প্রেম- ধর্ষণের এক হাতিয়ার।
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
মধু ও চন্দ্রিমা। একই ক্লাসেই পড়ে। চলচ্চিত্র, নাটক ও বন্ধু-বান্ধবদের নিকট প্রেম কাহিনী শুনে আবেগের বসে প্রেম করা শুরু করে। বড় হওয়ার সাথে সাথে মধু বুঝতে পারে, চন্দ্রিমার যখন বিয়ের বয়স হবে তাকে তখন ব্যস্ত থাকতকে হবে তার ক্যারিয়ার নিয়ে। আর কোন মা-বাবাই চাইবে না তার মেয়ে বেকার ছেলেকে বিয়ে করে। এ কারণেই চন্দ্রিমার প্রতি তার আগ্রহ ধীরে ধীরে কমতে থাকে। তার সাথে যোগাযোগ রাখে মূলত সময় কাটানো ও লোক দেখানোর জন্যই।
এখন মধুর উঠতি বয়স। ডিশএন্টেনা, ইন্টারনেট ও কিছু চঞ্চল বন্ধুর কারণে তার আগ্রহ বারে জৈবিক চাহিদার প্রতি। নতুন নতুন জানা বিষয়। তাই আগ্রহ অনেক বেশি। পড়তে বসলে, হাঁটতে-চলতে এমনকি ঘুমের মধ্যেও সারাক্ষণ তা মাথায় ঘুরপাক খায় তার। তার অনেক বন্ধুও ইতিমধ্যে সেসব কাজের সাথে জড়িত এবং সেসব কাহিনী শেয়ার করে বন্ধুদের সাথে। যারা এমন করে বন্ধুদের মাঝে তারা যেন অনেক স্মার্ট। মধুর ইচ্ছা হয় তার স্মার্টনেস প্রমাণ করতে। তাই তার টার্গেট হয়, তার জন্য খুব কাছে মানুষ চন্দ্রিমা।
চন্দ্রিমা পড়ালেখায় খুব মনযোগী। এসব বিষয়ে তার বিন্দুমাত্র আগ্রহ নেই। কিন্তু সে মধুর চাপে একপ্রকার অতিষ্ঠ। তার আগ্রহ নেই বলে তাকে ইমোশনাল ব্ল্যাক-মেইল করে এমন শব্দ প্রায় শুনতে হয় মধু থেকে। এমনকি মধু তাকে হিজড়াও বলতে দ্বিধা করে। মধু চাই এটাই যে, এর ফলে সে রাগের বসে হ্যাঁ বলে দিবে।
অনেক কিছুর পর ব্যর্থ চেষ্টা দেখে মধু তার সাথে সম্পর্ক শেষ করে দেয়। এখন সে নতুনের অনুসন্ধানে। কিন্তু প্রকৃত প্রেমের জন্য না। কারণ সে প্রেমের মজা ইতিমধ্যেই পেয়েছে। তার টার্গেট এখন অন্যকিছু।
এরকম অনেক ছেলেই আছে যাদের আসল উদ্দেশ্য প্রেম করা না। তারা মেয়েদের নানা ভাবে পটিয়ে, ইমোশনাল ব্ল্যাক-মেইল করে তাদের মূল উদ্দেশ্য পূরণ করতে চাই। মেয়েরাও তাদের মিষ্টি মিষ্টি কথার ফাঁদে সহজে পা দেয়। আর এরপরই সম্পর্ক শেষ করে দেয়।
এসব ছেলের উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের ফাঁদে ফেলে হ্যাঁ বলানো, যাতে বলতে পারে ওটা ধর্ষণ ছিল না কারণ তুমিও রাজি ছিলে। কোমল-মতি মেয়েরাও আর কিছু চিন্তাভাবনা না করে ছেলের বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা নিতে যায় না। এতে সাহস পেয়ে সেসব ছেলে টার্গেট করে নতুন কাউকে। এমনকি প্রেমিকার বোনকেও।
এভাবে কত মেয়েই যে, প্রেমের নাম দিয়ে ধর্ষণ হয়! ধর্ষিতার মনে, তার পরিবারের মধ্যে তখন কি অবস্থা বিদ্যমান তা অকল্পনীয়। অনেকে আবার বেছে নেয় আত্মহত্যা।
আমি নাহয় বাস্তবতার আলোকে কাল্পনিক এক গল্প বললাম। কিন্তু অনেকের কাছে হয়তো সত্য। প্রেমের নামে আর কত ধর্ষণ? আর কত?
[বিদ্রঃ এখানে প্রেম বলতে প্রেমিক-প্রেমিকার প্রেমকে বোঝানো হয়েছে। আর সেই সব প্রেমিক নামের লম্পট ব্যক্তিদের বোঝানো হয়েছে।]
#সাদ
১০-অক্টোবর-১৪
#Saad
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
যুক্তরাষ্ট্রে ইসরাইল বিরোধী প্রতিবাদ বিক্ষোভ
গাজায় হামাস উচ্ছেদ অতি সন্নিকটে হওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিউইয়র্ক ও লসএঞ্জেলসে কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে বিক্ষোভ ছড়িয়ে পরেছিল। আস্তে আস্তে নিউ ইয়র্ক ও অন্যান্ন ইউনিভার্সিটিতে বিক্ষোভকারীরা রীতিমত তাঁবু টানিয়ে সেখানে অবস্থান নিয়েছিল।
... ...বাকিটুকু পড়ুন
৫০১–এর মুক্তিতে অনেকেই আলহামদুলিল্লাহ বলছে…
১. মামুনুল হক কোন সময় ৫০১-এ ধরা পড়েছিলেন? যে সময় অনেক মাদ্রাসা ছাত্র রাজনৈতিক হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছিল। দেশ তখন উত্তাল। ঐ সময় তার মত পরিচিত একজন লোকের কীভাবে মাথায় আসলো... ...বাকিটুকু পড়ুন
মেহেদীর পরিবার সংক্রান্ত আপডেট
মার্চ মাস থেকেই বিষয়টি নিয়ে ভাবছিলাম। ক'দিন আগেও খুলনায় যাওয়ার ইচ্ছের কথা জানিয়েও আমার বিগত লিখায় কিছু তথ্য চেয়েছিলাম। অনেক ইচ্ছে থাকা সত্ত্বেও মেহেদীর পরিবারকে দেখতে আমার খুলনা যাওয়া হয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন
'চুরি তো চুরি, আবার সিনাজুরি'
নীলসাধুকে চকলেট বিতরণের দায়িত্ব দিয়ে প্রবাসী ব্লগার সোহানীর যে তিক্ত অভিজ্ঞতা হয়েছিল তা বিলম্বে হলেও আমরা জেনেছি। যাদেরকে চকলেট দেওয়ার কথা ছিল তাদের একজনকেও তিনি চকলেট দেননি। এমতাবস্থায় প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন
বরাবর ব্লগ কর্তৃপক্ষ
আমি ব্লগে নিয়মিত নই।
মাঝে মাঝে আসি। নিজের লেখা পোষ্ট করি আবার চলে যাই।
মাঝেমাঝে সহ ব্লগারদের পোষ্টে মন্তব্য করি
তাদের লেখা পড়ি।
এই ব্লগের কয়েকজন ব্লগার নিজ নিক ও ফেইক... ...বাকিটুকু পড়ুন