somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

বাঙ্গালী জাতি বোনদের নিয়ে খেলা করার অধিকার কোনোদিন কাউকে দেয়নি, দিবেওনা

১৪ ই জুলাই, ২০১১ রাত ৩:৫৫
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



জন্মদিন গেলো এই গতকালকে। পড়াশুনা তো বাদ দিয়েছি বহু আগে! প্রেম-টেম নিয়ে বেশ ব্যাস্ত! মোটামুটি আনন্দেই সময় কাটছে। পড়াশুনায় মন না দেবার বদৌলতে এখন অনেক ব্যাপার নিয়ে চিন্তা করার ম্যালা টাইম মেলে আমার! অবেলায় ঘুমাচ্ছিলাম। হঠাত ঘাম দিয়ে ঘুম থেকে উঠে হাপাতে লাগলাম। “আচ্ছা ! আজকে যদি আমার প্রিয়জনটা ঐ মেয়েটার জায়গায় থাকতো”? মুহুর্তের মধ্যে আমার হার্টবীট অনেকখানি বেড়ে গেলো! কেমন পিপাসা লেগে গেলো কথাটা ভেবে! ব্যাপারটা তো অমুলক কিছুনা ! সেও তো একজন ভিকি, তার ভাগ্য সুপ্রসন্ন তাই সে বেঁচে এসেছে সেই থাবা থেকে, কিন্তু ঐ মেয়ের দোষ কি ছিলো ? আমার প্রিয়জনের কথা না হলে বাদ দিলাম, আমার বড় বোন? সেও তো একজন ভিকি! কাকে রেখে কার কথা ভাববো! আমি শুধু এই পর্যন্ত চিন্তা করে থেমে যাই যে পরিমল দরজা আটকে দিচ্ছে! এরপরের কিছুই আমি চিন্তা করতে চাই না।

আচ্ছা, ঐ মেয়েটা কি কারো বোন না? সে কি কারো প্রিয় ব্যাক্তিত্ব না? আমি তার বয়ফ্রেন্ডের কথা বলছিনা, তার বাবা-মা, ভাই-বোন কিংবা বন্ধু-বান্ধবদের কথাই ধরুন। তাদের কেমন লেগেছে ব্যাপারটা? কিভাবে তারা আমার চিন্তার পরের অংশটুকু এই দুই চোখ দিয়ে দেখেছেন?

কিছুদিন আগে পুর্নিমা’র ধর্ষনকারীদের বিচারের রায় হলো। পুর্নিমার কথা ভুলে গেছেন? ছোট্টো একটা মেয়ে যে কিনা কৈশোরে পা দেবার আগেই পৃথিবীর সব কালো রঙ শুষে নিয়েছে তার চোখ। যার মা প্রান ভিক্ষা চেয়ে বলেছিলেন ,
“বারা, আমার মেয়েটা ছোট তোমরা একজন একজন করে এসো, মরে যাবে”। ১০-১২ জন অসুরের থাবায় ছিন্ন হয়েছিলো যে বাচ্চাটি, সেই পুর্নিমার ধর্ষনের বিচারের “ রায় “ হয়েছে আজ ১১ বছর পর! অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, সেই বিচার কার্য এখনো খুব সম্ভব কার্যকর হয়নি!

একটু নিকট অতীত থেকে ঘুরে আসি, আচ্ছা? বেশীদিন না, এই কয়দিন আগে আমাদের দেশে একটা যুদ্ধ হয়েছিলো না? ৭১ এ ? অনেকের কাছে শুনেছি, যুদ্ধে নাকি অনেক পাকি খান সেনারা আমাদের মা-বোন, স্ত্রীদের উপর নির্যাতন চালিয়েছিলেন, তাদের বুকের মাংস খুচিয়ে খুচিয়ে চাঁদ-তারা একেছিলেন? এই জন্য নাকি এই দেশের মানুষ তাদের উপর খুব ক্ষুব্ধ ? তাদের পেলে নাকি ছিড়ে ফেলবে, জবাই করবে, হেন করবে, ত্যান করবে!

তাহলে পরিমলটাকে? সে এখনো বেঁচে আছে কিভাবে? যেই দেশে ৭১ এ পাকি জানোয়ারেরা আমাদের মা-বোনদের নিয়ে মৌজ করায় তাদের আমরা ছাড়িনি, বাপের নাম ভুলিয়ে দিয়েছি, সেই দেশে পরিমলরা কিভাবে জন্ম নেয়? এই জানোয়ারের বাচ্চার কিভাবে সাহস হয় আমাদের বোনের গায়ে হাত দেবার ?

অনেক বড় একটা ভুল করে ফেলেছি সাহস নিয়ে প্রশ্ন করে! আমার ভুল হয়েছে, ক্ষমা প্রার্থনা করছি। না করে উপায় আছে? আর নাহলে আমাকে এখন নতুন করে “ মিউচুয়াল সেক্স “ এর উপর পড়াশুনা করা লাগবে! হার্ডকোর এর পরের ভার্সন সম্ভবত এটা। এ ভার্সনের প্রবর্তক কে, তা নিশ্চয়ই বিভিন্ন পর্ণো সাইটের মাধ্যমে এতোদিনে জেনে গেছেন! দ্যা ওয়ান এন্ড অনলি “হুচনে আরা” নামক পৃথিবীর বুকে এক ব্যবহৃত হলুদ দাগ যুক্ত টয়লেট টিস্যু পেপার। উনার কর্মকান্ড দেখে মাঝে মাঝে আমার খুব ইচ্ছে করে উনাকে জিজ্ঞেস করি, “ বেটি, শাড়ির নীচে হাত দিয়ে দেখ, কোনো পাইপ আছে কিনা?”

জিকো ভাই, উনি আমার বেশ প্রিয় একজন ব্লগার। উনি একটা গল্পে লিখেছিলেন “ পৃথিবীতে খারাপ মহিলা থাকতে পারে, তবে খারাপ মা একটিও নেই”। আবেগের দৃষ্টি থেকে কথাটা চিরন্তন সত্য। তবে, একটা ব্যাপার কি, শিক্ষক-শিক্ষিকাকে মনের অজান্তেই আমরা বাবা-মা’র স্থান দিয়ে ফেলি। আর, বাবা-মা’র কাছে থেকে প্র্যাক্টিক্যালী ধর্ষন ও মিউচুয়াল সেক্স শিখে আমরা বাঙ্গালী বৃহত্তর অর্থে পৃথিবীবাসী অভ্যস্ত নই।


পিতা গড়ে শরীর, শিক্ষক গড়েন মন
পিতা বড় না, শিক্ষক বড় বলিবে কোন জন

-- কবি গোলাম মোস্তফা
এটা বোধ হয় আর সত্যি রইলো না, কিংবা আমরা থাকতে দিলাম না।

আমার চিৎকার করে জিজ্ঞেস করতে ইচ্ছা করে, “ হে আল্লাহ! তুমি হোসনে আরা কে কোন মাটি দিয়ে বানাইসো? একটা মানুষের লজ্জা-শরম, ইজ্জত-আব্রু তাই বলে এতোটা কম হতে পারে?”

আজকে আপনার ক্লাসের ছেলে মেয়ে যদি বলে, “ আপনি পড়াইতে পারেন না, আমরা আপনার ক্লাস করবোনা”। আপনি কি তাও ঐ ক্লাসে যাবেন? একটুও লজ্জা লাগবেনা? এই বেটির সেই লজ্জা নেই। আমার মনে হয়, উনি পরি-মলের দ্বারা সে লজ্জা শক্তি খুইয়ে অনন্য এক মিউচুয়ালিটি জাতিকে উপহার দিতে চাইছেন!

যেই ভিকারুন্নেসার মেয়েরা ঘোরাফেরা ছিলো বেইলীরোদের ফার্স্টফুড গুলোতে, সুন্দর করে সেজেও আসতো কেউ কেউ, আজ কিভাবে তারা রাজপথে প্ল্যাকার্ড হাতে নেমে আসে? কেনো? এইটা কি রাজনীতি না? রাজনীতি কি জিনিস? রাজ্য চালাবার নীতি, তাদের কাছে তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটাই তাদের জ্ঞানের, আনন্দের রাজ্য। এই রাজ্য চালাবার কথা ছিলো আপনাদের, সারা জীবন আপনারাই শিখিয়েছেন “রাজনীত্তি! ছি ছি, থু থু! এইসব খুব খ্রাপ খুব খ্রাপ”। আজ আপনারাই ঠেলে দিচ্ছেন এদেরকে রাস্তায়, আপনারাই দাওয়াত দিয়ে পুলিশ নিয়ে আসেন তাদের চার্জ করতে, তাও আবার লাঠি চার্জ!
এতোদিন জানতাম, সাহারা খাতুন নামক এক প্রানী সংসার ধর্ম পালন করেন নাই বিধায় তার কোনো মানুষের দুঃখ কষ্টে কিছু যায় আসেনা, কিন্তু এই হুচু বেটির কি সংসার নাই? তার কি সন্তান নেই? সন্তানের গায়ে আচর পরলে সে কি জানেনা কেমন লাগে?

