পুঁতিগন্ধময় সময়ের কাছে সমর্পণ করে-
পরিত্রাণ চেয়েছি ফুলের কাছে।
সারাদিন বেদনার দৈর্ঘ্য মাপতে মাপতে এইসব মনে পড়লো...
মনে পড়লো ঘৃণার ডালপালা ভেঙে কী আশ্চর্য গন্ধম ফলের ঘ্রাণ
ঘিরে রাখে আমার অন্তিম শূণ্যতা আর আবছা স্মৃতি।
সারাদিন আদিম পাপের পালক থেকে খসে পড়ে দ্রাক্ষালতা...
এক টুকরো সাদা আকাশ ওই দ্রাক্ষারসে ভেজানো আছে
এক কোলাহল-কল্পিত আঁধারের কাছে...
আকাশ সরিয়ে সন্তর্পণে দেখো নিজেরই অতীত
কী গভীর ভীতি নিয়ে স্থির ভ্রমণে চলে আসে তোমার সাথে সাথে।
শীতকাল শিশিরের মতন ভ্রমণ করে তোমার প্রচন্ড লিপ্সা জাগানিয়া চিবুক
আর শুরু থেকেই বয়ে যাওয়া কামুক সেই নদীতট।
বিদ্ধ হচ্ছি প্রতিনিয়ত আহত আর জোছনাহত দুঃখ শরবাণে...
তৎক্ষণাত ঘৃণা আর আবেগের ঘোরে জন্ম নিলো- লোভ আর ভালোবাসা।
অনিশ্চিয়তার সাথে তোমার সখ্যতা থেকেই এক নির্লিপ্ত মণসা ভীতি...
আমাকে জানায় প্রণতি; আমি সেলাই করি বেহুলার রেখে যাওয়া
এক নিশ্চল ঘুমন্ত ক্ষত...