সোনামনিরা টেবিলে মাথা রেখে ঘুমাচ্ছে আর মা বাবার ঘুম নেই, কাল যে বাবুর পরীক্ষা একটা ব্যবস্থাতো করতেই হবে। সোনামনির এ+ নিশ্চিত হবে কলেজ পড়ুয়া ভাগিনা ভাতিজাদের ফোন করে ইন্টারনেট থেকে প্রশ্নটা নিতে পারলে। পাবে এটা নিশ্চিত তবে সেটা যত আগে হয় ততই শান্তি। আমাদের বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থায় পরীক্ষার পূর্ব রাত্রির নিয়মিত চেহারা এটা। কোন প্রশ্ন ফাঁস হয় না এখন? পাবলিক পরীক্ষা, চাকুরির নিয়োগ পরীক্ষা, বিসিএস এমনকি প্রাইভেট কোম্পানীর চাকুরীর নিয়োগ পরীক্ষাও। ফাঁসের কবলে আজ আমাদের পুরো শিক্ষাব্যবস্থা। আমরা ইতিপূর্বে দেখেছি হাজার হাজার এ প্লাসের জোয়ার, দেখেছি ৯০ শতাংশের অধিক পাশের রেকর্ডের পর রেকর্ড এবং এটা খুবই স্বাভাবিক যে আগে পাওয়া প্রশ্নে কোনদিন স্কুল কলেজের বারান্দায় না যাওয়া ছাত্রছাত্রীরাও এপ্লাস পাবে। পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভর্তি পরীক্ষা এই এপ্লাস পাওয়া শিক্ষার্থীদের মান চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দিয়েছে, নজীরবিহীনভাবে ১/২ শতাংশ ছাত্রছাত্রী সে সকল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। পড়াশোনার মান কতটা নিম্নগামী হলে ফলাফলে এরকম ভূমিধস বিপর্যয় হতে পারে সেটা খুব সহজেই অনুমেয়। সবচেয়ে বড় কথা হলো আজকে যারা ফাঁসকৃত প্রশ্নে পরীক্ষা দিচ্ছে তারা আগামীতে যে প্রশ্ন ফাঁসের কেীশল খুঁজবেনা বা চাকুরী জীবনে নিজের ছাত্রজীবনের দেনা শোধের চেষ্টা করবেনা তার গ্যারান্টি কে দেবে আমাদের। সমাজের রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করবে এই ফাঁসের কুফল, সবখানেই থাকবে এই ফাসেঁর চেষ্টা। আমরা কি পারবো আমাদের প্রজন্মকে কিংবা পরবর্তী প্রজন্মকে ফিরিয়ে রাখতে এই অন্যায় অপকর্ম আর অপকেীশল থেকে? ন্যায়ভ্রষ্টতা নীতিহীনতা আমাদের সমাজে বেড়ে উঠার হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহৃত হচ্ছে। এই নপুংশক শিক্ষা ব্যবস্থা দিয়ে আমরা যে প্রজন্ম পাবো তারা কি পারবে আধুনিক প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে বাংলাদেশকে বিশ্বের দরবারে তুলে ধরতে? অবশ্য যে শিক্ষাব্যবস্থা আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার গন্ডি পার করতে পারে না সেটা আমাদের উপরে উঠাতে না পারুক কতটুক নিচে নামাতে পারে তার একটা নমুনা দেখিয়ে দিয়েছে। ১০ বছরের বাচ্চা ইন্টারনেট থেকে প্রশ্নপত্র সংগ্রহ করতে পারছে অথচ আমাদের বিসিএস ক্যাডার সচিব মহোদয় এই জিনিসটা উপলব্ধি করতে পারছেন না। কতটা নির্লজ্জ হলে মিডিয়ার সামনে দাঁত কেলিয়ে হাসতে হাসতে বলতে পারেন প্রশ্নপত্র ফাসেঁর কোন তথ্য প্রমান পাওয়া যায় নাই। আমাদের প্রয়োজন নেই এই বেকডেটেড আমলাদের যারা সামান্য ফেসবুক চালাতে পারে না, এখনই ওএসডি করা উচিত। এই ধরনের অন্ধ ব্যক্তিরা যতদিন গদাসীন থাকবে ততদিন প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেংড়া খোঁড়া হয়ে আসতে থাকবে। এরা জাতিকে শিক্ষাহীন করার যে ষড়যন্ত্র শুরু করেছে তা যদি এখনই রুখে দেয়া না যায় তাহলে আমরাই হবো সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগি কারণ সে পরিবার জানে তার অনুভূতি যে পরিবারে আছে কোন প্রতিবন্ধী। আমাদের পুরো প্রজন্মকে প্রতিবন্ধী করে, সোনার বাংলাদেশকে মেধাহীন করার দেশী বিদেশী তাঁবেদারদের চালু করা প্রকল্প থেকে সমাজ রক্ষায় দেশকে রক্ষায় আসুন দলমত নির্বিশেষে সবাই এখনই প্রতিবাদ করি। আমার আপনার সকলের যেীথ সচেতনতাই পারে বন্ধ করতে এই হীন অপচেষ্টাকে।
আইনের ফাঁকফোকর-০৩
যেকোনো চাকরির নিয়োগের পরীক্ষা চলছে। সেটা পাবলিক সার্ভিস কমিশন, বিভিন্ন সংস্থা, বিভাগীয় কমিশনার, জেলা প্রশাসক বা উপজেলা পর্যায়ের কোনো কার্যালয়ে হতে পারে। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁস হতে পারে। একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন
গল্পঃ অনাকাঙ্ক্ষিত অতিথি
(১)
মাছ বাজারে ঢোকার মুখে "মায়া" মাছগুলোর উপর আমার চোখ আটকে গেল।বেশ তাজা মাছ। মনে পড়লো আব্বা "মায়া" মাছ চচ্চড়ি দারুণ পছন্দ করেন। মাসের শেষ যদিও হাতটানাটানি চলছে তবুও একশো কুড়ি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগে বিরোধী মতের কাউকে নীতি মালায় নিলে কি সত্যি আনন্দ পাওয়া যায়।
ব্লগ এমন এক স্থান, যেখানে মতের অমিলের কারণে, চকলেটের কারণে, ভিন্ন রাজনৈতিক মতাদর্শের কারণে অনেক তর্কাতর্কি বিতর্ক কাটা কাটি মারামারি মন্তব্যে প্রতিমন্তব্যে আঘাত এগুলো যেনো নিত্য নৈমিত্তিক বিষয়। ব্লগটি... ...বাকিটুকু পড়ুন
সিকান্দার রাজার চেয়ে একজন পতিতাও ভালো।
সিকান্দার রাজা কোকের বোতল সামনে থেকে সরিয়ে রাতারাতি হিরো বনে গেছেন! কিন্তু তাকে যারা হিরো বানিয়েছেন, তারা কেউ দেখছেন না তিনি কত বড় নেমকহারামি করেছেন। তারা নিজেদেরকে ধার্মিক বলে দাবি... ...বাকিটুকু পড়ুন
ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা
সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন