somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিডিয়ার কারিগর খোদ সিআইএ বলে আমেরিকান সিনেটে স্বীকারোক্তি আর বাংলাদেশী বাস্তবতা

২২ শে মার্চ, ২০১৪ বিকাল ৫:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

প্রথমে ৭২ সালে চিলির ক্যরিশমাটিক প্রেসিডেন্ট সালভাদর আলেন্দেকে হত্যার পেছনে সিআইএর জড়িত থাকার স্বীকারোক্তি থেকে কিছু অংশ-
‘..প্রোপাগাণ্ডা প্রোজেক্টের সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ধরনটা হচ্ছে, মিডিয়ার ভেতরে ‘সম্পদ’ (এজেন্টের ছদ্মনাম) তৈরী করা। যারা কিনা প্রবন্ধ লিখতে পারে বা যাদেরকে দিয়ে লেখানো যাবে। প্রোপাগাণ্ডার ধরনটা কেমন হবে সে বিষয়ে সিআইএ তার ফিল্ড স্টেশনকে বিভিন্নরকমভাবে গাইড করে থাকে। ... এইসব ‘সম্পদ’দের(এজেন্টের ছদ্মনাম) বেশীরভাগই কাজ করতো চিলির একটি প্রভাবশালী দৈনিকে যেটা ছিল সিআইএর প্রোপাগাণ্ডা কাযক্রমের মূল চাবিকাঠি। এইসব ‘সম্পদ’রা এমনসব প্রবন্ধ বা সম্পাদকীয় লিখতো যা হতো চিলির সরকারের জন্য স্পর্শকাতর আর চাপা দিয়ে দিত সেইসব খবর যা আমেরিকার (আর তার দালালদের) জন্য ক্ষতিকর।‘

১৯৬১ থেকে ১৯৭৭৪ পর্যন্ত সিআইএ কতৃক চালানো প্রায় ৩০টি ‘কভার্ট একশান’ (মানে কুটনীতি বহিভূর্ত গোপন ততপরতা) প্রোজেক্টের মধ্যে আধা ডজনেরই মূল কার্যক্রমই ছিল প্রোপাগাণ্ডা। অন্যান্য প্রজেক্টের ক্ষেত্রেও, বিশেষ করে নির্বাচন প্রজেক্টের ক্ষেত্রে, অন্যান্য অনেক কার্যক্রমেরও পার্শ্বকার্যক্রম ছিল প্রোপাগাণ্ডা। প্রেস সংক্রান্ত কার্যক্রম বেশী বেশী আকর্ষনীয় ছিল। কারন, প্রতিটি ফিচারেরই চক্রবৃদ্ধির মতোন বহুগুন প্রভাব পড়তো। কারন সেগুলো যেখানে প্রথম ছাপা হতো সেখান থেকে অন্য মিডিয়া লুফে নিতো আর পুনরায় নতুন করে প্রচার করতো।

[সূত্র: COVERT ACTION IN CHILE 1963-1973, STAFF REPORT OF THE SELECT COMMITTEE,
UNITED STATES SENATE]

আসুন এবার আমাদের দেশের কিছু বর্তমান বাস্তবতা মিলিয়ে দেখি-

১) নাটক বনাম টকশো-

আমার এক বন্ধু দীর্ঘদিন মন্চ নাটকের সাথে সম্পৃক্ত। সংসার চালানোর জন্য অন্য কোন পেশা নেই। বরাবরই সে অর্থকষ্টে থাকে। সাইমন ডিংএর একুশে টিভি দিয়ে যখন বেসরকারী টেলিভিষন প্রথম যাত্রা শুরু করল, তখন চ্যানেলগুলো অনেক ভালো ভালো নাটকসহ বিভিন্ন ধরনের বিনোদনমূলক অনুষ্ঠান করতো। এর জন্য তারা পর্যাপ্ত টাকা দিত। দর্শকপ্রিয়তার কারনে বিজ্ঞাপন পেত পর্যাপ্ত। খরচ উঠে বৈধভাবে স্বাভাবিক লাভ করতো। ফলে নাটকের মান যেমন রাতারাতি ভালো হয়ে গেল তেমনি শিল্পীরা কিছু টাকার মুখ দেখলো।

পরে বিএনপি ক্ষমতায় আসার সাথে সাথে জনৈক পিএস একুশে টিভির বিভিন্ন যন্ত্রপাতি দখল করে নেন, সরকারিভাবে একুশের সম্প্রচার বন্ধ করে দেয়া হয়। আর পিএস সাহেব খুলে বসেন নতুন টিভি। আরো পরে একূশে টিভি অর্থনৈতিকভাবে ধরাশায়ী হয়ে লাইসেন্স বিক্রি করে দেয় কোন এক শত-কোটি-পতির কাছে!! এখন বাংলাদেশে অসংখ্য টিভি চ্যানেল।সেগুলোর মালিক হঠাত গজিয়ে উঠা অসংখ্য শত-কোটি-পতি বা হাজার-কোটি-পতি। কিন্তু ভালো কোন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানতো দূরের কথা, কোন বিনোদনমূলক অনুষ্ঠানই প্রায় তারা দেখায় না। চ্যানেলের পর চ্যানেল চেন্জ করতে থাকুন, দেখবেন বাংলাদেশী টিভিগুলোতে শুধু টকশো আর টকশো, খবর আর খবর, মাঝে কিছু বিজ্ঞাপন। অন্যদিকে বিদেশী টিভি চ্যানেলগুলো ? বিবিসি/সিএনএনএর মতো হাতে গোনা ২/৩ টা চ্যানেল আছে যারা মুলত সংবাদ নির্ভর। আর স্টার মুভিজ বলুন, এইচবি বলুন, জি-বাঙলা বলুন, জি সিনেমা বলুন, স্টার প্লাস বলুন- সবখানেই শুধুমাত্র বিনোদন মূলক অনুষ্ঠান। টিভিতো মূলত তাই !! সারা পৃথিবীতেই তাই ! শুধুমাত্র বাংলাদেশ ব্যতিক্রম।

আমাদের মতো দেশগুলোতে বরাবর নারি দর্শকরাই বেশী টিভি দেখেন। তারা সাধারনত দেখেন নাটক-সিরিয়াল। পুরুষরা কম দেখেন, সাধারনত দেখেন খবর আর খেলা। কিন্তু এখনকার টিভি চ্যানেলগুলোতে দিনরাত ২৪ ঘন্টা চলছে হাসিনা ধোলাই । বাহানা হল খবর আর টকশো। ফলে নতুন এক মিডিয়া কৃ্তে নারি দর্শকদের জায়গা নিয়ে নিয়েছে পুরুষরা !!

যারা বাঙলা ভাষায বিনোদন চান তাদের একমাত্র আশ্রয় জি-বাংলা।আমাদের দেশের বিটিভিতে একসময় আমরা দেখেছি এইসব দিনরাত্রি, বহুব্রিহী, সংসপ্তকের মতোন সব নাটক, আর আজ আমাদের হ্যাঙলার মতো তাকিয়ে থাকতে হয় ভারতীয় সিরিয়াল ‘রাশি’ অথবা ‘বয়েই গেলো’র দিকে !! কিন্তু এর কারন কি ? ...

২) গোলাপি বনাম গোপালী

ম্যাডাম যেদিন পুলিশ কনস্টেবলকে গোপলী বললেন, সেদিন সেটাই ছিল সারাদেশের মানুষের মুখে মুখে। বলুনতো কোন বাক্যটা ছিল সবচেয়ে আলোচিত ?
১) গোপালগন্জের নামো থাকবে না
২) বাড়ি কোথায় গোপালি ?
৩) গোপালগন্জ জেলা আর থাকবে না
৪) এতোক্ষনতো খুব কথা বলছিলেন, এখন মুখটা বন্ধ কেন ? এই যে মহিলা।
৫) হাসিনার দালালি করে লাভ হবে না

সত্যি করে বলুন তো কোনটা সবচেয়ে আলোচিত ? ৫ নাম্বার টা কি ? কথনোই নয়। অথচ প্রথম আলু সব ছেড়ে শিরোনাম করলো সেটাই। কেন ?

আরেকটা কথা বলি, লীগের কেউ এরকম কিছু করলে সেটা হতো ‘কেলেংকারী’, কিন্তু এটা ২ দিন পরই আড়ালে চলে গেল।কেন ?

৩) বিচারঃ কোনটা কেলেংকারী, কোনটা নয়?
তারেক রহমানকে বেকসুর দেয়া বিচারের রায়ে একই অপরাধে মামুনকে ৭ বছর জেল দেয়া হল। এমন সময়ে যখন আর কয়েকদিন পরই মামুনের জেলে থাকা ৭ বছর পূর্ন হবে !! আর তাকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করার পর তার আইনজীবিসহ বিএনপির সেকি উল্লাস। হায়রে ৪০ কোটি টাকা যেন টাকাই না। আপনাকে ৪০ কোটি টাকা জরিমানা করলে আপনি কি সেটা শোধ দিয়ে জেল থেক বেরুতে পারতেন ? নাকি রায়ে টাকার অংক শুনে হার্ট ফেল করে মারা যেতেন ?

প্রথম আলো এই বিচারক নিয়ে মাত্র একটিই খবর প্রকাশ করেছে- সেটার ভিতরের পাতার ‘বাকি অংশে’র শেষ ২/৩ লাইনে আছে- বিচারক রায়ের পরে অবসরে গেছেন, রায়ের পরে ধানমণ্ডিতে ২ টা এপার্টমেন্ট কিনেছেন, লণ্ডনে এপার্টমেন্ট কিনেছেন, আর সপরিবারে মালয়েশিয়ায় ভেগে গেছেন, সরকারের নিষেধাজ্ঞা ফাকি দিয়ে !!
এটা আমাদের সুশীল মিডিয়ার মতে কোন কেলেংকারী না। এই খবর ভিতরের পাতার শেষ লাইন ২/৩ এ একবারই মাত্র ছাপা হল। আর কোন ফলো-আপ নেই, টকশোতে হুল্লোড় নেই, ‘অল কোয়ায়েট অন দি ওয়েষ্টার্ন ফ্রন্ট।

মাইক্রাসফ্টের ভাষ্য অনুযায়ী স্কাইপের কথা কোনভাবে ফাস করা যায় না। তারা নিজেরা শুধুমাত্র পারে, যদি একমাত্র মার্কিন সরকার চায়, তাহলে তারা কথোপকোথনের রেকর্ড দিতে পারে। রাজাকারদের নেতার বিচার নিয়ে বিচারপতি স্কাইপেতে তার এক বন্ধুর সাথে, যিনি কিনা আর্ন্তজাতিক বিশেষজ্ঞ, তার সাথে আলাপ করেছেন। সংবিধান বা আইনের কোন ধারায় এটা কোন অপরাধ নয়। উনি বন্ধুর সাথে শেয়ার করেছেন, ‘সরকার রায়ের জন্য পাগল হয়ে গেছে।‘ তা সেটা তো সরকার চাইতেই পারে। কারন বিচার দীর্ঘ হলে এই আমরাইতো সরকারেক দায়ী করি। বলি যে সরকার জামাতের সাথে আপস করেছে। ফাসির জন্য পাগল হয়ে গেছে সেটা উনি বলেন নি। এছাড়া রায়ের ড্রাফটটা নিয়ে কথা হয়েছে। তো এটা হয়ে গেল প্রলয়ংকারী – আন্তজার্তিক কেলেংকারী।

বেশ, তাহলে বিচারকের পলায়ন কেন কেলেংকারী হল না ? কোনটা বড় অপরাধ ? কথা বলা নাকি আয়ের সাথে বিন্দুমাত্র সংগতি নেই সেইরকম সম্পদ রাতারাতি বানিয়ে ফেলে ভেগে যাওয়া ?

