somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কদমবুসির হুকুম।

২৮ শে জুলাই, ২০১৫ দুপুর ২:৩০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :


"পা ছুয়ে সালাম"/"কদমবুসীর রীতি"
শির্ক!
পা ছুয়ে সালাম করা, কদমবুসি করা বা
পায়ে চুমু খাওয়া, পদধূলি নেওয়া - এ
সবগুলোই মুশরেক জাতি হিন্দুদের
অনুকরণে নিক্রিষ্ট বিদ'আত। আফসোস !
আজ পর্যন্ত কোনো হিন্দুকে দেখলামনা
মুসিলমানদের কোনো কিছু অনুকরণ
করতে। মূর্খ মুসিলমান জাতি কেনো
হিন্দুয়ানু কালচারের জন্য এতো
দিওয়ানা হবে? পা ছুয়ে সালাম করতে
গেলে মাথা কোনো মানুষের সামনে
ঝুকানো হয়, যা শিরক। মুসলমানদের
মাথা শুধু মাত্র আল্লাহর সামবেই
নামাযে রুকু ও সিজদার সময় নত করে, আর
কারো জন্য না। পা ছুয়ে সালাম করা
অমুসলিমদের কাজ। আর তা সালাম নয়,
তা আসলে প্রনাম। সুতরাং তা
মুসলিমদের জন্য বৈধ নয়। আল্লাহ ছাড়া
কারও জন্য মাথা নত করা বৈধ নয়।
সালাম ও মুসাফাহাহ করার সময় মাথা
নত করা বৈধ নয়। সালামের পর বিশেষ
শ্রদ্ধাভাজনের দুই চোখের মাঝে
কপালে চুম্বন করা বৈধ। জাফর (রাঃ)
হাবশা থেকে ফিরে এলে রাসুল
(সাঃ) তার সাথে মুআনাকা করে তার
দুই চোখের মাঝে কপালে চুম্বন
দিয়েছিলেন। ***ইবনে উসাইমিন;
সিলসিলাহ সহিহাহঃ ৬/১/৩৩৮।
"মুসলিমদের সালামের রীতি-নীতি"
মুসলিমদের সালামের রীতি-নীতি
হলঃ "সালামুন আলাইকুম বা আসসালামু
আলাইকুম" এবং তার উত্তরে অনুরুপ করার
বিধান আল্লাহই দিয়েছেন। আল্লাহ
বলেছেনঃ
"আর যখন তারা আপনার কাছে আসবে
যারা আমার নিদর্শনসমূহে বিশ্বাস
করে, তখন আপনি বলে দিনঃ
তোমাদের উপর শান্তি বর্ষিত হোক।
তোমাদের পালনকর্তা রহমত করা নিজ
দায়িত্বে লিখে নিয়েছেন যে,
তোমাদের মধ্যে যে কেউ
অজ্ঞতাবশতঃ কোন মন্দ কাজ করে,
অনন্তর এরপরে তওবা করে নেয় এবং সৎ
হয়ে যায়, তবে তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল,
করুণাময়"। ***সুরা আল-আনআমঃ আয়াত-৫৪।
সালাম একটি প্রাচীন সুন্নাত যা আদম
আলাইহিস সালাম থেকে শুরু হয়ে
কিয়ামত প্রতিষ্ঠিত হওয়া অবধি
বিদ্যমান থাকবে। ইহাই জান্নাত
বাসীদের শুভেচ্ছা। আর জান্নাতে
তাদের শুভেচ্ছা হবে সালাম-শান্তি।
ইহা নবী-আম্বিয়াদের সুন্নাত,
মুত্তাকীদের স্বভাবগত গুণ, খাঁটি
মুমিনদের বৈশিষ্ট্য।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেন: “তোমরা জান্নাতে
প্রবেশ করতে পারবে না মুমিন না
হওয়া পর্যন্ত। আর তোমরা মুমিন হবে না
যতক্ষণ না পরস্পরকে না ভালবাসবে।
আমি কি তোমাদেরকে এমন পদ্ধতির
কথা বলে দিব না যা করলে তোমরা
পরস্পরকে ভালবাসতে পারবে? তা হল,
তোমাদের মধ্যে বেশী বেশী করে
সালাম প্রচার ও প্রসার করবে।”
***মুসলিম।
বুখারী ও মুসলিমের যৌথ বর্ণনায়
এসেছে: “এক ব্যক্তি রসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামকে জিজ্ঞেস করলেন:
ইসলামের কোন বৈশিষ্ট্য সর্বোত্তম?
তদুত্তরে তিনি বলেন: তুমি খাবার
খাওয়াবে এবং যাকে চেন অথবা চেন
না সবাই (মুসলিম)কে সালাম প্রদান
করবে।***মুত্বাফাক আলাইহ।
সালামের পদ্ধতি:
ইমাম নাওয়াভী বলেন: সালামের
সর্বনিম্ন শব্দ হল: ( ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻴﻜﻢ ) আসসালামু
আলাইকুম বলা। যাকে সালাম দেয়া
হচ্ছে সে যদি একক ব্যক্তি হয়, তবে তার
জন্য সর্ব নিম্ন শব্দ হল: ( ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻴﻚ )
আসসালামু আলায়কা বলা। তবে
এক্ষেত্রে উত্তম হল ( ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻋﻠﻴﻜﻢ ) বলা
যাতে করে এ সালাম তাকে ও তার দুই
ফেরেশতাকেও শামিল করে। এর
চেয়েও পূর্ণাঙ্গরূপ হল: ( ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ) ওয়া
রহমাতুল্লাহ বৃদ্ধি করে বলা, অনুরূপ
ভাবে ( ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ) ওয়া বারাকাতুহু শব্দ বৃদ্ধি
করে বলা আরও উত্তম। যদি কেউ ( ﺳﻼﻡ
ﻋﻠﻴﻜﻢ) সালামুন আলাইকুম বলে তবুও তা
তার জন্য যথেষ্ট হবে।
সালামের জবাব:
ইমাম নাওয়াভী বলেন: সালামের
জওয়াব দেয়ার সর্বোত্তম ও পূর্নাঙ্গ
পদ্ধতি হল: ( ﻭﻋﻠﻴﻜﻢ ﺍﻟﺴﻼﻡ ﻭﺭﺣﻤﺔ ﺍﻟﻠﻪ ﻭﺑﺮﻛﺎﺗﻪ )ওয়া
আলাইকুমাসসালাম ওয়া রহমাতুল্লাহে
ওয়া বারাকাতুহ্ বলা। অর্থাৎ আলাইকুম,
এর পূর্বে ( ﻭ ) ওয়াও অক্ষরটি উল্লেখ
করবে। তা বাদ দিলেও জায়েজ আছে
তবে সেটা উত্তম পদ্ধতি হবে না। কেউ
যদি সালামের জবাবে শুধু ওয়া আলাই
কুমুস্ সালাম বলে তবে তা যথেষ্ট হবে।
তবে যদি শুধু ( ﻋﻠﻴﻜﻢ) আলাইকুম বলে তবে
সকল বিদ্বানের নিকটেই তা যথেষ্ট
হবে না।
"পা ছুয়ে সালাম/কদমবুসীর রীতি"
আমাদের সমাজে অনেকেই মুখে
সালাম দেওয়ার চেয়ে কদমবুসীকে
বেশি গুরুত্ব প্রদান করেন। অনেকে
আবার কদমবুসীকে সালাম করা বলি।
অনেকে মুখে সালাম করি-না শুধু
কদমবুসী করি।অথচ একজন মুসলমানের
সাথে অন্যের দেখা হলে মুখে সালাম
দেওয়া ও উত্তর প্রদান করা ইসলামী
সুন্নাত। রসূলুল্লাহ (ﷺ ) -এর দরবারে তাঁর ২৩
বৎসরের নবুয়াতী জীবনে তাঁর
লক্ষাধিক সাহাবীর কেউ কেউ দুই
একবার এসেছেন। কেউ কেউ
সহস্রাধিকবার এসেছেন। এসকল
ক্ষেত্রে তাঁদের সুন্নাত ছিল সালাম
প্রদান। কখনো কখনো দেখা হলে তাঁরা
সালামের পরে হাত মিলিয়েছেন বা
মুসাফাহা করেছেন। দু' একটি ক্ষেত্রে
তাঁরা একজন আরেকজনের হাতে বা
কপালে চুমু খেয়েছেন বা কোলাকুলি
করেছেন।
আবু বাকার, উমার, উসমান, আলী,
ফাতিমা, বিলাল (রা.) ও তাঁদের মত
অগণিত প্রথম কাতারের শত শত সাহাবী
প্রত্যেকে ২৩ বছরে কমপক্ষে ১০ হাজার
বার রসূলুল্লাহ ( ﷺ ) -এর দরাবারে প্রবেশ
করেছেন। কিন্তু কেউ কখনো একবারও
রসূলুল্লাহ ( ﷺ ) কদম মুবারক চুমু খাননি বা
সেখানে হাত রেখে সেই হাতে চুমু
খাননি।
==============================
===================
-:কোরআন ও সুন্নায় সালামের গুরুত্ব ও
আদব:-
আল্লাহ বলেছেন, “হে বিশ্বাসীগণ!
তোমরা নিজেদের গৃহ ব্যাতীত অন্য
কারও গৃহে গৃহবাসীদের অনুমতি না
নিয়ে ও তাদেরকে সালাম না দিয়ে
প্রবেশ করো না।” (সূরা নুরঃ ২৭)
তিনি অন্যত্র বলেন, “যখন তোমরা গৃহে
প্রবেশ করবে, তখন তোমরা তোমাদের
স্বজনদের প্রতি সালাম বলবে। এ হবে
আল্লাহর নিকট হতে কল্যাণময় ও পবিত্র
অভিবাদন। “(সূরা নুরঃ ৬১)
তিনি অন্য জায়গায় বলেন, “যখন
তোমাদেরকে অভিবাদন করা হয়
(সালাম দেওয়া হয়), তখন তোমরাও তা
অপেক্ষা উত্তম অভিবাদন কর অথবা ওরই
অনুরূপ কর। (সূরা নিসা 86 আয়াত)
তিনি আরো বলেছেন, “তোমার নিকট
ইব্রাহীমের সম্মানিত মেহমানদের
বৃত্তান্ত এসেছে কি? যখন তারা তার
নিকট উপস্থিত হয়ে বলল, ‘সালাম।’
উত্তরে সে বলল, ‘সালাম’।” (সূরা
যারিয়াতঃ ২৪-২৫)
এই প্রসঙ্গে কয়েকটি হাদিস উল্লেখ
করা হল-
১) আবদুল্লাহ্ ইবনে আমর ইবনুল আ’স (রাঃ)
হতে বর্ণিত এক ব্যক্তি রাসুলুল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামকে জিজ্ঞাসা করল,
‘সর্বোত্তম ইসলামী কাজ কি?’ তিনি
বললেন, “(ক্ষুধার্তকে) অন্নদান করবে
এবং পরিচিত-অপরিচিত নির্বিশেষে
সকলকে (ব্যাপকভাবে) সালাম পেশ
করবে।”1
২) হযরত আবু ‍হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম বলেছেন, “আল্লাহ যখন আদম
(আঃ) কে সৃষ্টি করলেন। তখন তাঁকে
বললেন, ‘তুমি যাও এবং ঐ
ফেরেস্তামন্ডলীর একটি দল বসে আছে,
তাদের উপর সালাম পেশ কর। আর ওরা
তোমার সালামের কী জবাব দিচ্ছে
তা মন দিয়ে শোনো। কেননা, ওটাই
হবে তোমার ও তোমার সন্তান-সন্ততির
সালাম বিনিময়ের রীতি।’ সুতরাং
তিনি (তাঁদের কাছে গিয়ে) বললেন,
‘আসসালামু আলাইকুম’ , তাঁরা উত্তরে
বললেন, ‘আসসালামু আলাইকা
ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ , অতএব তাঁরা
ওয়ারাহমাতুল্লাহ’ শব্দটা বেশি
বললেন।” (বুখারী ও মুসলিম)2
৩) হযরত আবু উমারা বারা ইবনে আযেব
(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
‘রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম আমাদেরকে সাতটি (কর্ম
করতে) আদেশ করেছেনঃ
ক) রোগী দেখতে যাওয়া, খ)
জানাযার অনুসরণ করা, গ) হাঁচির
(ছিঁকের) জবাব দেয়া, ঘ) দুর্বলকে
