somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল কথা বলে : সত্যি নাকি মশকরা !

০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমরা বলি মানুষ চেনা দায় ! আসলেই কী দায় ? মনে তো হয় না। একটা মানুষের সাথে যখন আপনি হ্যান্ডশ্যাক করবেন তখনই বলে দিতে পারবেন যে মানুষটি কেমন। বিশ্বাস হচ্ছে না ? আমিও করতাম না। তবে এই ক্ষেত্রে একটা জিনিস লক্ষ্য রাখা দরকার , হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল। ঠিক ধরেছেন , আজ জ্যোতিষ নিয়ে কথা বলবো। খাটি বাংলায় অপবিজ্ঞান নিয়ে গবেষনা। নষ্ট করার মত সময় না থাকলে এখানেই ত্যাগ করুন।

এই স্টাডি বলে Thumbs Individualizes The Man – বৃদ্ধাংগুলি মানবের ব্যাক্তিত্বের নির্দেশক। এই আঙুলের প্রিন্ট সব মানুষের জন্য আলাদা। এতে তিনটা পর্ব আছে। শুরুটি হয় নখ থেকে , শেষটি হাতে সংযুক্ত। একেক জনের একে রকম। কারোর ছোট , কারোর বড় , কারোর কদর্য , কারোর চ্যাপ্টা কারোর বা গদার মত। একেকটার জন্য চরিত্র হবে একেক রকম। যেমন কেউ রুচিশীল , কেউ আবেগী , কেউ গোয়ার , কেউ যুক্তিবাদী আর কেউ বা ঘুষখোর টাইপ নীতিহীন।

নিউরো সায়েন্স বলে দেহের কোন স্থানের প্যারালাইসি হবার সামান্য সূচনা হলেই তা টের পাওয়া যায় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল পরীক্ষা করে। অস্ত্রপচার করা হয় মস্তিষ্কের বৃদ্ধাংগুলি কেন্দ্রে। যাই হোক ধাত্রী বিদ্যায় এটা অন্যভাবে ব্যবহার করা যায়। শিশু জন্মের ২-৩ দিন পর যদি সে সব সময়ই তার বৃদ্ধাঙ্গুল অন্যসব আঙ্গুল দিয়ে ঢেকে রাখে তো বুঝতে হবে শিশু খুব দূর্বল। সাতদিন পরেও যদি এই অবস্থা বর্তমান থাকে তাহলে ধারনা করা হয় যে শিশুর মানসিক শক্তি দূর্বল। এসাইলাম গুলো তে যে মানসিক রোগীরা থাকে তাদের হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল অতিশয় দূর্বল , স্বাভাবিক যাদের দূর্বল তাদের মন অনেক নরম আর যারা কথা বলার সময় হাতের বৃদ্ধাঙ্গুল ঢেকে রাখে তাদের আসলে নিজের ক্ষমতার উপর বিশ্বাস নেই। মৃত্যু সন্নিকটে যাদের মানে বয়সের ভারে নূজ্য কিংবা বিচার শক্তি লোপ পেয়েছে তাদের হাতের সবচেয়ে নিস্তেজ অংশ হলো বৃদ্ধাঙ্গুল। ওটা তখন নেতিয়ে পড়ার মত অবস্থায় থাকে।

যাদের বৃদ্ধাঙ্গুল দেখতে কদর্য, স্বাভাবিকের তুলনায় ছোট ও মোটা তার মানসিক ভাব ধারা ইতর প্রজাতির , পশুতুল্য। যাদের লম্বা ও সুগঠিত তারা বুদ্ধিমান ও মার্জিত রুচি সম্পন্ন। অতিরিক্ত মাত্রায় ছোট ও মোটা বৃদ্ধাঙ্গুল অন্ধ ইচ্ছা শক্তির পরিচায়ক , সে কোন বিবেক বুদ্ধির ধার ধারে না।

বৃদ্ধাঙ্গুলির তিনটা পর্ব , নখ থেকে শুরু প্রথম পর্ব ইচ্ছা শক্তি , মধ্যপর্ব যুক্তি এবং শেষটি প্রেমের নির্দেশক। তিনটি পর্ব সমান না হলে , প্রথমটি বেশি বড় হলে তিনি যুক্তির ধার ধারেন না , তার সবকিছু্ই চলে ইচ্ছা শক্তি দিয়ে , সম্ভবও করেন তা। মধ্য পর্ব ১মটি থেকে বড় হলে তিনি ধীর স্থির ও চরম যুক্তিবাদি কিন্তু কর্মে দৃরতা ও ইচ্ছাশক্তির প্রচন্ড অভাব দেখা যায়। এটলাস্ট , ৩য় পর্ব যদি দীর্ঘ হয় আর বৃদ্ধাঙ্গুল যদি ছোট হয় তাহলে তিনি অতিরিক্ত মাত্রায় আবেগ প্রবণ ও ইন্দ্রিয়াসক্ত হন। মোদ্দা কথা সাইকো টাইপ প্রেমিক প্রেমিকা চেনার জন্য এই অঙশের বিকল্প নাই !