৪) ৭ই মার্চ কেন ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ?
আমাদের জাতির জন্মের পেছনে ৭ই মার্চের বংগবন্ধুর ভাষনের তাতপর্য জেনারেল জিয়ার লেখা ‘একটি জাতির জন্ম’ লেখায় আছে। জিয়ার লেখনি অনুসারে এই ভাষন ছিল বাঙালী সেনা অফিসারদের কাছে ‘গ্রীন সিগন্যাল’। প্রথম আলো ৭ই মার্চ উপলক্ষে ২ টা অনুষ্ঠানের খবর ছেপেছে। ১টা প্রধানমন্ত্রী হাসিনার সরোয়ার্দী উদ্যানের জনসভার খবর, অন্যটা ? তারেকর কারাবরন দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির আলোচনা সভার খবর ! বলুনতো কোন খবরটা তারা অনেক বেশী শব্দ আর জায়গা জুড়ে ছেপেছে ? তারেকের কারাবরন দিবসের খবর !!

আপনি কি জানেন বংগবন্ধু, হাসিনা বা খালেদার কোন কারাবরন দিবস আছে ? নাই। তাহলে তারেকের কারাবরন দিবস কেন ? আর তার গুরুত্ব প্রথম আলোর কাছে এতো বেশী কেন ?

আসলেই কি বাংলাদেশের জন্য ১৯৭১ এর ৭ই মার্চের চেয়ে ২০০৭ সালের ৭ই মার্চ বেশী গুরুত্বপূর্ন ? এই বালকসুলভ ‘নিরপেক্ষ’ প্রশ্নের উত্তর আমি খুজছি না। আমার প্র্রশ্ন- কেন তারা ৭১ এর ৭ মার্চের স্মরনে হাসিনার জনসভার খবরের চেয়ে তারেকের জেলে যাবার দিন নিয়ে ফকরুলের ঘরোয়া আলোচনা অনুষ্ঠানের খবর অনেক বেশী জায়গা জুড়ে ছাপে ?

৫) জিয়া হত্যা বনাম মন্জুর হত্যা
বাংলাদেশের রাজনীতিতে কে বেশী গুরুত্বপূর্ণ ? জিয়া নাকি মন্জুর ?
কে আগে মারা গেছেন ? জিয়া নাকি মন্জুর।
নিশ্চয়ই জিয়া।

তাহলে আজ এতো বছর পরে মন্জুর হত্যা নিয়ে প্রথম আলো ব্যপক ঢাক ঢোল পেটালো, কেন তারা জিয়া হত্যার বিচার নিয়ে টু শব্দটা করে না ? সেটার তো তদন্তই ম্যডাম গতবার ক্ষমতায় আসার ১ মাসের মধ্যে বন্ধ করে দেয়া হয়েছিল। বিচার তো বহুদূর !! এরশাদ অনেক নাটক করে শেষ পর্যন্ত সংসদে শপথ নিয়েছেন, সে কারনে বিদেশী গডফাদাররা তার উপর কিন্চিত ক্ষিপ্ত, সেকারনে মন্জুর হত্যা নিয়ে হটাত হৈ চৈ কিনা সেটা আমি বলতে চাইনা, আমার প্রশ্ন জিয়া হত্যার তদন্তের চাইতেও মন্জুর হত্যার বিচার প্রথম আলোর কাছে বেশী গুরুত্বপূর্ণ কেন?

৬) আসামী দোষী না নিদোষ: বিচারকের ভূমিকায় প্রথম আলো
এক মামলার আসামী গত নির্বাচনে আলীগের মনোনয়নপত্র নিয়েছিল। সেটা প্রথম আলো বিশাল করে ছাপল। আসামী মনোনয়ন পত্র কিনেছে, কি ভয়ংকর কথা। আরে ভাই মনোয়ন কিন্তু তখনো পায় নাই- তাতে কি- কে শোনে কার কথা! আর- ম্যডাম, তারেক বা কোকোর ক্ষেত্রে ? তখন হেডিং হয় বারবার- ‘জিয়া পরিবারের বিরুদ্ধে ২৫ মামলা।‘ আশ্চর্য- হুবুহু এই হেডিং বছর খানেক আগে দেখেছি বাংলাদেশ প্রতিদিনে !!! তো সেইসব মামলার আসামীরা কি আসামী না ? তখন সুরে আবার বিরহের ঘটা কেন ? তারা মনোয়নপত্র কিনলে দোষ নাই ?

কোন মন্ত্রী ১০ কোটি টাকা বানিয়েছে তাই নিয়ে তোলপাড়, তো জিয়া পরিবার যে হাজার কোটি টাকা বানালো, কিভাবে বানালো- সেই প্রশ্ন কেউ করে না- কেন ?

৭) রাজাকার বনাম মুক্তিযোদ্ধা
যুদ্ধপরাধীদের বিচারে কোন ফাক পেলেই মিডিয়া ব্যপক শোরগোল তোলে। কই তারা কখনো তো বলেনা, জামাত আর তার নেতারা ৭১ এ কি কি বলেছিল, আর কি কি করেছিল ? মিডিয়া শুধুমাত্র আলীগের কোন পাতি নেতা চুরি করে ১০ কোটি টাকা বানালো, সেই হিসাব নিয়েই ব্যস্ত। ৩ লাখ ধর্ষনকে যারা ইসলাম সম্মত (নাউজুবিল্লাহ) বলে ফতোয় আর নেতৃত্ব দিয়েছিল, যারা বলেছিল, ‘তথা কথিত বাংলাদেশ হল মুজিব আর শ্রী তাজউদ্দিনের কল্পিত রাম রাজ্য’- তাদের যুদ্ধের আইন ভেংগে, বেসামরিক মানুষকে, বন্দীদেরকে হত্যা-ধষর্নের উপরে কোন ফিচার, কোন ‘সুশীল’ কলাম, কোন সাক্ষাতকার, কোন টক শো, কখনো দেখেছেন ? কেন নয়?

সবকিছু বলা যায়, আর রাজাকারের কু-কর্মের ইতিহাস খোজার দায়িত্ত শুধু মুনতাসীর মামুনের একার ?

বাংলা একাডেমীর একটা সিরিজ ছিল, ‘স্মৃতি ১৯৭১’। এতে থাকতো কিভাবে বুদ্ধিজীবিদের রাজাকার-আলবদরা ধরে নিয়ে গেছে তার র্বনণা, শহীদের স্ত্রী বা ছেলেমেয়ের স্মৃতি থেকে। কই কোনদিন প্রথম আলোতে এরকম কোন ধারাবাহিক-উল্লেখযোগ্য কোন লেখা দেখেছেন, যেটা মনে একটুও দাগ কেটেছে ? কেন কখনোই নয় ?


৮) লিফসুলজ
আমেরিকান সাংবাদিক লরেন্স লিফসুলজের (যিনি তথ্য প্রমান দিয়ে লিখেছেন, বংগবন্ধু হত্যার মূল পরিকল্পনাকারি হল সিআইএ) অসংখ্য লেখাইতো প্রথম আলো ভীষন গুরুত্ব দিয়ে ছাপলো। কথনো কি তার একটি ভীষন গুরুত্বপূর্ণ অংশ তারা ছেপেছে ? যেখানে লিফসুলজ ১৭৫৭ এর পলাশীর সাথে ৭৫ এর তুলনা করেছেন, তথ্য আর অকাট্য যুক্তি দিয়ে, আর জিয়াকে বলেছেন নতুন মীর জাফর !! এটা কি প্রথম আলো কোনদিন ছাপতে পারবে ? না কোন সুশীল এটা নিয়ে টকশো করবেন ? কেন নয় ?


৯) সাংবাদিকরা সব সত ?

বাংলাদেশের চুরির সুযোগ পাওয়া ৯৯.৯% লোকই অসত।শুধু সাংবাদিক পেশার ৯৯.৯% লোকই সৎ। কেন বললাম? ধরুন একজন সাংবাদিক ইচ্ছা করলেই সরকারের মন্ত্রী পর্যায়ের কারো সাথে সম্পর্ক ভালো রেখে অর্থনৈতিক/তদবীরের সুবিধা পেতে পারেন। কিন্তু তারা সেটার থোড়াই কেয়ার করেন। তারা সারাক্ষন টক কথা বলেন, মিস্টি কিছু কদাচ বলেন না। কেন ? আসলেই কি তারা সবাই এই পর্যায়ের সৎ ? নাকি তারা আরো বড় কোন শক্তির কাছ থেকে সুবিধা পাচ্ছেন, যেটার তুলনায় বাংলাদেশের মতো গরীব দেশের সরকার কিইবা আর দিতে পারে !!

সবশেষে কবীর সুমনের একটা গানের লাইন- ‘প্রশ্নগুলো সহজ আর উত্তরোতো জানা....!!’ ঠিক না ?
১টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অনির্বাণ শিখা

লিখেছেন নীলসাধু, ০৭ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



রাত ন’টার মত বাজে। আমি কি যেন লিখছি হঠাৎ আমার মেজো মেয়ে ছুটতে ছুটতে এসে বলল, বাবা একজন খুব বিখ্যাত মানুষ তোমাকে টেলিফোন করেছেন।

আমি দেখলাম আমার মেয়ের মুখ উত্তেজনায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

=ইয়াম্মি খুব টেস্ট=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:১৪



©কাজী ফাতেমা ছবি
সবুজ আমের কুচি কুচি
কাঁচা লংকা সাথে
ঝালে ঝুলে, সাথে চিনি
কচলে নরম হাতে....

মিষ্টি ঝালের সংমিশ্রনে
ভর্তা কি কয় তারে!
খেলে পরে একবার, খেতে
ইচ্ছে বারে বারে।

ভর্তার আস্বাদ লাগলো জিভে
ইয়াম্মি খুব টেস্ট
গ্রীষ্মের... ...বাকিটুকু পড়ুন

অণু থ্রিলারঃ পরিচয়

লিখেছেন আমি তুমি আমরা, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৭


ছবিঃ Bing AI এর সাহায্যে প্রস্তুতকৃত

১৯৪৬ কিংবা ১৯৪৭ সাল।
দাবানলের মত সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ছড়িয়ে পড়েছে সারাদেশে।
যে যেভাবে পারছে, নিরাপদ আশ্রয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছে। একটাই লক্ষ্য সবার-যদি কোনভাবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

শিরোনামহীন দুটি গল্প

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ০৭ ই মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৫৫

গল্প ১।
এখন আর দুপুরে দামী হোটেলে খাই না, দাম এবং খাদ্যমানের জন্য। মোটামুটি এক/দেড়শ টাকা প্লাস বয়দের কিছু টিপস (এটা আমার জন্য ফিক্সড হয়েছে ১০টাকা, ঈদ চাদে বেশি হয়,... ...বাকিটুকু পড়ুন

এশিয়ান র‍্যাংকিং এ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান !!

লিখেছেন ঢাবিয়ান, ০৭ ই মে, ২০২৪ রাত ৮:২০

যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিক্ষা সাময়িকী 'টাইমস হায়ার এডুকেশন' ২০২৪ সালে এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকা প্রকাশ করেছে। এশিয়ার সেরা ৩০০ তালিকায় নেই দেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয়।তালিকায় ভারতের ৪০, পাকিস্তানের ১২টি, মালয়েশিয়ার ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়... ...বাকিটুকু পড়ুন

×