সাহায্য করা, ঙ) নির্যাতিত ব্যক্তির
সাহায্য করা, চ) সালাম প্রচার করা,
এবং ছ) শপথকারীর শপথ পুরা করা।
(বুখারী ও মুসলিম)3
৪) হযরত আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাল্লাহ
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বলেছেন, “তোমরা ঈমানদার না হওয়া
পর্য়ন্ত জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে
না। আর যতক্ষণ না তোমাদের
পারস্পরিক ভালোবাসা গড়ে উঠবে,
ততক্ষণ পর্যন্ত তোমরা প্রকৃত ঈমানদার
হতে পারবে না। আমি কি
তোমাদেরকে এমন একটি কাজ বলে
দেব না, যা করলে তোমরা একে
অপরকে ভালোবাসতে লাগবে? (তা
হচ্ছে) তোমরা আপোসের মধ্যে সালাম
প্রচার কর।” (মুসলিম)4
৫) আবু ইউসুফ আব্দুল্লাহ্ ইবনে সালাম
(রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি
রাসূলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লামকে বলতে শুনেছি, ‘‘হে
লোক সকল! তোমরা সালাম প্রচার কর,
(ক্ষুধার্তকে) অন্নদান কর, আত্মীয়তার
বন্ধন অটুট রাখ এবং লোকে যখন (রাতে)
ঘুমিয়ে থাকে তখন তোমরা নামায পড়।
তাহলে তোমরা নিরাপদে ও
নির্বিঘ্নে জান্নাতে প্রবেশ
করবে।” (তিরমিযী হাসান সহীহ)5
৬) তুফাইল ইবনে উবাই ইবনে কা’ব হতে
বর্ণিত, তিনি আবদুল্লাহ্ ইবনে উমার
(রাঃ)-এর কাছে আসতেন এবং সকালে
তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতেন। তিনি
বলেন, ‘যখন আমরা সকালে বাজারে
যেতাম, তখন তিনি প্রত্যেক খুচরা
বিক্রেতা, স্থায়ী ব্যবসায়ী, মিসকীন,
তথা অন্য কোন ব্যক্তির নিকট দিয়ে
অতিক্রম করার সময় তাকে সালাম
দিতেন।’ তুফাইল বলেন, সুতরাং আমি
একদিন (অভ্যাসমত) আবদুল্লাহ ইবনে উমার
(রাঃ) এর নিকট গেলাম। তিনি
আমাকে তাঁর সঙ্গে বাজারে যেতে
বললেন। আমি বললাম, ‘আপনি বাজারে
গিয়ে কী করবেন? আপনি তো
বেচাকেনার জন্য কোথাও থামেন না,
কোন পণ্য সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করেন
না, তার দরদাম জানতে চান না এবং
বাজারের কোন মজলিসে বসেনও না।
আমি বলছি, এখানে আমাদের সাথে
বসে যান, এখানেই কথাবার্তা
বলি।’ (তুফাইলের ভুঁড়ি মোটা ছিল, সেই
জন্য) তিনি বললেন, ‘ওহে ভুঁড়িমোটা!
আমরা সকাল বেলায় বাজারে একমাত্র
সালাম পেশ করার উদ্দেশ্যে যাই; যার
সাথে আমাদের সাক্ষাৎ হয়, আমরা
তাকে সালাম দিই।’ (মুয়াত্তা মালিক,
বিশুদ্ধ সূত্রে)6
সালাম দেওয়ার পদ্ধতিঃ
[প্রথম যে সালাম দেবে তার এরূপ বলা
(উচিত), ‘আসসালামু আলাইকুম
অরাহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ’, এটা
মুস্তাহাব। সে বহুবচন সর্বনাম ব্যবহার
করবে; যদিও যাকে সালাম দেয়া হয়
সে একা হোক না কেন। আর সালামের
উত্তরদাতা বলবে ‘ওয়াআলাইকুমুস
সালামু ওয়ারহমাতুল্লাহ
ি ওয়াবারাকাতুহ, অর্থাৎ সে শুরুতে
সংযোজক অব্যয় ‘অ’ বা ‘ওয়া’ শব্দ ব্যবহার
করবে।]
১) ইমরান ইবনে হুসাইন (রাঃ) হতে
বর্ণিত তিনি বলেন, একটি লোক নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর নিকট এসে এভাবে সালাম করল
‘আসসালামু আলাইকুম’ আর নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তার জবাব দিলেন। অতঃপর লোকটি
বসে গেলে তিনি বললেন, ‘‘ওর জন্য
দশটি নেকী।” তারপর দ্বিতীয় ব্যক্তি
এসে ‘আসসালামু আলাইকুম
অরাহমাতুল্লাহ’ বলে সালাম পেশ করল।
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লাম তার সালামের উত্তর দিলেন
এবং লোকটি বসলে তিনি বললেন, “ওর
জন্য বিশটি নেকী।” তারপর আর একজন
এসে ‘আসসালামু আলাইকুম
অরাহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ’ বলে
সালাম দিল। তিনি তার জবাব
দিলেন। অতঃপর সে বসলে তিনি
বললেন, “ওর জন্য ত্রিশটি নেকী।” (আবু
দাউদ, তিরমিযী হাসান সূত্রে)7
২ ) আয়েশা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, একদা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম আমাকে
বললেন, “এই জিব্রীল আলাইহি
ওয়াসাল্লাম তোমাকে সালাম পেশ
করেছেন।” তিনি বলেন, আমিও উত্তরে
বললাম, ‘ওয়ালাইহিস সালামু
অরাহমাতুল্লাহি অবারাকাতুহ।’(বু
খারী ও মুসলিম)8
এই গ্রন্থদ্বয়ের কোন বর্ণনায়
‘অবারাকাতুহ’ শব্দ এসেছে, আবার কোন
কোন বর্ণনায় তা আসেনি। তবুও
নির্ভরযোগ্য বর্ণনাকারীর অতিরিক্ত
বর্ণনা গ্রহণীয়।
৩) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
যখন কোন কথা বলতেন, তখন তা তিনবার
বলতেন; যাতে তাঁর কথা বুঝতে পারা
যায়। আর যখন কোন গোষ্ঠীর কাছে
আসতেন তখনও তিনি তিনবার করে
সালাম পেশ করতেন। (বুখারী)8
৪) মিক্বদাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি
স্বীয় দীর্ঘ হাদিসে বলেন, আমরা নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
এর জন্য তাঁর অংশের দুধ রেখে দিতাম।
তিনি রাতের বেলায় আসতে এবং
এমনভাবে সালাম দিতেন যে, তাতে
কোন ঘুমন্ত ব্যক্তিকে জাগিয়ে দিতেন
না এবং জাগ্রত ব্যক্তিদের শুনাতেন।
সুতরাং নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম (তাঁর অভ্যাসমত)এসে
সালাম দিলেন, যেমন তিনি সালাম
দিতেন। (মুসলিম)10
৫) আসমা বিনতে ইয়াজিদ (রাঃ) হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, একদা নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
আমাদের একদল মহিলার নিকট দিয়ে
পার হওয়ার সময় আমাদেরকে সালাম
দিলেন। (আবু দাউদ)11
(প্রকাশ থাকে যে, নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম-এর হাতের
ইশারায় মহিলাদেরকে সালাম দেয়ার
তিরমিযীর হাদিসটি সহিহ নয়।)
৬) আবু উমামাহ (রাঃ) হতে বর্ণিত
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“আল্লাহর সর্বাধিক নিকটবর্তী মানুষ
সেই, যে প্রথম সালাম করে।” (আবু দাউদ
সহীহ সনদ যোগে, তিরমিযীও অনুরূপ
বর্ণনা করেছেন ও বলেছেন হাদীসটি
হাসান)12
৭) আবু জুরাই হুজাইমী (রাঃ) হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি আল্লাহর রসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম-
এর নিকট হাজির হয়ে বললাম,
‘আলাইকাস সালাম’ ইয়া রাসুলুল্লাহ।
তিনি বললেন, “আলাইকাস সালাম’
বলো না। কেননা, ‘আলাইকাস সালাম’
হচ্ছে মৃত ব্যক্তিদেরকে জানানো
অভিবাদন বাক্য।’’ (আবু দাউদ, তিরমিযী
হাসান সহীহ)13
সালামের বিভিন্ন আদব-কায়দা
১) আবু হুরাইরা (রাঃ) থেকে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আরোহী
পায়ে হাঁটা ব্যক্তিকে, পায়ে হাঁটা
ব্যক্তি বসে থাকা ব্যক্তিকে এবং অল্প
সংখ্যক লোক অধিক সংখ্যক লোককে
সালাম দেবে।” (বুখারী ও মুসলিম)14
বুখারীর অন্য এক বর্ণনায় আছে, ‘‘ছোট
বড়কে সালাম দেবে।’’
২) আবু উমামাহ সুদাই ইবনে আজলান
বাহেলী (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“লোকেদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি
আল্লাহর নিকটবর্তী সেই, যে
লোকদেরকে প্রথমে সালাম করে।” (আবু
দাউদ উত্তম সূত্রে)15
৩) তিরমিযীও আবু উমামাহ কর্তৃক বর্ণনা
করেছেন, তিনি বলেন, জিজ্ঞাসা
করা হল, ‘হে আল্লাহর রসুল! দু’জনের
সাক্ষাৎকালে তাদের মধ্যে কে
প্রথমে সালাম দেবে?’ তিনি বললেন,
“যে মহান আল্লাহর সর্বাধিক
নিকটবর্তী হবে।” (তিরমিযী বলেন,
হাদিসটি হাসান)
দ্বিতীয়বার সত্বর সাক্ষাৎ হলেও পুনরায়
সালাম দেয়া মুস্তাহাব
[যেমন কোথাও প্রবেশ করার পর বের হয়ে
গিয়ে পুনরায় তৎক্ষণাৎ সেখানে
প্রবেশ করলে কিম্বা দু’জনের মাঝে
কোন গাছ তথা অনরূপ কোন জিনিসের
আড়াল হলে, তারপর আবার দেখা হলে
পুনরায় সালাম দেয়া মুস্তাহাব।]
১) আবু হুরাইরা (রাঃ) কর্তৃক বর্ণিত,
নামায ভুলকারীর হাদিসে এসেছে
যে, সে ব্যক্তি এসে নামায পড়ল।
অতঃপর নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম-এর নিকট এসে তাঁকে
সালাম দিল। তিনি তার সালামের
জবাব দিয়ে বললেন, “ফিরে যাও, এবং
নামায পড়। কেননা, তোমার নামায
পড়া হয়নি।’’ কাজেই সে ফিরে গিয়ে
আবার নামায পড়ল। তারপর পুনরায় এসে
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামকে সালাম দিল। এভাবে সে
তিনবার করল। (বুখারী ও মুসলিম)16
২) উক্ত রাবী আবু হুরাইরা (রাঃ) হতেই
বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন
কেউ তার মুসলিম ভাইয়ের সাথে
দেখা করবে, তখন সে যেন তাকে
সালাম দেয়। অতঃপর যদি তাদের
দু’জনের মাঝে গাছ বা দেয়াল অথবা
পাথর আড়াল গয়, তারপর আবার সাক্ষাৎ
হয়, তাহলে সে যেন আবার সালাম
দেয়।” (আবু দাউদ)17
নিজ গৃহে প্রবেশ করার সময় সালাম
দেয়া উত্তম
আল্লাহ্ বলেন,
ﻓَﺈِﺫَﺍ ﺩَﺧَﻠْﺘُﻢ ﺑُﻴُﻮﺗًﺎ ﻓَﺴَﻠِّﻤُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻧﻔُﺴِﻜُﻢْ ﺗَﺤِﻴَّﺔً ﻣِّﻦْ ﻋِﻨﺪِ ﺍﻟﻠَّﻪِ
ﻣُﺒَﺎﺭَﻛَﺔً ﻃَﻴِّﺒَﺔً
“যখন তোমরা গৃহে প্রবেশ করবে তোমরা
তোমাদের স্বজনদের প্রতি সালাম
বলবে। “(সূরা নূরঃ ৬১)
