সারাদেশে নিন্দার পাশাপাশি চোখ ফিরিয়ে দেয়ার আশ্বাস দেন সরকার পরে নতুন করে জীবন পায় সে ছেলেটি এরকম আরো অনেক গরিব দুঃখি মানুষ রাজনীতির প্রতি হিংসার কবলে পড়ে চোখ হারিয়ে নিস্ব জীবন জাপন করে তার খবর কি আমাদের গন মাধ্যম বা টিভি স্কিনের হেড লাইনে জায়গা পায়?????
সরকার বা বিরোধী যদি না হয় এমন লোক গুলোই বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয় তাদের পাশে কেউ আসেনা কারন এরা সমাজের মধ্যে পড়েনা হয়ত।
মূল ঘটনাঃ
গত ৮জানুয়ারি ২০১৪ বুধবার
সারাদেশে বিএনপি-জামায়াত নেতৃত্বাধীন ১৮ দলীয় জোটের ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও হরতালের সমর্থনে ফুলগাজীতে বের হওয়া ছাত্রদলের মিছিলে গুলি চালিয়েছে পুলিশ। এসময় মিছিলকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে গেলে এক মহিলা পথচারী চোখে গুলিবিদ্ধ হয়।
পুলিশ শুধু ফুলগাজী থেকে ফেনী হাসপাতাল নিয়ে যাওয়া এটাই শেষ।
একটা মানুষের চোখ নিমিষেই শেষ হয়ে গেল পুলিশের গুলিতে, চিকিৎসার অভাবে, এতে পুলিশের দায়ভার নিতে হয়নি কারন সাধারণ মানুষ বলে, গণ মাধ্যম ভির জমায়নি এতে কোন পায়দা হবেনা বলে আজ যেমন তনু হত্যা সেনাবাহিনী জড়িত সন্দেহে ঘটনা ধামাচাপা দিতে চাচ্ছে ঠিক সেদিন পুলিশের গুলিতে চোখ গেছে বলে ঘটনা ধামাচাপা দেয়া হয়েছিল,
ততকালিন উপজেলা চেয়ারম্যান একরামুল হক এমন খবর শুনার পরেও কোন কর্ণপাত করেনি বরং চিকিৎসার দরকার নেই, এই চোখ টিকবেনা বলে উড়িয়ে দিয়েছিল কথা আজ সে রহিমা অন্য চোখেও না দেখার সমস্যায় ভোগছেন ডাক্তার বলেছেন আহত চোখ চিকিৎসা না করার ফলে অন্য চোখটিও নষ্ট হতে যাচ্ছে কিন্তু টাকার অভাবে এখনো বড় চিকিৎসা করাইনি রহিমা আক্তার।
উল্লেখ্য রহিমা আক্তার ফুলগাজীর মুন্সিরহাট উত্তর শ্রীপুর গ্রামে তাকিয়া বাড়িতে থাকেন তার স্বামী নুর আহমেদ ফুলগাজী উপজেলায় মৎস্য অধিদপ্তরের নিম্ন আয়ের চাকরী করত তাও রিটার্ন হয়ে যাওয়ায় রহিমা চিকিৎসাও হচ্ছেনা।
সরকার স্কুল পড়ুয়া ছাত্রের দায়ভার নিলেও অবহেলাপূর্ণ থেকে যায় রহিমা আক্তার কারন বিরোধীদের বোমের আঘাত আর পুলিশের গুলির আঘাত সরকার দাঁড়িপাল্লায় মেপে রেখেছেন, এ কেমন দেশ আমার পুলিশ নিরাপত্তার বদলে একটা পরিবারকে চন্নহারা করে দেয়? এ দায় কার?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই এপ্রিল, ২০১৬ সকাল ৮:৪৩