[[[[ হেলাইনা ক্রাউক। কবি ও গবেষক। জন্ম ১৯৭৪ সালে, ইউক্রেন। ১৯৯৭ সালে তার কাব্যগ্রন্থ 'ঘরের খোঁজে যাত্রা' [জার্নিস ইন সার্চ অব হোম] ও 'সৈকতে পায়ের চিহ্ন' [ফুট প্রিন্টস অন স্যান্ড] প্রকাশিত হয়। দুটি আন্তর্জাতিক সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি।
এখানে তার 'দ্য বলড নেইবার বয় ফ্রম ইউর চাইল্ডহুড' [প্রতিবেশী বালক], 'সাইকৌআন্যালাইসিস' [বেঁচে থাকা] ও 'দ্য ওম্যান কাট্স ইনটু হার ভেইনস' [কেটে ফেলা রগের কবিতা] _এই তিনটি কবিতার কাব্যিক অনুবাদ দেয়া হলো।
সম্ভবত বাংলা ভাষায় এগুলোই হেলাইনার প্রথম অনূদিত কবিতা ]]]]
প্রতিবেশী বালক
শৈশবের নীরস প্রতিবেশী বালক হয়নি কখনো বড়
সময় আমাদের সরিয়ে নিয়েছে দূর থেকে দূরে
ওর দিকে দেয়নি মন!
ওর কোঁকড়ানো চুল, পুরাতন রেজরে গ্রীষ্মের শেভ
বদলায়নি কখনো।
ডুবে যায়নি সে:
ছিল না গভীর নদী_
সময়ের আশাবাদী নিস্তেজ ঢেউ
তীরের ক্ষয়ে যাওয়া...
ছেলেটার মা, বারান্দায় দাঁড়িয়ে ডেকেছিল তাকে বাচ্চাদের খেলা থেকে;
ঘরে ফেরার সময় যখন কঠিন_
ফিরেনি সে; রাতেও না। শীতেও না।
এমনকি ফিরেনি তখনো,
যখন তোমরা হঠাৎ দেখলে_ বড় হয়ে গেছ
হঠাৎ বুঝলে_ ওর নামেই নাম রেখেছ তোমার ছেলের
বেঁচে থাকা
প্রিয়তম, প্রিয় রোদ, আলোটাকে আটকে দিও না
তারচেয়ে কঠিন কিছু আছে এখানে:
বেঁচে থাকা খুব সুন্দর
তবু দ্রুত কিংবা ধীরে হবে শেষ।
প্রিয়তম, আমাদের শরীর থেকে গত যু™ব্দ
নারী, শিশু ও বৃদ্ধদের সরিয়ে দিয়েছে
শয়তানের প্রার্থনায়...
ভয়ের ছিল না তাতে কিছু
এ ছিল শান্তির প্রাণখোলা যন্ত্রণা
আর নিরাপদ যৌন-জাতির বিরুদ্ধে
একটা ঔষধ
প্রিয়তম, শোনো_
গত যুদ্ধের চেয়ে বেশি, লাখ-লাখ মানুষ
মরে গেছে এইডসের তোপে;
তবু, তুমি আর আমি, আমরা যে বেঁচে আছি_
এর আছে বিশেষ কিছু মানে:
সুদীর্ঘ বিচ্ছেদের পর আমরা হয়ে উঠেছি_
কোমলতা, অভ্যাস আর আকুলতা থেকে আলাদা;
তাই একটা সুন্দর সমাপ্তি জীবনের,
গত যুদ্ধের মতো ছাড়া ভাবা কঠিন
তবু, তোমাকে সত্যি বলছি, প্রিয়তম, বিশ্বাস করো_
বেঁচে থাকা আসলেই সুন্দর
কেটে ফেলা রগের কবিতা
সবজি কাটার ছুরি দিয়ে মহিলাটা রগ কেটে ফেলল:
ছোট মাছের বয়াম খুলছিল সে।
এ মহিলা চায় না কিছুতেই যেতে বুড়িয়ে
কিংবা হতে নিস্তেজ পরী।
মোটা এক ডাক্তার ও তার চার চোখঅলা সহকারীর সন্ধিগ্ধ চোখ
তাদের নোংরা কাজগুলো করছিল ভাগ;
আদর্শবাদ তাদের মাথার ভেতর চরকা ঘুরায়!
মুদি দোকান ছুঁয়ে রাস্তার পেছনে ডুবতে থাকে কৃপণ সূর্য
কী করে মুক্তি পাবে সে?
কী করে ছড়িয়ে দেবে ছুরির খসখসে কাটাকাটি?
কোন পথে করবে আত্মসমর্পণ
সবার কাছে
প্রত্যাশা ছাড়াই
এর বিরুদ্ধে?
হঠাৎ ঘহৃর্ণি তাকে ধেয়ে নেয় হৎপিণ্ডের প্রধান ধমনির অলিগলিতে
ডাক্তার একটা আয়না এনে তার সামনে রাখল;
ডাক্তার ভেবেছে_ এই মহিলা এরকম করার আগে আরো ভাববে
এখান থেকে বেরিয়ে
কখনো
মাথা তার ঠাণ্ডা হলে
তার মাথা ঠাণ্ডা হলো:
মহিলার, তোমরা জানো, একগুঁয়ে আত্মা...
স্রষ্টা তাকে মাফ করে দিন!
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন