somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ওয়েব কমিক রিভিউঃ এলেনা

০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:১৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




ভার্জিনিয়া অঙ্গরাজ্যের কোনো একটা গ্রামের বাসিন্দা বৃদ্ধ কার্ল। ৬০-৭০ এর মাঝামাঝি বয়সী এই লোক সামাজিকতা খুব একটা পছন্দ করেন না। বাইরের কারো সাথে তার আন্তরিকতা নেই, প্রতিবেশিদের সাথে মেলামেশা নেই। হয়তো বা তার এই ব্যাবহারের কারণ হল তার জন্মগত প্রতিবন্ধকতা, এক পা খোঁড়া। অথবা বুড়ো তার সুন্দরী বউটাকে মানুষের সামনে আনতে চায় না। কে জানে।

একদিন হল কি এক অতিউৎসুক প্রতিবেশি তার দরজায় উঁকি মারলো। সেদিন আবার বুড়ো কার্ল আর তার স্ত্রীর অ্যানিভার্সারি। কার্ল তার স্ত্রীকে নিয়ে ক্যান্ডেললিট ডিনার করল। তারপর গ্রামোফোনে পুরনো দিনের গানের সাথে নাচলোও দুজন। কিন্তু তার বউকে বসে থাকতে দেখা গেল হুইল চেয়ারে। উৎসুক প্রতিবেশি উঠানের দেয়ালের উপর উঠে দেখতে লাগলো কার্ল কিভাবে তার অনড় স্ত্রী এলেনা কে নিয়ে নেচে যাচ্ছে।

হ্যাঁ, এলেনা গল্পটি এক ভালোবাসার গল্প। কার্লের দীর্ঘ জীবনে ঘটে গেছে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, ও নির্মমতা। একাকী আর নিষঙ্গ কার্লের জীবনে একমাত্র সঙ্গী হল এলেনা। এলেনার ভালোবাসাই তাকে সুখ দেবে জীবন থেকে মরণে।

তবে কেন আজ ঐ প্রতিবেশি মহিলার মনে ঘোর প্রশ্ন জাগে? কেন কার্ল তার প্রতিবেশিকে দেখতে পেয়ে তার মাথায় আঘাত করে বসে? আর এলেনা কে? এলেনা বলে আদৌ কেউ আছে কি? এদিকে পুলিশ খুঁজছে একজন সিরিয়াল কিলারকে। দা লেডি ইন রেড, যে কিনা অল্পবয়সী বালকদের শরীর থেকে সব রক্ত বের করে ফেলে। তদন্তে বেরিয়ে আসে ভয়ঙ্কর এক কাল্টের না না তথ্য।

তো কার্লের স্ত্রী ভক্তির সাথে এই সিরিয়াল কিলিং-এর কি সম্পর্ক? জানতে চাইলে পড়ে ফেলুন বাস্তব ঘটনার অবলম্বনে রচিত গল্প “এলেনা”। লাইন ওয়েবটুন সাইটে ২৬ চ্যাপ্টারে ইতি টানা এই গল্পে রয়েছে হরর, মিস্টেরি, সাইকোলজিক্যাল এলিমেন্ট। চলচিত্র নিয়ে পড়ালেখা করার পরে সেই বিদ্যা কমিকের পাতায় কাজে লাগিয়ে খুব চমৎকার গল্প উপহার দিয়েছেন লেখক জর্জ হারামিলো। হরর ওয়েবটুন হলেও এই কমিকটাতে রয়েছে চোখ জুড়ানো আর্ট আর গভীর সব সংলাপ। মাঝে মাঝে গল্পটাকে হরর মনে হবে না। একজন সাইকোপ্যাথ এর কাছে স্বাভাবিকতার সংজ্ঞা কি তা নিয়ে প্রশ্ন উঠবে পাঠকদের মনে।

এলেনা গল্পের এক পর্যায়ে অ্যানিমেশন এর ব্যাবহার করা হয়েছে। আর আর্টস্টাইল টেলটেল সিরিজের ওয়াকিং ডেড গেইম এর কথা মনে করিয়ে দেবে।
গল্পটি পড়ুন এখানেঃ লিঙ্ক




নামঃ এলেনা
মিডিয়া: ওয়েব কমিক, ওয়েবটুন, গ্রাফিক নভেল
জনরা: থ্রিলার, সাইকোলজিক্যাল, হরর, রহস্য
লেখক ও আর্টিস্ট: জর্জ হারামিলো
চ্যাপ্টার: ২৬টি
প্রকাশকাল: সেপ্টেম্বর থেকে নভেম্বর, ২০১৫
এরকম গল্পের রেকমেন্ডেশন: The novel Buried by Tom Baker
ট্রিভিয়া : কার্ল টাঞ্জলার নামে বাস্তব জীবনে একজন ব্যাক্টেরিওলজিস্ট ছিলেন, যার প্রেমিকার নামও ছিল হেলেন/এলেনা।

সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৭ ভোর ৫:৩৯
৩টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×