হাই এভরিওয়ান! অনেক চাওয়ার বিশ্রামটা মিলল শেষে। কিছুদিন পর একটা ট্যুরে যাবো_ এটা ভেবেও ভাল্লাগছে। নিজের ঘরে থাকা, নিজের মতো করে থাকার আনন্দটাই অন্যরকম। গত দুই সপ্তায় ব্যাপক কাজ করেছি। মজাও করেছি। নিজের জন্মদিন উদযাপনের গল্টা দিয়েই শুরু করি, কী বলো? রাশিয়ার বিখ্যাত এক কাবে বন্ধুদের নিয়ে দল বেঁধে গিয়েছিলাম আমি। সারারাত এত্তো মজা করেছি, এত্তো মজা করেছিÑ লিখে বোঝানো যাবে না! রাতভর ইচ্ছে মতো নেচেছি আমি। এতোই মাতালের মতো নেচেছি যে, আমার প্রিয় ক্যামেরাটা আমার সঙ্গেই ছিল, অথচ ওটাতে কোনো ছবিই ওঠেনি। মানে, ছবি ওঠানোর কথা ভুলেই গিয়েছিলাম! ভাবা যায়?! হাহ্... হাহ্... হা...!
আর আমার এক বন্ধু করেছে কী! জন্মদিনের গিফট হিসেবে ৯৯টা গোলাপ দিয়েছে আমাকে। দিয়েছে, ভালো কথা। কিন্তু বাসায় এসে তো পড়েছি মুসিবতে! কোথায় রাখি, কোথায় রাখি এতো ফুল! শেষে ৯৯টা গোলাপের আশ্রয় হলো আমার বাথটাবে! হা... হা... হা...!
ঝামেলা কিন্তু এখানেই শেষ না। ‘সোচি’র [সোচি : রাশিয়ান একটি অঞ্চল] উদ্দেশে উড়তে হবে সকালেই। মানে, সেদিন ঘুমানোর সময় পেলাম মোটে দুই ঘন্টা। !
সোচিতে কি গিয়েছিলাম মাটির কোর্টে প্র্যাকটিস করতে? প্রথমত, সেই সপ্তাহে মস্কোতে যেখানে অবিরাম তুষার ঝরছে, সোচিতে গিয়ে দেখি বেশ গরম! কাছেই আছে সাগর। দ্বিতীয়ত, প্র্যাকটিসের জন্য না, সেখানে আমার দাদী থাকে তো, তাকে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার অনেক অনেক বন্ধুও সেখানে থাকে। শেষত, মস্কোর মতো অতো বড় শহর নয় সোচি। ফলে, রিল্যাক্স আর এনজয় করার জন্য এটি খুবই মজার প্লেস। আমার সিডিউলে যদি বাঁধা না থাকে, আমি বছরে দুই-তিনবার ওখানে যেতে চাই। আর দূরত্ব তো কেবল মস্কো থেকে দুই ঘন্টার পথ, প্লেনে।
সোচিতে চমতকার সময় কাটিয়ে ফেডারেশন কাপের জন্য প্রস্তুতি নিতে গত রবিবার [১৫ এপ্রিল] ফিরতি-উড়াল দিয়েছি মস্কোতে। গৌরবময় ফেডারেশন কাপে দলভুক্ত হওয়ায় আমি ভীষণ এক্সাইটেড। জানি, নিজের দেশকে রিপ্রেসেন্ট করতে এ এক বড় সুযোগ।
সোমবারে [১৬ এপ্রিল] দলের সঙ্গে প্রথম প্র্যাকটিস করেছি। ভালো মতোই কেটেছে সময়। আবহাওয়াও ছিল চমৎকার। ফলে, দলের সবারই ভালো কেটেছে দিনটা। দলের সবার সঙ্গে সবার সম্পর্কটা বেশ মজার। আন্তরিক। ও পাঠক, আমাদের সম্পর্কটা কতো ফ্রেন্ডলি, জানো? বলি। আজ সবাই মিলে গিয়েছিলাম একটা ফুটবল ম্যাচ দেখতে। ‘স্পার্টাক’ বনাম ‘জেনিট’-এর খেলা। জেনিট দলটি সেন্ট পিটার্সবার্গের [সেন্ট পিটার্সবার্গ : রাশিয়ান একটি অঞ্চল]। আমাদের দলের কুজনেটসোভাও [সেভেটলানা কুজনেটসোভা : রাশিয়ান টেনিস খেলোয়াড়] সেন্ট পিটার্সবার্গের। তাই আমরা জেনিট-জেনিট বলে ব্যাপক চিল্লাইছি! পুরো স্টেডিয়াম কাঁপিয়ে চিল্লাইছি। খেলায় যখন ১-১ সমতা, তখন স্টেডিয়াম ছেড়ে বেরিয়ে যাই আমরা। কারণ, খেলা শেষে আমরা দুই দলের দর্শকদের বাদানুবাদ বা গ্যাঞ্জামের মধ্যে পড়তে চাইনি। তুমি তো বুঝোই, গ্যাঞ্জামটা কেমন লাগে, খেলা শেষে! এসব গ্যাঞ্জাম যেকোনো মুহূর্তেই ভয়াবহ হয়ে ওঠতে পারে।
এরকমই কেটেছে শেষ কয়টা সপ্তাহ।
ঘুমুতে যাচ্ছি আমি। কারণ, কালকের দিনটা আমাদের দলের জন্য একটা বড় দিন। স্প্যানিশ দলের সঙ্গে রাশিয়ান দলের একটা অফিসিয়াল ডিনারে অংশ নিতে হবে। এ সপ্তাহটা কেমন কাটল, পরে জানাবো। তার মানে, সময় হলো ‘বাই-বাই’ বলার। আমার টিমের জন্য দোয়া করো। আমার লেখা পড়ার জন্য অনেক থ্যাঙ্কস। সময় বের করতে পারলেই আমার কাটানো দিনগুলো, ভাবনাগুলো তোমাদের সঙ্গে শেয়ার করবো। ভালো থেকো। স্রষ্টা সহায় হোন!
[অনুবাদ : রুদ্র আরিফ। খিলক্ষেত, ঢাকা। মে ০৫, ২০০৭]
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন