সাধারণ মানুষদের অধিকার ও স্বাধীনতার কথা বলতে আমরা অনেক সময় বলতে ভুলে যায় তাদের কথা যারা সাধারণের মাঝে একটু অসাধারণ।
আইনগত ভাবে তারা অর্থাৎ প্রতিবন্ধী ও হিজড়ারা পরিপূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা পেলেও আমরাই বা তাদের কতটুকু তা দিচ্ছি! যেকোনো স্থানে এবং কর্মসংস্থানে তাদের যাওয়ার স্বাধীনতা থাকলেও তাদের দিকে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি এবং আচরণ তা কি দিচ্ছে? আমাদের আচরণ তাদেরকে কি এটাই বলছে না যে, তারা আমাদের মত সাধারণ মানুষ না এবং আমাদের মাঝে তারা স্বাগতম না। আর আমাদের এমন আচরণই হল বাঁধা তাদের পরিপূর্ণ স্বাধীনতার। সবার আচরণ নিমিষেই পাল্টানো সম্ভব নয়, কিন্তু আমরা তো চাইলেই পারি তাদের সুচিকিৎসার ব্যবস্থা করে দিতে। এবং তাদের একটি স্বাভাবিক জীবন দিতে সহায়তা করতে, যেন তাদের তিলে তিলে অবহেলিত ভাবে বেড়ে উঠতে না হয়। বিজ্ঞানী আইনস্টাইন, ক্যাভেন্ডিস, নিউটন এরা সবাই ছিলেন প্রতিবন্ধী। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় তাদের মেধা এবং মানব কল্যাণে অবদান ছাড়িয়ে যায় সাধারণ মানুষদেরও। সুতরাং আমারা যদি তাদের সাধারণ মানুষ হিসেবে বেঁচে থাকার পরিপূর্ণ অধিকার ও স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে পারি হতে পারে আরো অনেক আইনস্টাইন ও নিউটন আসবে আমাদের মাঝে।
পরিপূর্ণ স্বাধীনটা তখন অর্জন হবে যখন সাধারণদের মাঝে এমন অসাধারণ মানুষরা অধিকার ও স্বাধীনতার নিশ্চয়তা পাবে। লজ্জা গোপন করতে বা মেয়ে সন্তান বলে হত্যা করা হবেনা কোন ভ্রূণকে। প্রকাশিত হবে না কোন ধর্ষিতার আত্মপরিচয় এবং বিচারের পূর্বেই পরিচয় দেয়া হবে না কাউকে দোষী হিসেবে, যাতে অপমানে সমাজে তাদের বসবাস করা কঠিন হয়ে উঠে। ক্ষুধার দায়ে শারীরিক শ্রমে আবদ্ধ থাকবে না কোন এতিম পথ-শিশু। সাথে থাকবে দূষণ-মুক্ত পরিবেশ ও বায়ু গ্রহণের নিশ্চয়তা। তবেই আসবে পরিপূর্ণ স্বাধীনতা।
সাদ
১৬-ডিসেম্বর-১৫
#saad
ফেসবুক পেজে এই পোষ্ট