আর ইট্টুর লাইগ্যা আমি পেরেমে পড়তে পারলাম না। আর ইট্টুর লাইগ্যা আমি "তোমার গরুর লাহান চোখে হারিয়া যায় মন..." নামক কবিতা লিখবার পারলাম না। আর ইট্টুর লাইগ্যা কাইজ কাম ফাঁকি দিয়া কারো হাত ধইরা রমনার বট গাছের তলায় বইয়া বাদাম খাইতে পারলাম না। ঈশ, আর ইট্টুর লাইগ্যা...। কেবল একটা ধাক্কা... ব্যস কম্মসাবার। মাগার ঐযে, ভাগ্যদেবী। বেটি মনেহয় আমার উপর কোন কারণে বিলা!
এক্কেবারে তরতাজা কাহিনী, ঘন্টাখানেক আগের। ইশটিশন থাইকা বাইর হইতাছি শিষ বাজাইতে বাজাইতে, মোটামুটি টেরাইয়া টেরাইয়া। মেইন ফটকের বাইরে আইসা যেইনা ঘুরতে গেছি, অমনি উলটা দিক থাইক্যা উড়ন্ত বেগে চলন্ত, কইত্থাইকা আমার মাধুরী আইসা হার্ড ব্রেক কষলো আমার মুখের সামনে। দূরত্ব!! আধা বিঘতের কম। রমযান মাস, সংযমের মাস। এক পলকের বেশিতো দেহন যাইবো না। তয় দৃষ্টি ব্যাটারে পোষাইয়া দিলাম, এই এক পলকেই
।অলিভ রঙের একটা ব্লেজার, হালকা বাদামি রঙের চুল গুলা একটা রাবার ব্যান্ড দিয়া বান্ধা, নিচের দিকে কি পড়া তাকানের বেইল পাই নাই। তয় চেহারা মুবারক খারাপ না। চক্ষের ভুরু গুলান, চিক্কন কইরা ছাঁটা, চোখ গুলা গরুর লাহান না, এইখানেই ইট্টু পরোবলেম হইলেও একেবারে নেহায়েত খারাপ না। সেই চক্ষে না আছিল আগুন না দেখছি আমি টুনটুনির বাসা।
"এক ধাক্কায় পেরেম", সাগরিকা দেইখা এই থিওরী নিয়া নিজেরে উত্তম ভাইবা কতযে সুচিত্রা খুঁজছি তার গোনা কেডা গুনবো? মাগার আইজকা অল্পের লাইগ্যা আমার পেরেমে পড়া হইলো না, ধাক্কাটা খাইতে গিয়াও খাওয়া হইলো না, মাধুরি করছে হার্ড বেরেক আর আমি গেছি পিছাইয়া।
আমার মাধুরী, বেদের মাইয়া জোশনা হইয়া আমার জীবন রোশনাই না কইর্যাই আরো একবার ফুঁচকি দিয়া, আমারে ফাঁকি মাইরা চইল্যা গেলো। মনের এই দুষ্ক আমি কাহার কাছে বরণন করিবো?
সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে ডিসেম্বর, ১৯৬৯ সন্ধ্যা ৭:০০

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



