somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

হে রাষ্ট্র চাইনা তোর রামপাল ফিরিয়ে দে আমার সেই প্রকৃতিতে ভরপুর সুন্দরবন

০২ রা মে, ২০১৬ রাত ১১:০৯
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমাদের গফুর চাচা একটা দলের স্থানীয় নেতা ।নেতার আবার অনেক টাইপ আছে হাইব্রিড ,উত্তম ,মধ্যম ,চটি টাইপ। তিনি চটি টাইপের নেতা ,এইটা হচ্ছে নেতাদের সব থেকে নিচু শ্রেণী । আগামী ইলেকশনে তিনি চেয়ারম্যান নির্বাচন করবে । তেনার ভবিষৎ কি তা জানার জন্য জ্যোতিষির শরণাপন্ন হলে ,জ্যোতিষি তার হস্ত রেখা খুঁজে পাচ্ছেনা ।কারণ নিজ সুবিধার জন্য তিনি যে পরিমাণ তেল মারছে উপরজনদের তাতে তার হস্ত রেখায় হারিয়ে গেছে । তিনি মানুষকে চুষে তার নেতাকে খুশি করার জন্য যা করছে তাতে তিনি চেয়ারম্যান নমুনেশন পাবেন কিন্তু মানুষকে পাশে পাবেন না । এই মানুষ যাদেরকে বেচে তারা আজ কোটিপতি ,সেই মানুষরা তাদের ঘৃণা করে তা তাদের দেখার বা শোনার মত জ্ঞান নেই । মিছিলে সম্মুখে থাকলে আর স্লোগান দিলেই নেতা হওয়া যায়না । নেতা হওয়ার জন্য জনগণের মাঝে থাকতে হয় শুধু চেলাদের মাঝেনা । দলীয় স্লোগানে অমুক ভাইয়ের চরিত্র ফুলের মত পবিত্র এই কথাটা আমরা হার হামেশায় শুনি । কিন্তু ভাইয়ের চরিত্র গোলাপ না ধুতরা ফুলের মত তা তেনারা বলেন না ।কারণ বলার মত মুখ তাদের নেই । যদি থাকত তাহলে সুন্দরবন নইয়ে মিথ্যাচার করা লাগতো না । মিথ্যা যখন সত্যকে হার মানায় তখন বিচার বলে কিছু থাকেনা ,মানুষের আকাঙ্খা বলে কিছু থাকে না ।

সুন্দরবন নিয়ে মিথ্যাচার প্রথম থেকেই ছিল আছে । আমাদের প্রধানমন্ত্রী বললেন কয়লা পরলে সমস্যা নেই । তিনি গ্রামে দেখছেন কয়লা দিয়া পানি পরিষ্কার করা হয় । কিন্তু প্রাকৃতিক কয়লার আর মানুষে পোড়া কয়লার গঠন এক না তা তিনি নিজে কয়লা কখনো দেখেনি তার কথা থেকে বুঝা যায় । আপনার বিশধ জানার দরকারে আপনি এই লিঙ্ক খানা ঘুরে আসতে পারেন Click This Link

সুন্দরবনের কি পরিমাণ ক্ষতি করা হচ্ছে তা আপনি এই রিপটোটি পড়লে বুঝবেন http://banglamail24.com/news/148575 । দিন যাচ্ছে বন পোড়ার ধরণ পাল্টে যাচ্ছে দেখুন Click This Link । এই আগুন লাগায় কারা দেখি একটি বার http://bangla.samakal.net/2016/04/29/208979 । আসলে আগুন নেভানোর জন্য কি পরিমাণ আন্ত্ররিক ছিল প্রশাসন Click This Link [img|http://s3.amazonaws.com/somewherein/pictures/sagor501/sagor501-1462208828-7012206_xlarge.jpg। আজ সবাই আমার এলাকার সেই গফুর চাচা । যারা তার থেকে সিনিয়র চেলারে তেল মাইরা হস্ত রেখা হারাই ফেলছে । এরা দেশ জাতি নিয়া না নিজেদের নিয়া ভাবে । নেতা হতে হয় জনগণের জন্য ।কে ক্ষতি সাধন করল Click This Link দেখুন ।


