somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আনা চাকভেটাজ-এর ডায়েরি : মার্চ ৩০, ২০০৭

১৯ শে মে, ২০০৭ বিকাল ৩:৪৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

[এই মেয়েটা টেনিস খেলে। আমি ওর ভীষণ ফ্যান!!!: রুদ্র]

তিন সপ্তাহ হয়ে গেছে, শেষ ডায়েরি লিখেছি। এই তিন সপ্তাহ বিশেষ ব্যস্ততায় কাটিয়েছি। ফলে, আমার ডায়েরির যারা পাঠক, যারা অপো করেছে, তাদের আন্তরিক স্যরি বলছি। ইন্ডিয়ার ওয়েলসে [ইন্ডিয়ান ওয়েলস : ভারতে অনুষ্ঠিত টেনিস প্রতিযোগিতা] বাজে পারফর্মেন্সের পর মন খারাপের কিছু দিন গেছে। আমি সেই বিষণœতা কাটিয়ে ওঠেছি। মিয়ামিতে যে পারফর্মেন্সে করেছি, তাতে খুশি আমি। মনে হচ্ছে, সামনের দিনগুলো ভালো যাবে।
জাস্টিনের বিপে সেমিফাইনাল খেলার সময় সত্যিকার অর্থেই কান্ত ছিলাম আমি। ১০০ ভাগ দিতে পারিনি। বিপরীতে জাস্টিন তার সেরাটাই দেখিয়েছে। আমিও আমার সেরাটাই খেলতে চেয়েছিলাম। কিন্তু টানা ৪ সপ্তাহ খেলে কান্ত শরীরের পে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয়নি। এখন, আমি বাসায় ফিরে যাওয়ার কথা ভাবছি। বিশ্রাম দরকার। একান্ত নিজের সঙ্গে, ফ্যামিলি আর বন্ধুদের সঙ্গে কিছুটা সময় কাটানো জরুরি। আহ্ কান্তি! সত্যিই আমার শরীর ও মনÑ দুটোই কান্ত ভীষণ।
হেরে যাওয়া থেকেও পজিটিভ কিছু নিতে চাই আমি। যেহেতু ফেডারেশন কাপের জন্য দলে [রাশিয়ান টেনিস টিম] জায়গা পেয়েছি, আমার প্রস্তুতি দরকার। নিজের দেশকে উপস্থাপন করার এ এক চমৎকার সুযোগ। আমি এ নিয়ে ভাবতে চাই। তারো আগে, নিজের ঘরে ফেরার ব্যাপারে উদগ্রীব আমি।
সেমিফাইনালে হেরে যাওয়ার পরপরই আমি ফিরতে চেয়েছিলাম দেশে। কিন্তু, দুঃখজনক ব্যাপার হলো, কিছু কাজে মিয়ামিতে আটকে গেছি। কাল হেরে যাওয়ার পর আব্বু আমাকে একটা রেস্টুরেন্টে খেতে নিয়ে গেছে। ওর অনেক বন্ধু-বান্ধবও যোগ দিয়েছিল আমাদের সঙ্গে। ওহ্, বলা হয়নি, মিয়ামির একটা রাশিয়ান-রেস্টুরেন্টে আব্বুর বেশ কিছু বন্ধু কাজ করে। জানি, সময়ের হিসেবে কেবল এক মাসের মতো, তবু আমি যেন অনন্তকাল ধরে রাশিয়ান খাবার মিস করছিলাম। ভীষণ ভীষন খেতে ইচ্ছে করছিল, আহ্...!
আব্বুর বন্ধুদের কেউ কেউ আবার টেনিস খেলতেন। সময়টা ভালো কেটেছে সবার। ‘পিচি মলোকো’ [পাখির দুধ] নামের রাশিয়ান কেক দিয়ে রাতের খাবার শেষ করেছি। খুব মজার এটা। আমি সিওর না, এটা ওরা এখানেই বানিয়েছে, নাকি রাশিয়া থেকে কিনে এনেছে। মোদ্দা কথা হলো, ভীষণ মজার ছিলা এটা।
আজ সকালে ‘টেনিস উইক ম্যাগাজিন’-কে ফটো সেশনে সময় দিয়েছি। আমার এজেন্ট বলেছিল, এই সেশনে আমার ছবি তোলার জন্য ওরা দুই-তিন ঘন্টা নেবে। বলে রাখি, ওরা কিন্তু পাঁচ ঘন্টার একটুও কম সময় নেয়নি! ফলে কান্ত হয়ে পড়েছিলাম আমি। ফলে করা হয়নি এই জগতে আমার সবচেয়ে পছন্দের কাজটি। মানে, শপিং! ফটো সেশনে আমি চারবার পোশাক বদলে। বদলেছি লুকিংও। আশা করছি, ম্যাগাজিনে যে ছবিগুলো ছাপা হবে, তাতে আমাকে অনেক সুন্দর দেখাবে! অবশ্য তা দেখার জন্য অনেকদিন অপো করতে হবে। মানে, ছাপা হবে জুন ইস্যুতে! তাই, সবাইকে অনুরোধ করছি আমি, সম্ভব হলে ইস্যুটা দেখার জন্য এবং কেমন করলাম আমিÑ তা বিচার করার জন্য।
এই হলো আমার গত চার সপ্তাহের হাইলাইটস! এ লেখা শেষ করার আগে, আন্তরিকভাবে বলতে চাই, তোমরা যারা আমাকে সাপোর্ট করেছো, সবার কাছে কৃতজ্ঞ আমি। ভীষণ খুশি হবো আমি, যদি তোমরা আমার লেখাগুলো পড়ো আর ম্যাসেজ পাঠাও আমার ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটে [ডব্লিওডব্লিওডব্লিও.দ্যআনাচাকভেটাজ.কম]। অকুণ্ঠ ভালোবাসা আর সমর্থন জানানোর জন্য রাশিয়া ও জর্জিয়ার ফ্যানদের আমি বিশেষ ধন্যবাদ দিতে চাই। এ সমর্থন আমার প্রাণশক্তি বাড়িয়ে দেয়।
দেখা হবে আগামীতে। কাল ফাইট ধরবো আমি। বাসায় গিয়ে রেস্ট নেওয়ার জন্য অপো সইছে না!
খোঁজ রেখো আমার। ভালো থেকো, সবাই।



[আনা চাকভেটা। রাশিয়ান টিনিস তারকা!]
অনুবাদ : রুদ্র আরিফ। খিলক্ষেত, ঢাকা। মে ০৬, ২০০৭]
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ

লিখেছেন এ আর ১৫, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:৪০



এবার ইউনুসের ২১শে অগাষ্ঠ ২০০৪ এর গ্রেনেড হামলার তদন্ত করা উচিৎ


২০০৪ সালের ২১ শে অগাষ্ঠে গ্রেনেড হামলার কারন হিসাবে বলা হয়েছিল , হাসিনা নাকি ভ্যানেটি ব্যাগে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×