somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আমি নিরবাক তাকিয়ে তাকতাম আর ভাবতাম ------- আপন কথেন আমি - ০৪

১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

আমি আমার জীবন থেকে পাওয়া বিষয় গুলো তুলে ধরিছ-- যাতে করে আমার মত কোন মেয়ে সুন্দর একটা জীবন থেকে ছিটকে না পড়ে।
আমার জীবন থেক নেয়া সত্য গল্পের ভিত্তিতে লেখা-------- এ সমাজ আমাকে যা দিয়েছে পরম আপন ভেবে আমি তাই তুলে দিচ্ছি আপনাদের কাঠগড়ায়----- ভাল মন্দের বিচারক আপনারা।


বেশ আনন্দেই কাটলো তিনটা দিন --------
কক্সবাজার গিয়ে পৌচলাম বিকাল প্রায় চারটার দিকে, আমরা চার জন মেয়ে বাকি দুজন মনির বান্ধবী--- ঐ দিন জানলাম মনি র্পালারে পাট টাইম কাজ করে। হোলেট না ঠিক বাড়ীই বলা চলে, সবার জন্য সিঙ্গ্যল রুম।
সমুদ্রের নেনা হাওয়া গায়ে লাগার সাথে সাথেই মনে হয় ক্লান্তিরা সব উবে গেছে --- সবাই ফ্রেস হয়ে বেরিয়ে পড়লাম সূর্যাস্ত দেখার জন্য, বিচে গিরে আমার আর তর সইলো না , আমি নেমে গেলাম পানিতে ---------
নোনা জলের সাথে আমরা সবাই অনেক ক্ষণ আমাদের আড্ডা চললো ------ সূর্য ডুবে যাওযাতে ফেরা পালা, পানি থেকে উঠতে গিয়ে দেখি ভিজা কাপড় নিয়ে লজ্জায় লাল হয়ে গেলাম --------- অনেক কষ্ট করে রাস্তায় উঠে রিক্্রা নিলাম,। প্রতি দিন সমুদ্রে øান করা --- অনেক ক্ষণ ধরে, ছবি তোলা , হাত ধরা ধরা ধরি করে অনেক দুর পর্যন্ত হেটে যাওয়া আজ এসবই এক দুস্বপ্ন -- কেউ হয়তো তার জীবন দিয়ে কিনতে চাইবনো। অনেক রাত পযন্ত আড্ডা চললো, ( প্রথম দুদিন চলেছে ) দ্বিতীয় দিন রাতে মনি পাটি দিয়েছিল----
হুসকী বিয়ারের নাম অনেক শুনেছি কিন্তু সেদিন দেখলা স্বচোখে------
দেখেই খ্যান্ত হইনি স্বাদও নিতে হয়েছিল মনির অনুরোধে। কেমন ঝাঝালো যেনো গলা ছিড়ে নিয়ে নেমে যাবে পাকস্তলিতে। বুঝতেই পারিনি বিয়ার বা হুসকি কিছুই খাটি বাংলায় তা ছিল বিদেশী মদ। যা কখনো দেখিনাই তার স্বদ বুঝবো কি করে ? ।
কখন যে মাতাল হয়ে নেতিয়ে পড়ি নিজেই জানিনা, যা হবার তা তখনই হয়েছে তখন----
ভোরে নিজেকে নিজের রুমেই আবিস্কার করি সম্পুন্য বিবস্্র অবস্থায় শুধু গায়ে চাদর দিয়ে ডাকা ছিল, নিজেকে এমন দেখে অবাক হই। পাশ্বেই মিনিআপা শোয়া ছিল তাকে জিজ্ঞাস করি আমার এ অবস্থা হল কি করে? ও কিছুনা তুমি নিজেই পাগলামি করেছিলা তোমর মনে নেই। নিজেকে নিজে শক্ত গালি দিলাম-- কেন যে স্বদ নিতে গেছিলাম।বার বার রাজনের কথা মনে হচ্ছিল।
তৃত্বীয় দিন থেকে সবাই কেমন জানি হয়ে গেল---- ঠিক বুঝে উঠতে পারছিলাম না। রাত ভর আড্ডাও আর চলে না। সূর্য উদয় যেনো ওদের আর কাছে টানেনা। ওদের চোখ জোড়া কেমন জানি ঠিকরে বেরিয়ে আসতে চায়- বোঝা যায় রাতে ওদের ভাল ঘুম হয়না। আমি অনেক বার জানতে চেয়েছি এর কারণ কি- মনি বলতো সময় হলে জানবি আর ন্যকামি করিস কেন কিছুই বুঝিসনা।
মণি আগে থেকেই আমাকে সব সময় বাজে একটা প্রস্তাব দিত, অনেক সময় বলতো নিজরে এত রূপ তাকতে এত কষ্ট করতে হয় নাকি? এত টিউশনির কি দরকার আমি তোমাকে দেখাবো জীবনরং দিয়ে কি ভাবে অনন্দে ভাসতে হয়। এক বার নিজেকে মেলে দিয়ে দেখ। আমার সাথে এর আগে এ নিয়ে ভিষন রাগারাগি হয়েছিল। পরে অবশ্য নিজেই মিট করে।
চতুর্থ দিন রাতে ও আমার হাতে একটা খাম ধরিয়ে দিয়ে যায়। খামটা খুলে যা দেখলাম তা দেখার আগেই আমার মরণ কেন হল না ভাবছিলাম, আমার সমস্ত পৃথিবী দুলে উঠলো-----
চারটা ছবি এবং একটা চিঠি পাই তাতে----- চিঠিতে লেখা তুমিই সিদ্বান্ত নাও কি করবে আমাদের সাথে থাকবে নাকি তুমি তোমার নিজের সিদ্বান্তে থাকবে। যদি তুমি তোমার নিজের সিদ্বান্তে থাক তাহলে তোমাকে এর জন্য আরো চরম মুল্য দিতে হবে। তা তুমি কল্পনাও করতে পারোনা। আসলে ওরা আমাকে মায়াসমারে বিক্রি করে দিতে চাইছিল। মনি বাধা দেয় কি ভেবে তা জানিনা।
আমাকে দু দিন আটকিয়ে রাখা হয় মানসিক অত্যাচার, শারীরিক ভাবেও অত্যাচার করা হয়। ভয় দেখা হয় ছবি গুলো আমার ভাই এর কাছে পাঠাবে -------
সপ্তম দিন রাতে আমার ঘরে কারো উপস্থিতি টের পেলাম, একটু পরেই বাতি জ্বলে উঠলো দেখলাম মনির এক বান্ধবী সাথে এক যুবা, দেখইে ভয়ে আতকে উঠলাম, রিনি ভাজে ভাষায় বললো বুঝে নেও--- এই বলে চলে গেল রিনি। বুঝতে আর কিছুই বাকি ছিল না কি হতে যাচ্ছে মনে মনে খোদা কে ডাকলাম, না তিনি এই পাপির কথায় কোন সাড়া দিলেন না।

