দীর্ঘ নয় মাস যুদ্ধে অর্জিত স্বাধীনতা..লাল রক্তের বিনিময়ে কাংখিত লালাভ সূর্য আজ দুর্নিতিগ্রস্থ..
যে স্বাধীনতার জন্য বাংলার মানুষ ইজ্বত-আব্রু ,রক্ত-দেহ বিলিয়ে দিলো সে স্বাধীনতা আজ বাকরুদ্ধ, নিশ্তব্ধ., স্বাধীনতা আজ কোথাও নেই. গ্রাম-গন্জ,পাড়া-মহল্লা সর্বত্র বিরাজ করছে পরাধীনতার হাওয়া..
সুখে-শান্তিতে থাকার জন্য যে দেশের জন্য মানুষ যুদ্ধ করলো সেই দেশেই আজ মানুষ বিনাকারণে বিনাঅপরাধে জেলে পচে মরছে মানুষ.. সিংগাইর উপজেলার
সাহরাইল লক্ষ্মীপুর
গ্রামের কবির হোসেন
(৩৫) নামের এক
নিরপরাধ যুবক চুরির
মামলায় হাজত
খাটছেন বলে অভিযোগ
উঠেছে। পুলিশ
কবিরকে গভীর রাতে
তার বাড়ি থেকে ওসি
সাহেবের কথা বলে
তুলে নিয়ে যায় বলে
তার স্ত্রী লাইলী
বেগম জানান। স্থানীয়
সূত্রে জানা যায়,
পুলিশের হাতে
গ্রেপ্তার হওয়া
নিরপরাধ কবির
হোসেন উপজেলার
সাইরাইল লক্ষ্মীপুর
গ্রামের আ. খালেকের
পুত্র। কবিরের ২ মেয়ে
ও স্ত্রী নিয়ে তার
সংসার। বড় মেয়ে
কনিকা ষষ্ঠ শ্রেণী ও
ছোট মেয়ে তানহা
তৃতীয় শ্রেণীতে
লেখাপড়া করে। কবির
স্থানীয় অনন্যা
ডিজিটাল ক্যাবল
নেটওয়ার্কে
টেকনিশিয়ানের কাজ
করেন। অভাব-অটনের
মধ্যেই স্ত্রী
সন্তানদের নিয়ে
সুখেই চলছিল তার
সংসার। লাইলী বেগম
অভিযোগ করে বলেন,
গত ২রা ডিসেম্বর রাত
১টার দিকে পুলিশ
তাদের বাড়িতে হানা
দিয়ে তার স্বামীকে
ওসি স্যার দেখা করতে
বলেছেন বলে থানায়
নিয়ে যায়। তিনি ওই
রাতে থানায় গিয়ে ওসি
সাহেবের সঙ্গে কথা
বলার চেষ্টা করে
ব্যর্থ হন। লাইলী
বেগম আরও বলেন, পর
দিন দুপুর পর্যন্ত
থানার সামনে বসে
থেকে ওসি সাহেবের
সঙ্গে দেখা করতে
পারিনি এমনকি কি
কারণে নিরাপরাধ
স্বামীকে থানায়
এনেছে তাও জানতে
পারিনি। পরে শুনলাম
তাকে চুরির মামলায়
জেলে পাঠানো হয়েছে।
স্থানীয় সাহরাইল
বাজারের অনন্যা
ডিজিটাল ক্যাবল
নেটওয়ার্কের প্রো.
সোহল আরমান বলেন,
কবির আমার এখানে ২
বছর যাবৎ অভাবের
কারণে চাকরি করে।
আসলে সে আমার
একজন ভালো বন্ধু।
চুরির মতো কাজের
সঙ্গে জড়িত থাকার
প্রশ্নই উঠে না।
গ্রেপ্তারকৃত
কবিরকে উপজেলার
ধল্লা ইউনিয়নের
খাসের চর বাজারে গত
১০ই অক্টোবর রাতে
আনোয়ার ফার্মেসিতে
চুরির মামলায়
গ্রেপ্তার দেখিয়ে
জেলহাজতে প্রেরণ
করা হয়েছে। এর আগে
পুলিশ ওই চুরির
মামলায় জড়িত
সন্দেহে বাজারের ২
নাইট গার্ড হোসন (৩০)
ও সিদ্দিক (৪৫)
গ্রেপ্তার করে।
মামলার বাদী আনোয়ার
হোসেন বলেন, কবির
নামে কাউকে আমি
চিনি না এমনকি
গ্রেপ্তারের ব্যাপারে
কিছুই জানি না।
বিষয়টি শুনে দুঃখ
পেলাম। তার অভিযোগ,
দোকানের চুরি হওয়া
কোন মালামাল উদ্ধার
কিংবা জড়িত কাউকে
পুলিশ গ্রেপ্তার করতে
পারেনি। মামলার
তদন্ত কর্মকর্তা
এসআই মো.
ওয়াহিদুজ্জামান
বলেন, মামলাটি
এখানও তদন্ত চলছে।
এ ব্যাপারে সিংগাইর
থানার ওসি মো.
সৈয়দুজ্জামান বলেন,
কবিরের বিরুদ্ধে আগে
কোন চুরির অভিযোগ
থাকতে পারে। বিষয়টি
অনেক আগের, তাই
ঠিক আমার মনে পড়ছে
না।এটাই কী আমাদের স্বাধীনতা...!?
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১২:২৯