শুরু করি ক্রিকেট দিয়েই। আইসিসি ট্রফির মাধ্যমে বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক ভাবে ১৯৭৯ সালে ক্রিকেট এ আসে। অতপর ১৯৮৩ সালে এশিয়াকাপ তারপর ৯৬ তে সেই আইসিসি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন হয়ে বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জন করে।সবশেষে, ২০০০ সালে টেস্ট স্ট্যাটাস পায়। সময় গড়িয়ে গেছে।চলেগেলো ১৩ বসন্ত।হাওয়া বদলেছে অনেক।পদ্ধার ভাঙ্গন হয়েছে অনেক। ক্রিকেট এর জনপ্রিয়তাও হুড়হুড় করে বেড়ে গেলো। কিন্তু এই অতি জনপ্রিয়তা,অতিরিক্ত সুযোগ-সুবিদা এসব পেয়েও আজ বাংলাদেশ যেই মানের ক্রিকেট খেলছে তাতে লজ্জা পাওয়া ছাড়া আর কিছু করার নাই।
এবার একটা ছোট্ট কৌতুক বলি।
বাড়িতে মেহমান এসেছে। বাড়ির ছোট্ট বাবুকে জিজ্ঞাস করল"এই তোমার ক্লাসে রোল নং কত?"
-৩।
-বাহ! তা ছাত্র-ছাত্রী কত জন?
-৩ জন।
এই ছিলো বাবুর অবস্থা।
আজকে অনেককেই বলতে শুনেছি "বাংলাদেশ ক্রিকেটে বিশ্বকাপ খেলে।"
এর চেয়ে হাস্যকর কথা বলার অপেক্ষাই রাখে না। মাত্র ১৬ দেশ ক্রিকেট খেলে।তার মাজে আবার ১২ টা খেলে বিশ্বকাপ। এর মাজেও যদি চান্স না পায় তাহলে কই এত টাকা উড়ায় বিসিবি?
কিন্তু বিশ্বকাপে অর্জন কি? 'একবার সুপার এইট।'
তারপরেও আমরা ক্রিকেট নিয়ে আশাবাদী।
,
,
এবার ফুটবলের প্রসঙ্গ, ১৯৭১ সালে 'স্বাধীন বাংলা ফুটবল দল' নামে একটা দল মুক্তিযোদ্ধা দের সাহায্যের জন্য ফুটবল খেলেছিল। যুদ্ধের পর ১৯৭৩ সালে সেই দল নিয়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশ এর ফুটবল রর পথচলা শুরু হয়।হাটিহাটি পাপা করে অনেক দুর এসেছে ফুটবল। মালয়েশিয়া চার জাতি চ্যাম্পিয়ন, সাফগেমস চ্যাম্পিয়ন, সাফ চ্যাম্পিয়নশিপ চ্যাম্পিয়ন সহ দশেকের বেশি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি এনেছে বাংলাদেশ। কিন্তু একবিংশ শতাব্দিতে এসে খেই হারিয়ে ফেলে যেন খেই হারিয়ে ফেলে ফুটবল। দর্শক কমে যেতে থাকে।আস্তে আস্তে মিয়য়ে যায়। মানুষ বলতে শুরু করে ফুটবল এ তো বিশ্বকাপ খেলতে পারবে না।দেখে লাভ কি? সম্ভবত, তারা কল্পনার জগতে বাস করে। তানা হলে ২১০ টা দেশ ফুটবল খেলে,মাত্র ৩২ দেশ বিশ্বকাপে খেলে। শারিরিক ভাবে আমরা তেমন উপযুক্ত না।তাও যা খেলে এতেই আলহামদুলিল্লাহ।
বাংলাদেশ যে কত ফুটবল প্রিয় জাতি তা বিশ্বকাপ এলেই বুজা যায়।
এই নিয়ে একজন যথার্থই বলেছেন"বাঙ্গালী প্রেম করেছে ফুটবলের সাথে।কিন্তু পারিবারিক চাপে বিয়ে করেছে ক্রিকেট কে।এটা ফুটবল বিশ্বকাপ এলেই বুজা যায়।"