অন্ধ নক্ষত্রের কাছে চাঁদ হতে পারে তার লক্ষ্মী প্রেমিকা।
নিকশ আঁধারের মত জমাট স্মৃতির পাতা খুঁজে দেখো-
চাঁদের সলাজ ও ম্রিয়মাণ আলোতে আছি আমি।
নদীর গভীরতার মত বেড়ে ওঠে যে আঁধার,
তার সবটুকু শূণ্যতায় মিশে আছি আমি।
গুমোট কষ্টের পাশে জন্ম নেয়া দেবাত্মা-
ছুঁয়ে দেখো তার আত্মা। ও-কী আমি নই?
তোমার দেহের মত যতসব উঁচু-নিচু পথ পেরিয়েই-
তবে প্রস্তুত করতে হবে নির্বাণলোভী মৃত্যু'র অবিনাশী পাণ্ডুলিপি।
সুখের খেরোখাতা এখনও গন্ধ ছড়াই এই পথে,
এই পরিসীমার ভিতরেই বয়ে যায় তার সেই অধরা সৌন্দর্য ও ব্যথা।
সকল প্রাণের হতাশা থেকে তৈরী এই ঘুম জাগরণের বাসন্তী-অভিমুখ...
সুখ-প্রকল্পের সূচিপত্রে একে একে রাখো হাত-
বিস্তৃত করো ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র সময় আর অসময়ের লাবণ্যমাখা নিঃসঙ্গতা।
তারপর তো সেই বিন্দু- যেখানে খণ্ডিত কাল দম আটকে রাখে
ঘুমের আদলে তৈরী মৃত্যুকে দেখবে বলে।
সেখানে আমাকে পাবে, আমাকেও জাগিয়ে দিও-
মায়ের মতন করে পরম আদরে। দেখবো,
দুঃখের কনিষ্ট আঙুল ধরে কারা আসে হতাশার বিশুদ্ধ সাইরেন বাজিয়ে।