জুতাই নাকি একটা মানুষের ব্যক্তিত্ব ফুটিয়ে তোলে। জুতার ধরণ দেখেই নাকি একটি মানুষের রুচি সম্পর্কে ধারণা পাওয়া যায়। তাই আজকাল তরুণ-তরুণি থেকে শুরু করে সব বয়সি মানুষই জুতার ব্যাপারে বেশ সচেতন। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে চলমান ফ্যাশনের স্রোতে গা ভাসিয়ে সবাই চায় নিজেকে আলাদা করে উপস্থাপন করতে। ফ্যাশনের ব্যাপারে কেউই পিছিয়ে থাকতে চায় না। আর তাই বেশ গুরুত্ব সহকারেই জুতা নির্বাচন করা হয় নিজের ব্যক্তিত্ব প্রকাশের ক্ষেত্রে।
পাল্টেছে সময় এবং সেই সাথে পাল্টেছে ফ্যাশন ও। ছেলেদের ক্ষেত্রে হালের ফ্যাশনে যোগ হয়েছে বিভিন্ন রঙের স্টাইলিশ লোফার, ক্যাজুয়াল-সু, ফরমাল-সু, চটি এবং বেল্টের স্যান্ডেল। যদিও কিছুদিন আগে চয়েজের ক্ষেত্রে শীর্ষ স্থান দখল করে রেখেছিল স্নিকারস ও ক্যানভাস। আর গরমের দিনে আরামদায়ক ও খোলামেলা ভাবে চলাফেরা করার জন্যতো দুই ফিতার স্যান্ডেল অথবা চটির জুড়ি মেলা ভার। তবে উঠতি বয়সি তরুণদের জন্য ক্যাজুয়াল-সু, লোফার এবং চাকুরীজীবীদের জন্য অফিসিয়াল/ফরমাল সু এর চাহিদাটাই একটু বেশী। আজকাল রাস্তায় বের হলেই হরহামেশাই চোখে পড়ে তরুণ সমাজের ক্যাজুয়াল-সু ও লোফার পরিধানের চিত্র। যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এখন বাজারে চলছে ক্যাজুয়াল-সু ও লোফার এর নব্য ফ্যাশন ধারা। তাই কদর বাড়ার সাথে সাথে বাজারেও এসব পণ্যের উপস্থিতিও চোখে পড়ার মতই। এসব জুতার বেশীর ভাগই আসে থাইল্যান্ড, চায়না, ভারত সহ বাহিরের দেশ হতে। বর্তমানে দেশীয় ব্র্যান্ড গুলোও ভাল মানে খাঁটি চামড়ার জুতা প্রস্তুত করছে এবং দামেও অন্যান্যদের তুলনায় অনেক সহনশীল। জুতা ক্রয় এবং ব্যবহারের ক্ষেত্রে সতর্কতামূলক কিছু তথ্য জেনে রাখা উচিত। ক্রেতাদের সুবিধার্থে তথ্যগুলো নিম্নে দেয়া হল-
* বেল্টের জুতা হলে বকলেস ঠিক আছে কিনা, জিপার ঠিকমতো ছোটবড় করা যায় কিনা কিংবা প্রয়োজনের চাইতে এটি ছোট কিনা সেটি ভালো করে দেখে কিনুন।
* জুতার মাপ আপনার পায়ের সাথে মানানসই কিনা সেটি বোঝার জন্য সম্ভব হলে দোকানের মাঝেই কয়েক কদম হেঁটে দেখুন। এছাড়া জুতাটি আপনার পায়ে মানাচ্ছে কিনা সেটি আয়নায় দেখে নেয়া বুদ্ধিমানের কাজ।
* যারা উঁচু হিলের জুতা পরেন তারা হিল নির্বাচনের ক্ষেত্রে কতটা উঁচু হিল স্বাচ্ছন্দ্যে পরা যায় সেদিকে খেয়াল রাখুন। কেননা হিল মানানসই না হলে কোমর বা পিঠে ব্যথা হতে পারে।
* বাইরে থেকে ফেরার পর অবশ্যই শুকনো কাপড় দিয়ে জুতা ভালো করে মুছে রাখবেন।
* যাদের পা বেশি ঘামায় তারা সম্ভব হলে ঘাম মুছে জুতা পায়ে দেবেন।
* ভেজা কাপড় দিয়ে কখনোই জুতা মুছবেন না। এতে জুতার ঔজ্জ্বল্য কমে যায়।
* পাথর, পুঁতি, লেস, জরি কিংবা এমব্রয়ডারির কাজ করা জুতার ডিজাইনের মাঝে যেন ধুলা জমে না থাকে সেজন্য শুকনো ব্রাশ দিয়ে এ অংশগুলো পরিষ্কার করুন।
* খোলা জায়গায় জুতা ফেলে রাখবেন না। সম্ভব হলে একটি র্যাকে জুতা রাখুন কিংবা অন্য কোনো স্থানে জুতা রাখলে তার ওপর যেন ধূলা জমতে না পারে সেদিকে খেয়াল রাখুন।
* বিকল্প থাকলে একই জুতা দিনের পর দিন পরবেন না
শাকিল মোহাম্মদ সোহরাওয়ার্দী
পাবলিক রিলেশন ম্যানেজার
অফুরন্ত ডট কম
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ বিকাল ৫:৫১