নানারকম বাহিনী মোতায়েন, কমিটি গঠন আর বিভিন্ন প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও এই এপ্রিল মাসেই চারবার আগুন লেগে সুন্দরবন আক্রান্ত হল। সুন্দরবনে একের পর এক অগ্নিকান্ড এবং সরকারের নির্লিপ্ত কিংবা দায়সারা ভূমিকা থেকে আমরা আশংকা করা যায়, এসব অগ্নিকান্ড পরিকল্পিত । ‘কয়লায় পানি পরিষ্কার হয় এবং কয়লা ডুবিতে সুন্দরবনের কোনো ক্ষতি হচ্ছে না’ মর্মে প্রধানমন্ত্রীর ভাষ্য, ‘রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করা হলে সুন্দরবন আরও সুরক্ষিত হবে’ মর্মে জ্বালানী বিষয়ক সংসদীয় কমিটির সভাপতির ভাষ্য সুন্দরবনের জীববৈচিত্র, এর অতুলনীয় ইকোসিস্টেম, পশুপাখি গাছ লতাসহ অসংখ্য প্রাণের বসতি, কয়েক কোটি মানুষের জন্য প্রাকৃতিক দুর্যোগের বিরুদ্ধে সুরক্ষা বাঁধ ইত্যাদি নিয়ে এর গুরুত্ব বুঝতে সরকারের অনীহা এবং অক্ষমতাই প্রকাশ করে। এসব বক্তব্য প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবন রক্ষার দায়িত্বে নিয়োজিত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে নিষ্ক্রিয় হতে এবং সুন্দরবন বিনাশী তৎপরতায় যুক্ত বিভিন্ন গোষ্ঠীকে সক্রিয় হতে শক্তি যোগায়। সেজন্যই আমরা দেখি একের পর এক আগুন লাগার পরও বাংলাদেশের এই অমূল্য প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষায় সরকারের কোন কার্যকর তৎপরতা নেই। ইতিমধ্যে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে যে, এই আগুন লাগানোর সাথে সরকারি দলের লোকজন জড়িত। বস্তুত প্রশাসনের সক্রিয় সমর্থন বা দায়িত্বপালনে নিষ্ক্রিয়তা ছাড়া কারও পক্ষে এধরনের কর্মকান্ড অব্যাহত রাখা সম্ভব নয়।
সুন্দরবন বিকাশে মানুষের হস্তক্ষেপ দরকার নাই, দরকার নাই বিশ্বব্যাংক ইউএসএআইডির প্রকল্প, দরকার সুন্দরবনকে মানুষের লোভী আগ্রাসন থেকে রক্ষা করবার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা। প্রকৃতপক্ষে সুন্দরবনের ঘাড়ের ওপর রামপাল ও ওরিয়ন বিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়ে সরকারের একগুঁয়ে তৎপরতা সুন্দরবন বিনাশী তৎপরতায় নিয়োজিত স্থানীয়, জাতীয় ও বিদেশি সকল পক্ষকে আরও ধ্বংসাত্মক হতে উদ্বুদ্ধ করছে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র প্রকল্প কার্যত দুর্বত্তদের জন্য একটি চৌম্বক আকর্ষণী শক্তি হিসেবে কাজ করছে।

সরকার মুনাফার অন্ধত্ব থেকে মুক্ত হয়ে চোখ খুলে সুন্দরবনের দিকে তাকাতে অনুরোধ করছি, এটি প্রকৃতির বিশাল সম্পদ, কাঠ বা জমি নয়। একইসঙ্গে সরকারের কাছে আবারও দাবি জানাচ্ছি রামপাল প্রকল্পসহ সুন্দরবন বিনাশী সকল তৎপরতা বন্ধ করুন, দুর্বৃত্তদের পৃষ্ঠপোষকতা বন্ধ করুন, সুন্দরবনকে বাঁচিয়ে বাংলাদেশকে বাঁচতে দিন।

সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা মে, ২০১৬ রাত ২:৩৩
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×