গত ৪ তারিখ থেকে এই হুচুনে ওয়ালা নামক প্রানীটি আত্ম-গোপন করেছিলেন। আজ, তিনি প্রধান শিক্ষিকার পদ থেকে বহিষ্কৃত হলে আবারো তার লম্ফ-ঝম্প বেড়ে যায় এবং কিভাবে কিভাবে যেনো মিউচুয়ালিটির জোরে আবারো সেই পদ ফিরে পায়! তিনি জাতির উদ্দ্যেশ্যে ঘোষনা করেছেন, “ কোনো এক্স-ভিকি যদি ক্যাম্পাসে আসে, তার ব্যাবস্থা সে নিবে”।

আমি জানিনা এর পরিনতি কি হবে, তবে এটুকু জানি, তার পরিনতি আমরা ঠিক করবো। কোনো সরকার এর টা আমরা খাই ও না, পড়ি ও না। উলটা সরকার আমাদের খায়-আমাদের পড়ে। তাই, সরকারের মালিক আমরা। পরিমলের উত্থিত শিষ্ণ কর্তন ও হোসনে আরার পদত্যাগ এখন একটা আবশ্যক। আগামীকাল (১৪ই জুলাই) এই মহিলা ভোর ৭.৩০ এ আবারো বহাল পদে আসীন হবে বলে জানিয়েছেন। তাকে এই থেকে বিরত থাকার জন্য ভিকারুন্নেসার মেয়েদের ৭টায় গেটের সামনে তাকে বাধা দেবার জন্য আবেদন জানানো যাচ্ছে।

শেষ কথা একটাই, আমরা পরিমল, ডায়রিয়া কিংবা মল, কোনো মল-ই দেখতে চাইনা। মলবিহীন সুস্থ্য পরিবেশ চাই, যেখানে আমাদের বোনেরা নিরাপদে পড়তে যেতে পারবে, নিরাপদে রাস্তায় হাটতে পারবে, নিরাপদে একটা ছেলেকে ভালোবাসতে পারবে, নিরাপদে একজন শিক্ষকের কাছে থেকে শিক্ষা নিতে পারবে। আরো চাইনা হোসনে আরা’র মতো এমন কোনো ডাইনী, যে কিনা পাপকে মাছ ভেবে শাক দিয়ে ঢাকতে চায়। তার বিচার কোনো এককালে অবশ্যই হবে, হতেই হবে।

আবেগী কথা দিয়ে লেখাটা শেষ করি, “বাঙ্গালী জাতি হিসে বিচ্ছিন্ন হতে পারে, তবে এই জাতির বোনদের নিয়ে খেলা করার অধিকার তারা কোনোদিন কাউকে দেয়নি, দিবেওনা"



১৫টি মন্তব্য ৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুসলিম কি সাহাবায়ে কেরামের (রা.) অনুরূপ মতভেদে লিপ্ত হয়ে পরস্পর যুদ্ধ করবে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৯




সূরাঃ ৩ আলে-ইমরান, ১০৫ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৫। তোমরা তাদের মত হবে না যারা তাদের নিকট সুস্পষ্ট প্রমাণ আসার পর বিচ্ছিন্ন হয়েছে ও নিজেদের মাঝে মতভেদ সৃষ্টি করেছে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

মসজিদে মসজিদে মোল্লা,ও কমিটি নতুন আইনে চালাচ্ছে সমাজ.

লিখেছেন এম ডি মুসা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সকাল ১০:২৩

গত সপ্তাহে ভোলার জাহানপুর ইউনিয়নের চরফ্যাশন ওমরাবাজ গ্রামের এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে। লোকটি নিয়মিত মসজিদে যেত না, মসজিদে গিয়ে নামাজ পড়েনি, জানা গেল সে আল্লাহর প্রতি বিশ্বাসী ছিল, স্বীকারোক্তিতে সে... ...বাকিটুকু পড়ুন

গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি

লিখেছেন ইসিয়াক, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ দুপুর ১:১২

(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার  চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।

লিখেছেন লেখার খাতা, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:১৮

ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×