দৃশ্য ০১
মামা যাইবেন ?
-কই যাইবেন,
মিরপুর শেউড়া পাড়া,
-৩০ টাকা বাড়ায় দিবেন,
কেন ! মিটারে যা উঠবে তা দিব, বেশি দিব কেন !?
-না যামুনা ।
আচ্ছা ১০ টাকা বাড়িয়ে দিব,
-যামুনা ।
যাবেন ?
-কই !
শেউড়া পাড়া ,
-৫০টাকা বেশী দিবেন,
২০ টাকা দিব, যাবেন ?
-না ।
এই সিএনজি যাবেন ? ধুর .।.।.।
দৃশ্য ০২
আঙ্কেল, আব্বা মারা গেছে ২ বছর হয়, অথচ এখন আব্বার পেনশন তুলতে পারলাম না । দৈনিক আপনাদের চা ( ! ) এর টাকা দিতে দিতে তো আমি শেষ, আর পারছিনা, একটু দেখেন না ফাইলটা ছাড়ানো যায় কিনা ।
- বাবা আমি চেষ্টার কোন ত্রুটী করছিনা, তোমার বাবার ফাইলের ৪-৫ টা পাতা নাই ! এইগুলা তো মেকআপ দিতে হইব ।
আপনি তো জানেন আমাদের সংসারের অবস্থা ভালোনা । আপনিও তো অবসরে যাবেন, তখন যদি আপনার সাথেও এই রকম হয়।
-তুমি বেশি কথা বল । এখন যাও.।.।। শোন, যাওয়ার সময় আমার মোবাইলে ২০০০ টাকা বিকাশ করে দিওতো ।
দৃশ্য ০৩
-দেখি আপনার রিপোর্ট গুলো, আর কি কি ঔষধ দিয়েছে দেখি ।
এই নেন সার ।
-সর্বনাশ, এই ঔষধ খেলে তো আপনি বোবা হয়ে যাবেন । এই নেন টেস্ট গুলা লুল (!) ক্লিনিক থেকে করিয়ে নিয়ে আসুন ।
সার এই টেস্ট তো একবার করসি !
-আগের গুলো সব কেন্সেল, লুল (!) ক্লিনিক থেকে নতুন করে করিয়ে নিয়ে আসুন, যান, আর আমার এসিস্টান্ট এর কাছে ফিস টা দিয়ে যাবেন। নেক্সট....!
আসসালামুয়ালিকুম
-ওয়ালিকুম, দেখি ফাইল টা দেখি, ওহ আপনার তো সিরিয়াস কন্ডিশন, বেবী উল্টো হয়ে আছে, নরমালে হবেনা, আগামি কালই সিজার করাতে হবে, আপনার হাসবেন্ড কে বলুন তাড়া তাড়ি সব রেডি করতে ।
কিন্তু সার আমি ডঃ অ আ কে দেখিয়েছিলাম, উনিতো বললেন বেবির অবস্থা ভালো, নরমালেই হবে !
ডাঃ অ অ কচুর মাথা জানে, আপনার সিজার করতেই হবে, জলদি টাকা পয়সার বেবস্থা করুন ,যান ।
দৃশ্য ০৪
-ঐ দাড়া,
এই রিস্কা থামেন
-দেখি নিচে নামেন, কই গেসিলেন -কই যাইবেন, দেখি হাতে কি ?
আমি আমার বোনের বাসা থেকে আসলাম, ১২নাম্বারে যাচ্ছি ।
-চেহারা এমন কেন, দাড়ি কাটেন না কেন, জঙ্গি টঙ্গি নাতো ?
আমি ইউল্যাব এর স্টুডেন্ট ।
-দেখি পকেটে কি ইয়াবা নাতো , দেখি..।.।.। পকেটে মোবাইল কেন, স্টুডেন্ট মানুষ পকেটে মবাইলে কেন হুম !?
-দেখি মানি ব্যাগ দেখি .!!
ভাই, এই টাকা নিয়েন না, এখানে আমার সেমিস্টার ফি আছে , আপুর কাছ থেকে এনেছি, ভাই নিয়েন না্, ভাই
-চুপ, এই দিক দিয়া সোজা হাটা দে, পিছে তাকাইলে কিন্তু পকেটে ইয়াবা দিয়া চালান কইরা দিমু খা.(।।) র পোলা, যা দৌড় দে
ভাই
-গেলি ,
-এই দাঁড়ান, কই গেসিলেন, কই যাইবেন, দেখি পকেট দেখি.।.।.।.।.।.।।।
শেষ দৃশ্য
আমি অফিসে যাচ্ছি, দরজাটা লাগিয়ে দাও ।
-শুন-সো, আইরিন ভাবিকে ওনার হাসবেন্ড নতুন একটা সীতা হাড় কিনে দিয়েছে , দেখতে কিযে সুন্দর, আমার না খুব পছন্দ হয়েছে, -দাওনা ্্ দাওনা এমন একটা হাড় আমাকেও দাওনা.।.।। দাওনা ।
তোমার কি মাথা খারাপ, তুমি জানোনা আমি মাস শেষে কত টাকা বেতন পাই !।
-শফিক সাহেবও তো তোমার সাথেই চাকরী করে, উনি কিভাবে পারে ? তুমি সব টাকা তোমার মায়ের কাছে দিয়া আসলে আমাকে দিবা কেমনে !!
উল্টা পাল্টা কথা বলনা
আমি অত কিছু বুঝিনা, ঐ রকম একটা সীতা হাড় আমার চাইই, কেমনে দিবা যানিনা ।