somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সচলায়তন: অবশেষে ভাঙনের গান

০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০০৮ রাত ১২:৩৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


মধ্যবিত্ত মানসিকতার অপবাদের প্রতিবাদ হিসেবে সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে বিযুক্ত হয়ে কয়েকজন উচ্চমানসিকতার যুবক অথবা তরুণ নিজেদের পকেটের অর্থকড়ি দিয়ে দাঁড় করিয়েছিলো একটি বাংলা ব্লগ। নামসচলায়তন। নামেই যারে যায় চেনা। মধ্যবিত্ত মানসিকতার অচলায়তন ভাঙতেই বুঝি তাদের এই পদযাত্রা। সেই তুলনায় কবি সুমন রহমানের ভাষায় (প্রথম আলোতো প্রকাশিত।) যদি সামহোয়্যারইন ব্লগ কুরুক্ষেত্র হয় আমি বলবো সচলায়তন আসলে কয়েকজন উচ্চাকাক্সক্ষী বালক রচিত একটি দূর্গ। এখানে সেই বালকদের পছন্দ আর মোসাহেব ছাড়া কেউ সচল হতে পারে না। দু-তিন দিনের ব্যবধানে দুজন ঘোষনা দিয়েছেন সচলায়তনের সঙ্গে আর কোনো রকম যোগাযোগ রাখবেন না। সেই দুজন অবশ্য আমাদের সামহোয়্যারইনেও আছেন। একজন ফারুক ওয়াসিফ অন্যজন মঞ্জুরুল হক। আমাদের নুশেরা আপাও সচলায়তনে টিকতে না পেরে আমাদের এখানে চলে এসেছেন।

কিছুদিন আগে আরিফ জেবতিকের একটি লেখায় পড়েছিলাম যে, একদিন কাগজের মালিক (জেবতিক যে পত্রিকায় চাকরি করতেন।) এসে বললো, ”পত্রিকা চালাবো না।”
ব্যাস বন্ধ হয়ে গেল।

সচলায়তনের মডারেটর হিমুও প্রায় একই কথা বলে বসলো, ‘’সচলাতন বন্ধ করে দেবো ভাবছি” ধরনের। এই যে মানসিকতা তাহলে কী প্রয়োজন ছিলো আলাদা ব্লগের? এ তো জানা কথা যে ব্লগে হাজারো মানসিকতার মানুষ ভীড় করবে। সবার মন জোগানো কথা বলার মানসিকতা নাও থাকতে পারে। আরা নিজের রাজ্যে বাধ্য প্রজাদের মত সচলাতনের মডারেটররা তাদের ব্লগারদের তাদের মডারেশনের হাতে জিম্মি করে রেখেছেন। আর তাই নিয়ে এখন সচলায়তনে চলছে তুলকালাম কান্ড।

অথচ যেই মধ্যবিত্ত মানসিকতার অপবাদকে বুড়ো আঙুল দেখানোর জন্য সামহোয়্যারইন ব্লগ থেকে বেরিয়ে গিয়ে নিজেরা স্বতন্ত্র ব্লগ চালু করেছিলো, সেই মধ্যবিত্ত মানসিকতা থেকে তাদের আর উত্তোরণ ঘটলো না। প্রকৃতপক্ষে আমরা যতই চেষ্টা করি না কেন আমাদের সার্টের নিচে ছেঁড়া আর ময়লাগেঞ্জি লুকিয়ে রাখতে। তা কিন্তু কোনো না কোনো ভাবে প্রকাশ হবেই।
৩৬টি মন্তব্য ১৯টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিনেতা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৫



বলতে, আমি নাকি পাক্কা অভিনেতা ,
অভিনয়ে সেরা,খুব ভালো করবো অভিনয় করলে।
আমিও বলতাম, যেদিন হবো সেদিন তুমি দেখবে তো ?
এক গাল হেসে দিয়ে বলতে, সে সময় হলে দেখা যাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

তাবলীগ এর ভয়ে ফরজ নামাজ পড়ে দৌড় দিয়েছেন কখনো?

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৫ ই মে, ২০২৪ রাত ৯:২৬


আমাদের দেশের অনেক মসজিদে তাবলীগ এর ভাইরা দ্বীন ইসলামের দাওয়াত দিয়ে থাকেন। তাবলীগ এর সাদামাটাভাবে জীবনযাপন খারাপ কিছু মনে হয়না। জামাত শেষ হলে তাদের একজন দাঁড়িয়ে বলেন - °নামাজের... ...বাকিটুকু পড়ুন

×