

আমাদের গফুর চাচা একটা দলের স্থানীয় নেতা ।নেতার আবার অনেক টাইপ আছে হাইব্রিড ,উত্তম ,মধ্যম ,চটি টাইপ। তিনি চটি টাইপের নেতা ,এইটা হচ্ছে নেতাদের সব থেকে নিচু শ্রেণী । আগামী ইলেকশনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে । তেনার ভবিষৎ কি তা জানার জন্য জ্যোতিষির শরণাপন্ন হলে ,জ্যোতিষি তার হস্ত রেখা খুঁজে পাচ্ছেনা ।কারণ নিজ সুবিধার জন্য তিনি যে পরিমাণ তেল মারছে উপরজনদের তাতে তার হস্ত রেখায় হারিয়ে গেছে । তিনি মানুষকে চুষে তার নেতাকে খুশি করার জন্য যা করছে তাতে তিনি চেয়ারম্যান নমুনেশন পাবেন কিন্তু মানুষকে পাশে পাবেন না । এই মানুষ যাদেরকে বেচে তারা আজ কোটিপতি ,সেই মানুষরা তাদের ঘৃণা করে তা তাদের দেখার বা শোনার মত জ্ঞান নেই । মিছিলে সম্মুখে থাকলে আর স্লোগান দিলেই নেতা হওয়া যায়না । নেতা হওয়ার জন্য জনগণের মাঝে থাকতে হয় শুধু চেলাদের মাঝেনা । দলীয় স্লোগানে অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র এই কথাটা আমরা হার হামেশায় শুনি । কিন্তু ভাইয়ের চরিত্র গোলাপ না ধুতরা ফুলের মত তা তেনারা বলেন না ।কারণ বলার মত মুখ তাদের নেই । যদি থাকত তাহলে সুন্দরবন নইয়ে মিথ্যাচার করা লাগতো না । মিথ্যা যখন সত্যকে হার মানায় তখন বিচার বলে কিছু থাকেনা ,মানুষের আকাঙ্খা বলে কিছু থাকে না ।





নানারকম বাহিনী মোতায়েন, কমিটি গঠন আর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এই এপ্রিল মাসেই চারবার আগুন লেগে সুন্দরবন আক্রান্ত হল। সুন্দরবনে একের পর এক অগ্নিকান্ড এবং সরকারের নির্লিপ্ত কিংবা দায়সারা ভূমিকা থেকে আমরা আশংকা করা যায়, এসব অগ্নিকান্ড পরিকল্পিত । ‘কয়লায় পানি পরিষ্কার হয় এবং কয়লা ডুবিতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন আরও সুরক্ষিত হবে’ মর্মে জ্বালানী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতির ভাষ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র, এর অতুলনীয় ইকোসিস্টেম, পশুপাখি গাছ লতাসহ অসংখ্য প্রাণের বসতি, কয়েক কোটি মানুষের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা বাঁধ ইত্যাদি নিয়ে এর গুরুত্ব বুঝতে সরকারের অনীহা এবং অক্ষমতাই প্রকাশ করে। এসব বক্তব্য প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিষ্ক্রিয় হতে এবং সুন্দরবন বিনাশী তৎপরতায় যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সক্রিয় হতে শক্তি যোগায়। সেজন্যই আমরা দেখি একের পর এক আগুন লাগার পরও বাংলাদেশের এই অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের কোন কার্যকর তৎপরতা নেই। ইতিমধ্যে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে, এই আগুন লাগানোর সাথে সরকারি দলের লোকজন জড়িত। বস্তুত প্রশাসনের সক্রিয় সমর্থন বা দায়িত্বপালনে নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া কারও পক্ষে এধরনের কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়।
সুন্দরবন বিকাশে মানুষের হস্তক্ষেপ দরকার নাই, দরকার নাই বিশ্বব্যাংক ইউএসএআইডির প্রকল্প, দরকার সুন্দরবনকে মানুষের লোভী আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের ঘাড়ের ওপর রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে সরকারের একগুঁয়ে তৎপরতা সুন্দরবন বিনাশী তৎপরতায় নিয়োজিত স্থানীয়, জাতীয় ও বিদেশি সকল পক্ষকে আরও ধ্বংসাত্মক হতে উদ্বুদ্ধ করছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প কার্যত দুর্বত্তদের জন্য একটি চৌম্বক আকর্ষণী শক্তি হিসেবে কাজ করছে।
সরকার মুনাফার অন্ধত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চোখ খুলে সুন্দরবনের দিকে তাকাতে অনুরোধ করছি, এটি প্রকৃতির বিশাল সম্পদ, কাঠ বা জমি নয়। একইসঙ্গে সরকারের কাছে আবারও দাবি জানাচ্ছি রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী সকল তৎপরতা বন্ধ করুন, দুর্বৃত্তদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করুন, সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচতে দিন।



সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ২:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।


