সজনে দেশে বহুল পরিচিত এবং সবচেয়ে পুষ্টিকর গুল্ম উদ্ভিদ যা প্রায় ৩০০ রোগর ঔষধ হিসেবে কাজ করে। ভারতের পুষ্টি ফাউন্ডেশনের প্রেসিডেন্ট ডা: সি গোপালান এর তথ্যানুসারে সজনে পাতায় কমলা লেবুর চেয়ে ৭গুন বেশি ভিটামিন সি, কলার চেয়ে ৩ গুন বেশি পটাশিয়াম, দুধের চেয়ে ৪গুন বেশি ক্যালসিয়াম, দইয়ের চেয়ে ২গুন বেশি প্রেটিন, পালং শাকের চেয়ে ৫ গুণ বেশি আয়রন এবং গাজরের চেয়ে ৪গুন বেশি ভিটামিন এ রয়েছে। এতে ৯২ ধরণের পুষ্টি উপাদান, ৪৬ ধরণের এন্টিঅক্সিডেন্ট, ১৮ টি অ্যামাইনো এসিড ও ৮টি অত্যাবশ্যকীয় অ্যামাইনো এসিড বিদ্যমান। সজনেকে বর্তমান বিশ্বে ‘সুপার ফুড’ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে। বহুবিধ খাদ্যগুণ সম্পন্ন হওয়ায় দক্ষিণ আফ্রিকায় সজনে গাছকে ‘যাদুর গাছ’ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। শরীরের প্রয়োজনীয় সব ভিটামিন ও অ্যামিনো এসিড থাকায় বিজ্ঞনীরা সজনে পাতাকে ‘পুষ্টির ডিনামাইট’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন। এই পাতা মানুষের পাশাপাশি পশুপাখি ও গাছের জন্যও অনেক উপকারী।
এই গাছ নিয়ে যত স্টাডি করছি তত বিষ্মিত হচ্ছি। ইচ্ছে আছে সজনে গাছের পুষ্টিগুন নিয়ে তৃণমূল পর্যায়ে সচেতনতা বাড়ানোর পাশাপাশি খামারের (Rupgramagrofarm) মাধ্যমে সহজ লভ্য কিছু পণ্য উৎপাদন করার।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০১৮ দুপুর ১২:৫১