somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

『গার্হস্থ্য অর্থনীতি』 জাপানি অদ্ভুত গল্প - ২৭

১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



• ৫ই জুলাই

আজকে আমার প্রথম গার্হস্থ্য অর্থনীতি ক্লাস ছিল।

কে যেন বললো,”এটাতো মেয়েদের জিনিষ!” আর টিচার খুব রেগে গেল।

উনি বললেন,”ছেলেদেরও আজকাল রান্নাবান্না, ঘরের কাজ এসব করতে হয়!”

আমাদের প্রথম ক্লাস রান্নার ক্লাস ছিল।

এক গ্রুপ ভাত বসালো।

আরেক গ্রুপ মিসো সুপ বানালো।

আরেক গ্রুপ বানালো মাংসের তরকারি।

আমি মাংসের তরকারি রাঁধতে শিখলাম।

আমার ভয় লাগছিল যখন ছুরি দিয়ে আলু আর গাজর কাটতে হল।

টিচার বলল, “ছুরি আস্তে ধীরে চালাও , নাহলে আঙুল কেটে যাবে।”

আমি আলু আর গাজর আর পিঁয়াজ কাটলাম। চপ চপ চপ! তারপর মাখানো মাংসের ভেতর ঢেলে দিলাম। আর তার কিছুক্ষণ পর তরকারি রান্না হয়ে গেল!

স্কুলের পরে আমি হাসপাতালে গেলাম। আম্মুকে যখন বললাম আমি মাংস রান্না করেছি আম্মু শুনে হেসে দিল। আম্মু বাসায় নেই বলে আমার খারাপ লাগে। তবে আম্মু বলল খুব তারাতারি বাসায় চলে আসবে।

তখন আমার যে কত্ত খুশি লাগলো।

আম্মু বলল, “তোমার ছোট্ট বোনকেও বাসায় নিয়ে আসবো!”
আমার বোনের নাম তোমোয়ো।

আম্মু হাসপাতালে কারণ তোমোয়ো এসেছে।

আমি বললাম, “আমি তোমোয়োর জন্য রান্না করবো, কেমন?” আম্মু বলল,”ও আরেকটু বড় হলে ওর জন্য রান্না করবে।”

আমি তোমোয়োর জন্য অনেক অনেক মাংসের তরকারি রান্না করে খাওয়াবো।

- - - - - - - - - - - - -

• ৮ই জুলাই

আম্মু আর তোমোয়ো বাসায় এসেছে। আব্বু অনেক খুশি। আমি বললাম আমি সবার জন্য মাংসের তরকারি রান্না করতে চাই।

আব্বু বলল, “আচ্ছা ঠিকাছে। কিন্তু আজকে না।” এই বলে আমাকে কিছুই করতে দিল না।

আমি ভেবেছিলাম আম্মু এতদিন পরে আমার সাথে খেলবে, কিন্তু সে সারাক্ষণ তোমোয়োকে নিয়েই খেলতে লাগলো।

- - - - - - - - - - - - -

• ১০ই জুলাই

শিনস্কে চাচ্চু, কাওরি আন্টি আর দাদু-দাদী বাসায় এসেছিল। হঠাৎ একদম ঈদ ঈদ লাগছিল।

আমার শিনস্কে চাচ্চুর সাথে খেলা করতে অনেক ইচ্ছা করছিল। কিন্তু চাচ্চু আমার সাথে খেলতে চাইলো না।

আমি কাওরি আন্টিকে একটা গল্পের বই পড়ে শোনাতে বললাম। আন্টি বই পড়ে শোনালোই না।

দাদু আর দাদীও আমার সাথে খেললো না। সবাই তোমোয়োকে নিয়ে খেলায় ব্যস্ত।

সবাই আমাকে বলল, “নিজের ঘরে গিয়ে খেলা করো গিয়ে।”

- - - - - - - - - - - - -

• ১২ই জুলাই

আন্টি, চাচ্চু, আর দাদু-দাদী শুক্রবারে আবার বাসায় এসেছিল। তারা সবাই আবার তোমোয়োকে অনেক আদর করলো। আমাকে কেউ পাত্তাই দিল না।

আম্মু তোমোয়োকে বলল,”মামুনিটা আমার এত্ত ফুটফুটে দেখতে হয়েছে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছা করে!”
আব্বু বলল, “আসলেই এত্ত সুন্দর বাবুটা।”

আম্মু বলল, “মেয়েটা আমার সবচে কিউট!”

- - - - - - - - - - - - -

• ১৮ই জুলাই

আমি সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠে চুলায় মাংসের তরকারি বসিয়ে দিলাম। আমি অনেক ভালো করে সবজি কেটে দিলাম। কিন্তু মাংসটা রান্না করা কঠিন ছিল। অনেক বেশিই নরম ছিল তাই কাটতে অসুবিধা হচ্ছিল।

“তোমোয়ো কোথায়! তোমোয়ো!” আম্মু তোমোয়োর খোঁজ করতে লাগলো।
তারপর সবাই বাসায় এসে জড়ো হল। মাংস সিদ্ধ হল খুব তারাতারি। ঝোল ফুটতে লাগলো

“তোমোয়োওওওওওও!”

আসলেই ও এত্ত ফুটফুটে খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করে।


(গল্পটি ইন্টারনেটে বহুল প্রচারিত জাপানি গল্প থেকে অনূদিত।)


সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই অক্টোবর, ২০১৮ দুপুর ২:৪৯
৩টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

চাঁদগাজীর মত শিম্পাঞ্জিদের পোস্টে আটকে থাকবেন নাকি মাথাটা খাটাবেন?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৭



আমাদের ব্রেইন বা মস্তিষ্ক কিভাবে কাজ করে লেখাটি সে বিষয়ে। এখানে এক শিম্পাঞ্জির কথা উদাহরণ হিসেবে টেনেছি মাত্র।

ধরুন ব্লগে ঢুকে আপনি দেখলেন, আপনার পোস্টে মন্তব্যকারীর নামের মধ্যে "জেন একাত্তর" ওরফে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টি দিল্লী থেকে।

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:১৫


((গত ১১ ডিসেম্বর ধর্মীয় উগ্রবাদ ও জঙ্গী সৃষ্টির ইতিবৃত্ত ১ শিরোনামে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম। সেটা নাকি ব্লগ রুলসের ধারা ৩ঘ. violation হয়েছে। ধারা ৩ঘ. এ বলা আছে "যেকোন ধরণের... ...বাকিটুকু পড়ুন

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

×