এইবার সবচেয়ে ইন্টারেস্টিং পার্ট : বৃদ্ধাঙ্গুলটির ১ম পর্ব নমনীয় না শক্ত! নমনীয় হলে এটাকে সহজেই সামনে পেছনে বাকানো যাবে আর শক্ত হলে স্ট্যান্ডবাই। এখন কথা হলো যদি নমনীয় আর পেছনদিকে বাকানো যায় তাহলে ব্যাক্তি শুধু অর্থ নয় , চিন্তার দিক দিয়েও অমিতব্যায়ি। তাদের স্বভাব সময় অপচয় করা ও পরিনাম চিন্তা না করে অর্থব্যায় করা। তারা যেকোন পরিবেশে যেকোন মানুষের সাথে খাপ খাইয়ে নিতে পারে , সেটা সাইবেরিয়া , তুন্দ্রা হোক আর সাহারা মরুভূমি হোক। আর যদি অনমনীয় হয় আর শক্ত হয় তো এরা চরম বাস্তব বাদী , উন্নতি এদের হবেই এবং তা তাদের চারিত্রিক দৃরতার জন্য। এরা ধীরে অগ্রসর হন কিন্তু জাম্প করে এগিয়ে যান । গৃহস্থালী থেকে শুরু করে যুদ্ধ সকল ক্ষেত্রেই দূর্দমনীয় বৈশিষ্ট্যের পরিচায়ক হলেন অনমনীয় বৃদ্ধাঙ্গুলধারী!

এখন কথা হলো যার হাতের বৃদ্ধাঙ্গুলই নাই তার কী হবে? – কী আর হবে ? সবাইরে নিয়ে গবেষনা করে কী লাভ? (আসলে আরো কিছু আছে , যেমন চুল , নাক , চোখ , দাত – অন্যকোনদিন সময় পেলে অপ-গবেষনা হবে) অনেক কথা বলে ফেললাম , সবই অপকথা , সব সময় জ্ঞান আর যুক্তির কথা বললে হপে ? মাঝে মধ্যে বেকুবের মত কথাওতো বলতে হপে নাকি ? বাট সব কথার আসল কথা “ ডোন্ট ট্রাই দিস এটা হোম ” । Happy Chiromancy :D

ডিসক্লেইমার : নিছক কথামালা , সিরিয়াসলি নেবার কিছু নেই । এই লেখার সাথে কোন স্থান -কাল বা পাত্রের কোন মিল খুজে পাওয়া গেলে তা নিছক কালতাল বলে গন্য।
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই জানুয়ারি, ২০১৪ বিকাল ৫:৪১
৪টি মন্তব্য ৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শৈল্পিক চুরি

লিখেছেন শেরজা তপন, ০১ লা জুন, ২০২৪ সকাল ১১:৫৭


হুদিন ধরে ভেবেও বিষয়টা নিয়ে লিখব লিখব করে লিখা হচ্ছে না ভয়ে কিংবা সঙ্কোচে!
কিসের ভয়? নারীবাদী ব্লগারদের ভয়।
আর কিসের সঙ্কোচ? পাছে আমার এই রচনাটা গৃহিনী রমনীদের খাটো... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। কোথায় বেনজির ????????

লিখেছেন শাহ আজিজ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১২:০৫




গত ৪ মে সপরিবারে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে পাড়ি দিয়েছেন সাবেক আইজিপি বেনজীর আহমেদ। সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও তিন মেয়ে। গত ২৬ মে তার পরিবারের সকল স্থাবর সম্পদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

‘নির্ঝর ও একটি হলুদ গোলাপ’ এর রিভিউ বা পাঠ প্রতিক্রিয়া

লিখেছেন নীল আকাশ, ০১ লা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:৫৭



বেশ কিছুদিন ধরে একটানা থ্রিলার, হরর এবং নন ফিকশন জনরার বেশ কিছু বই পড়ার পরে হুট করেই এই বইটা পড়তে বসলাম। আব্দুস সাত্তার সজীব ভাইয়ের 'BOOKAHOLICS TIMES' থেকে এই বইটা... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিতর্ক করার চেয়ে আড্ডা দেয়া উত্তম

লিখেছেন সাড়ে চুয়াত্তর, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬

আসলে ব্লগে রাজনৈতিক, ধর্মীয় ইত্যাদি বিতর্কের চেয়ে স্রেফ আড্ডা দেয়া উত্তম। আড্ডার কারণে ব্লগারদের সাথে ব্লগারদের সৌহার্দ তৈরি হয়। সম্পর্ক সহজ না হলে আপনি আপনার মতবাদ কাউকে গেলাতে পারবেন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে প্রাণ ফিরে এসেছে!

লিখেছেন সোনাগাজী, ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:৩৪



ভেবেছিলাম রাজিবের অনুপস্হিতিতে সামু রক্তহীনতায় ভুগবে; যাক, ব্লগে অনেকের লেখা আসছে, ভালো ও ইন্টারেষ্টিং বিষয়ের উপর লেখা আসছে; পড়ে আনন্দ পাচ্ছি!

সবার আগে ব্লগার নীল আকাশকে ধন্যবাদ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×