তোমার দেহের সবগুলো ভাঁজ-রহস্য-
উন্মোচিত মায়াবৃক্ষের গুপ্ত রিরংসায়।
একে একে খুলে যায় ষোলটি ভাঁজ,
যেভাবে সদ্য বৃষ্টিস্নাত গোলাপ পাপড়ি মেলে- ধীরে ধীরে
কতক্ষণই বা লুকিয়ে রাখা যায় বলো-
নতুন করে ফিরে পাওয়া এইসব পুরনো দেনা।
ওষ্ঠ থেকে যে উত্তাপ ঝরাও তাতেই-
খুলে যায় মোহগ্রস্থ ইতিহাসের কোমর-বন্ধনী।
তৎক্ষণাৎ অবশিষ্ট ভাঁজ থেকে তৈরী হয় তীক্ষ্ণ কামনার অঙ্কুরিত ভাষা...
এ এক স্রোত- কবন্ধ স্রোত, স্মৃতিচিহ্নহীন।
গোধূলির মত ম্লান দৃশ্যের- ঘৃণা আর লালসার দেবী
আমাকে ধারণ করো তোমার দ্বিধাহীন স্রোতে
ভয় পেয়ো না; প্রস্তুতি আছে যেকোনো রঙের আবরণে
নিজেকে ঢেকে ফেলার...
জীবন ও মৃত্যুর মাঝে যে প্রশস্ত বাগান- অলিগলি খুঁজে আমি ক্লান্ত।
তোমার চিবুক থেকে শুষে নিচ্ছি ঘামের উষ্ণতা,
শুষে নিচ্ছি আলো, মেঘ আর কমলাবনের স্মৃতি।
আহা! আমিতো ছিলাম শিশুতোষ ভ্রমণের এক মগ্ন অধিপতি।
সেই জন্য ভেবো-না, আমি জানি না- কুমারী মেঘের সোজা-বাঁকা পথ।
কেননা, আমিইতো সেই অবশিষ্ট দেহের ধারণা...