যুবা জানতে চাইলো নানা কথা যা লিখে প্রকাশ করার মত না। কিছুতেই আমাকে কাবু করতে না পেরে চুল ধরে আমাকে তার শরীলের সমস্ত শক্তি দিতে মারতে লাগলো। এক সময় নেতিয়ে গেলাম--------- কখন কি হল জানিনা, জ্ঞান ফিরলে বুঝতে পারলাম আমার সব কিছু শেষ। শরীলে প্রচন্ড ব্যথা অনুভব করলাম--------- কাঁদতে চাইলাম কিন্তু চোখ দিয়ে জল এলনা। এ ভাবেই আমার এগারোটি দিন রাত কাঠলো। প্রতি দিন রিনি এসে গোসল করাতো ---- বুঝাতো আমার এসব কিছু করি আমাদের এ সমাজে বেচে থাকার জন্য, আমি নিরবাক তাকিয়ে তাকতাম আর ভাবতাম ------- ।



সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই জানুয়ারি, ২০০৮ রাত ১১:৪৯
১০টি মন্তব্য ৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

হাদিকে গুলি করলো কে?

লিখেছেন নতুন নকিব, ১২ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:২৬

হাদিকে গুলি করলো কে?

ছবি অন্তর্জাল থেকে নেওয়া।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা ৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী রাজপথের অকুতোভয় লড়াকু সৈনিক ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদিকে গুলিবিদ্ধ... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানুষের জীবনের চেয়ে তরকারিতে আলুর সংখ্যা গণনা বেশি জরুরি !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:১৭


বিজিবির সাবেক মহাপরিচালক জাহাঙ্গীর আলম স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে দেশবাসী একটা নতুন শব্দ শিখেছে: রুট ভেজিটেবল ডিপ্লোম্যাসি। জুলাই আন্দোলনের পর যখন সবাই ভাবছিল স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইতিহাসের সেরা ম‍্যাটিকুলাস ডিজাইনের নির্বাচনের কর্মযজ্ঞ চলছে। দলে দলে সব সন্ত্রাসীরা যোগদান করুন‼️

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৪:৪৪



বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্ব নিকৃষ্ট দখলদার দেশ পরিচালনা করছে । ২০২৪-এর পর যারা অবৈধ অনুপ্রবেশকারী দিয়ে দেশ পরিচালনা করছে । তাদের প্রত‍্যেকের বিচার হবে এই বাংলার মাটিতে। আর শুধুমাত্র... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির হত্যাচেষ্টা: কার রাজনৈতিক ফায়দা সবচেয়ে বেশি?

লিখেছেন শ্রাবণধারা, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:১৮


হাদির হত্যাচেষ্টা আমাদের সাম্প্রতিক রাজনীতিতে একটি অশনি সংকেত। জুলাই ২০২৪ আন্দোলন-পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের দ্বিধাবিভক্ত সমাজে যখন নানামুখী চক্রান্ত এবং রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অন্তর্কলহে শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও আয়-উন্নতির গুরুত্বপূর্ন প্রশ্নগুলো... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমি আর এমন কে

লিখেছেন রূপক বিধৌত সাধু, ১৩ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:১৩


যখন আমি থাকব না কী হবে আর?
থামবে মুহূর্তকাল কিছু দুনিয়ার?
আলো-বাতাস থাকবে এখন যেমন
তুষ্ট করছে গৌরবে সকলের মন।
নদী বয়ে যাবে চিরদিনের মতন,
জোয়ার-ভাটা চলবে সময় যখন।
দিনে সূর্য, আর রাতের আকাশে চাঁদ-
জোছনা ভোলাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×