somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

শুধু একটুর জন্য হচ্ছে না।

২২ শে মার্চ, ২০১০ রাত ৮:২৩
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মনটা ভাল নাই। তার অন্তত ১০ টা কারন আছে। কিন্তু মজার ব্যাপার হলো, এর প্রতিটা কারনই হতে পারত অনেক আনন্দের। এই যেমন ধরুন পড়ালেখার ব্যাপারটা। প্রতি সপ্তাহে নিদেন পক্ষে একটা আইডিয়া পাই, যেটা দেখে মনে হয় পেপারটা এবার নামিয়ে দিতে পারব। এমন একখান পেপার লিখব যে, একেবারে গোলা, রিভিউয়ারের চোখ উলটে যাবে।. অসলো ইউনিভার্সিটি হারিকেন দিয়ে খুঁজবে, বাবা পি.এইচ.ডি টা নিয়ে যাও। কিন্তু সিমুলেসন আমার কথা রাখল না। কোন ভাবেই কার্ভটা উপরে উঠলো না! এভাবেই ল্যাবের সময়টা কাটে আশা-নিরাশার সিমুলেসন করে।
অনেক আশাহত বেদনা নিয়ে বাড়িফিরি। ভাবি, পড়াশোনা গোল্লায় যাক, নিজের বউ-বাচ্চা নিয়ে অন্তত আজকের দিনটা ভাল থাকি। বউকে বল্লাম, বউ চল বাইরে কোথাও যাই মন ভাল হবে। চলো দিপু ভাইয়ের বাসায় আড্ডা দিয়ে আসি। মানুষ ভাবে এক হয় আরেক। বউ বলে, "আচ্ছা, তুমি মানুষের বাসায় খাওয়ার জন্য পাগল কেন? তোমার পেটের সাইজ দেখছ??" ভাল মেজাজটা ১৮০ ডিগ্রি ঘুরে আবার ল্যাবের দিকে চলেগেল। বউকে ২য় বার সাধাসাধিও করতে ইচ্ছা হলো না। অথচ, বউ রাজি হলে সন্ধ্যায় রসালো একটা আড্ডা হতে পারত।
বউএর কাছে বাউন্সার খেয়ে আবার কম্পউটার নিয়ে বসলাম। যথারীতি মেইলচেক, বিডিনিউজ, সামু, ফেসবুক চেক করলাম। আসলে ল্যাবে তো সারাক্ষন তাই করি। আগেই জানি ওই গুলোতে কি আছে। শুধু কনফার্ম হওয়া, আর কি। প্রতি ৫ মিনিটে একবার মেইল, ১৫ মিনিটে বিডিনিউজ, ২০ মিনিটে একবার সামু আর ৩০ মিনিটে ফেসবুক, এইটা একটা মুখস্ত রুটিন।তারপর ক্রিকইনফো খুল্লাম। ইসস্‌। ইংলিশগুলো আউটই হয় না! ভেতরে পড়লাম ৩টা নির্ঘাত আউটের আবেদনে আম্পায়ার সারাদেয় নাই। কেন দেয় নাই? দিলেই কিন্তু বউ-এর উপর রাগটা মাটি হয়ে যেত। বউকে তেল দিয়ে বাইরে নিয়ে যেতাম। মনটা ভাল হয়ে যেত। কে জানে, ফুরফুরে মেজাজের বদৌলতে আরেকটা গ্রাউন্ডব্রেকিং আইডিয়া মাথায় চলে আসত।
কিন্তু....।. শুধু মাত্র, এই একটা কিন্তুর কারনে মনটা ভাল হতে পারল না।
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

=আকাশে তাকিয়ে ডাকি আল্লাহকে=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০১


জীবনে দুঃখ... আসলে নেমে
শান্তি গেলে থেমে;
আমি বারান্দায় দাঁড়িয়ে হই উর্ধ্বমুখী,
আল্লাহকে বলি সব খুলে, কমে যায় কষ্টের ঝুঁকি।

আমি আল্লাহকে বলি আকাশে চেয়ে,
জীবন নাজেহাল প্রভু দুনিয়ায় কিঞ্চিত কষ্ট পেয়ে;
দূর করে দাও সব... ...বাকিটুকু পড়ুন

"ছাত্র-জনতার বেপ্লবের" ১৮ মাস পরে, আপনার ভাবনাচিন্তা ঠিক আগের মতোই আছে?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:৫৭



২০২৪ সালের পহেলা জুলাই "ছাত্র-জনতার বেপ্লব শুরু হয়, "৩৬শে জুলাই" উহা বাংলাদেশে "নতুন বাংলাদেশ" আনে; তখন আপনি ইহাকে ব্যাখ্যা করেছেন, ইহার উপর পোষ্ট লিখেছেন, কমেন্ট করেছেন; আপনার... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের হাদিকে গুলি করা, আর আওয়ামী শুয়োরদের উল্লাস। আমাদের ভুল কোথায়?

লিখেছেন তানভির জুমার, ১৪ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৫৩



৩০ জনের একটা হিটলিস্ট দেখলাম। সেখানে আমার ও আমার স্নেহের-পরিচিত অনেকের নাম আছে। খুব বিশ্বাস করেছি তা না, আবার খুব অবিশ্বাস করারও সুযোগ নাই। এটাই আমার প্রথম... ...বাকিটুকু পড়ুন

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

×