এক সময় ব্লগগুলির রাজনৈতিক গুরুত্ব ছিল। দেশের অনেক রাজনৈতিক এবং সামাজিক সমস্যার ক্ষেত্রে ব্লগ বলিষ্ঠ ভুমিকা পালন করেছে। এখন সময় পাল্টে গেছে। মানুষ এখন নিজেকে ব্লগার হিসাবে পরিচয় দিতে বিব্রত বোধ করে। নিজ নামে ব্লগিং করার সাহস খুব কম মানুষেরই আছে। কারণ ব্লগার বললে অনেকে নাস্তিক ভাবে। ব্লগের মাধ্যমে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে জনমত তৈরি করার দিন শেষ। তাই ব্লগে এসে আড্ডা দেয়া উচিত। আড্ডার অনেক উপকারীতা আছে। আড্ডা থেকে অনেক কিছু জানা যায়। মন হাল্কা হয়। উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা, দুঃখ, কষ্ট ক্ষণিকের জন্য হলেও দূরে চলে যায়। আড্ডার মাধ্যমে মানুষ সামাজিক হয়। সোনাগাজী সাহেব হয়তো ভাবছেন যে উনি ব্লগে পোস্ট দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচনের ফলাফলে ইতিবাচক কোন ভুমিকা রাখতে পারবেন। কিন্তু আসলে আগের যুগে মানুষ চায়ের দোকানে বসে রাজা, উজির মারতো। এখন প্রযুক্তি আসার কারণে সেই রাজা, উজির মারা হচ্ছে ব্লগে এবং অন্যান্য অনলাইন মাধ্যমে। আগে রেস্তোরার দেয়ালে লেখা থাকতো ‘রাজনৈতিক আলাপ নিষিদ্ধ’। এখন ব্লগের নীতিমালার মাধ্যমে নিয়ম বহির্ভূত আলাপের উপর নিষেধাজ্ঞা দেয়া হয়। ,
সামুতে ব্লগার এবং পাঠক কমে যাচ্ছে আশংকাজনক হারে । আমার মতে একমাত্র জমানো আড্ডার সাহায্যে ব্লগকে আবার আগের অবস্থায় নিয়ে আসা যায়। আড্ডার বিষয়ের আসলে শেষ নাই। বিভিন্ন বিষয়ের উপকারিতা এবং অপকারিতা নিয়ে আড্ডা দেয়া যায়। যেমন আড্ডার বিষয় হতে পারে রান্নার নামে অখাদ্য বানানোর উপকারিতা, অশ্লীল কৌতুকের উপকারিতা, পরকীয়ার উপকারিতা, বেশী সাজগোজের অপকারিতা, গাজা খাওয়ার উপকারিতা, জীন বা ভুতে ধরার উপকারিতা, পরচর্চার উপকারিতা, মেয়েলি আড্ডায় পুরুষের অংশগ্রহনের অপকারিতা, বাংলাদেশ ক্রিকেট টিমের চোদ্দ গুষ্ঠি উদ্ধারের উপকারিতা, বউয়ের পারস সাফাই করার উপকারিতা ইত্যাদি । আরও দুই একটা মজার আড্ডার বিষয় মাথায় এসেছিল। কিন্তু শায়মা আপু ক্ষেপে যেতে পারেন দেখে লেখার পরেও মুছে দিলাম।
আসেন সবাই মিলে বেশী বেশী আড্ডা দেই। আড্ডার আরও অনেক বিষয় আছে। ব্লগারদের মাথা থেকে আশা করি আড্ডা নিয়ে আরও আইডিয়া আসবে।
ছবি - নিউজওনলি২৪
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা জুন, ২০২৪ রাত ১১:২৬