মজার এটা। আমি সিওর না, এটা ওরা এখানেই বানিয়েছে, নাকি রাশিয়া থেকে কিনে এনেছে। মোদ্দা কথা হলো, ভীষণ মজার ছিলা এটা।
আজ সকালে ‘টেনিস উইক ম্যাগাজিন’-কে ফটো সেশনে সময় দিয়েছি। আমার এজেন্ট বলেছিল, এই সেশনে আমার ছবি তোলার জন্য ওরা দুই-তিন ঘন্টা নেবে। বলে রাখি, ওরা কিন্তু পাঁচ ঘন্টার একটুও কম সময় নেয়নি! ফলে কান্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি। ফলে করা হয়নি এই জগতে আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজটি। মানে, শপিং! ফটো সেশনে আমি চারবার পোশাক বদলে। বদলেছি লুকিংও। আশা করছি, ম্যাগাজিনে যে ছবিগুলো ছাপা হবে, তাতে আমাকে অনেক সুন্দর দেখাবে! অবশ্য তা দেখার জন্য অনেকদিন অপো করতে হবে। মানে, ছাপা হবে জুন ইস্যুতে! তাই, সবাইকে অনুরোধ করছি আমি, সম্ভব হলে ইস্যুটা দেখার জন্য এবং কেমন করলাম আমিÑ তা বিচার করার জন্য।
এই হলো আমার গত চার সপ্তাহের হাইলাইটস! এ লেখা শেষ করার আগে, আন্তরিকভাবে বলতে চাই, তোমরা যারা আমাকে সাপোর্ট করেছো, সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। ভীষণ খুশি হবো আমি, যদি তোমরা আমার লেখাগুলো পড়ো আর ম্যাসেজ পাঠাও আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে [ডব্লিওডব্লিওডব্লিও.দ্যআনাচাকভেটাজ.কম]। অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর সমর্থন জানানোর জন্য রাশিয়া ও জর্জিয়ার ফ্যানদের আমি বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই। এ সমর্থন আমার প্রাণশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
দেখা হবে আগামীতে। কাল ফাইট ধরবো আমি। বাসায় গিয়ে রেস্ট নেওয়ার জন্য অপো সইছে না!
খোঁজ রেখো আমার। ভালো থেকো, সবাই।
[আনা চাকভেটা। রাশিয়ান টিনিস তারকা!]
অনুবাদ : রুদ্র আরিফ। খিলক্ষেত, ঢাকা। মে ০৬, ২০০৭]
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন