এক লোক টাকা বানানোর যন্ত্র পেল। হুট করেই জাল বা আসল টাকার নোট বানিয়ে তা বাজারে ছেড়ে দিল, আর হয়ে গেল রাতারাতি বড়লোক। এটা কি ন্যায় হল? এভাবে কোন দেশ যদি কাগজের নোট বের করতেই থাকে কোন জবাব দিহিতা ছাড়া মুদ্রাস্ফীতি তো হবেই। সে সাথে সেই দেশ ধনী তো হবেই আর অন্য দেশ যাবে পিছিয়ে। সূক্ষ্মভাবে মুনিব দাশ প্রথা।
ধরুন আপনি আপনার সন্তানের জন্য ১০লক্ষ টাকা রেখে গেলেন। আর এর পিছনে নিশ্চয় আপনি ১০লক্ষ টাকার সমপরিমাণের পরিশ্রম ও সময় ব্যয় করেছেন। কিন্তু আজ হতে ১০ বছর পর আপনার সন্তান যে ১০লক্ষ টাকা পাবে তার মূল্য কি বর্তমানের সমান হবে নাকি কমে যাবে?
সামান্য একটুকরো কাগজ যাতে কিছু সংখ্যা বসিয়ে দিলে হয় মূল্যবান। বাড়িয়ে দিলে হয় মহা মূল্যবান। এক দেশে যা মূল্যবান অপর দেশে তা প্রায় মূলহীন। জ্বলে বা ছিঁড়ে গেলে তো কথাই নেই। চিন্তা কি করেছেন এ নিয়ে?
আজ থেকে হাজার হাজার বছর আগেও একটি স্বর্ণমুদ্রা (৪.২৫ গ্রাম) দিয়ে ছাগল পাওয়া যেত পৃথিবীর যেকোনো জাগায়। ঠিক বর্তমানেও ঐ স্বর্ণমুদ্রা (১৫,২১৫টাকা) দিয়ে যেকোনো জায়গা হতে আপনি ছাগল কিনতে পারবেন। অর্থাৎ এর মূল্য হল স্থায়ী। আপনি দুনিয়ার যে প্রান্তেই যত টাকা পরিমাণের সময় ও শ্রম ব্যয় করবেন পাবেনও ঠিক তত। রেখে যেতে পারবেনও তত আপনার সন্তান এর মূল্যও পাবে তত। এমন হবে না যে, আমি বাংলাদেশে বসে যে শ্রম ব্যয় করে যত টাকা পায় অন্য দেশে তা আরো বেশি পাবে। ধনী আরো ধনী এবং গরীব আরো গরীব আর হবে না।
আমরা আছি অনেক ধোঁকার মধ্যে। ডলার ইচ্ছেমত বাড়িয়ে কমিয়ে মুদ্রাস্ফীতি, ঋণ ও সুদ সৃষ্টি করে আর ভোগান্তি পোহাতে হয় আমাদের। যেমন সুদযুক্ত ঋণ পরিশোধ করতে ব্যবসায়ীরা দাম বাড়িয়ে দেয়। বাড়তি দাম দিয়ে কেনার জন্য অন্যরাও দাম বাড়িয়ে দেয়। কাগজের টাকার নোট আমাদের করেছে ডিজিটাল দাশ।
#সাদ
২-নভেম্বর-১৫
#Saadফেসবুক পেজে এই পোষ্ট
সর্বশেষ এডিট : ০২ রা মার্চ, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৫