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি বলেন,
একদা আমাকে রাসুলুল্লাহ্
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
বললেন, “হে বৎস! তোমার বাড়িতে যখন
তুমি প্রবেশ করবে, তখন সালাম দাও,
তাহলে তোমার ও তোমার পরিবারের
জন্য তা বর্কতময় হবে।” (তিরমিযী
হাসান সহীহ)18
শিশুদেরকে সালাম করা:
আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি
কতিপয় শিশুর নিকট দিয়ে অতিক্রম
করার সময় তাদেরকে সালাম দিলেন
এবং বললেন, ‘রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরূপ
করতেন।’ (বুখারী ও মুসলিম)19
নারী-পুরুষের পারস্পরিক সালাম:
[নিজ স্ত্রীকে স্বামীর সালাম দেয়া,
অনুরূপভাবে কোন পুরুষের তার
‘মাহরাম’ (যার সাথে বৈবাহিক-সম্পর্ক
চিরতরে নিষিদ্ধ এমন) মহিলাকে
সালাম দেয়া, অনুরূপ ফিতনা-
ফাসাদের আশঙ্কা না থাকলে ‘গায়র
মাহরাম’ (যার সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক
কোন সময় বৈধ এমন) মহিলাদেরকে
সালাম দেয়া বৈধ। যেমন উক্ত
মহিলাদেরও উক্ত পুরুষদেরকে ঐ শর্ত
সাপেক্ষে সালাম দেয়া বৈধ।]
১) সাহল ইবনে সাদ (রাঃ) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, ‘আমাদের মধ্যে এক
মহিলা ছিল। অন্য বর্ণনায় আছে
আমাদের একটি বুড়ি ছিল। সে বীট
(কেটে) হাঁড়িতে রেখে তাতে কিছু
যব দানা পিষে মিশ্রণ করত। অতঃপর
আমরা যখন জুমআর নামায পড়ে ফিরে
আসতাম, তখন তাকে সালাম দিতাম।
আর সে আমাদের জন্য তা পেশ
করত।’ (বুখারী)20
২) উম্মে হানী ফাখেতাহ বিন্তে
আবী তালেব (রাঃ) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, ‘মক্কা বিজয়ের দিন আমি
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামের নিকট হাজির হলাম। তখন
তিনি গোসল করছিলেন। ফাতেমা
তাঁকে একটি কাপড় দিয়ে আড়াল
করছিলেন। আমি (তাঁকে) সালাম
দিলাম।…’ অতঃপর তিনি সম্পূর্ণ হাদিস
বর্ণনা করেছেন। (মুসলিম)21
৩) আসমা বিনতে য়্যাযিদ (রাঃ) হতে
বর্নিত, তিনি বলেন, ‘একদা নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
(আমাদের) একদল মহিলার নিকট অতিক্রম
করার সময় আমাদেরকে সালাম
দিলেন।’ (আবু দাউদ)22
তিরমিযীর শব্দগুচ্ছ এরূপঃ ‘একদা
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম মসজিদ অতিক্রম
করছিলেন, মহিলাদের একটা দল
বসেছিল, তিনি তাদেরকে হাতের
ইঙ্গিতে সালাম দিলেন। (এটি সহীহ
নয়)
অমুসলিমকে আগে সালাম দেয়া
হারাম ও তাদের সালামের জবাব
দেয়ার পদ্ধতি
কোন সভায় যদি মুসলিম-অমুসলিম সমবেত
থাকে, তাহলে তাদের (মুসলিমদের)কে
সালাম দেয়া মুস্তাহাব
১) আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত,
রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “ইয়াহুদী-খ্রিস
্টানদেরকে প্রথমে সালাম দিয়ো না।
যখন পথিমধ্যে তাদের কারো সাথে
সাক্ষাৎ হবে, তখন তাকে পথের এক
প্রান্ত দিয়ে যেতে বাধ্য কর।” (মুসলিম)
23
২) আনাস (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন,
“কিতাবধারীরা (ইয়াহুদী-খ্রিস
্টানরা) যখন তোমাদেরকে সালাম
দেয়, তখন তোমরা জবাবে বল, ‘ওয়া
আলাইকুম।” (বুখারী-মুসলিম)24
৩) উসামা (রাঃ) হতে বর্ণিত, নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া
সাল্লামে এমন সভা অতিক্রম করেন,
যার মধ্যে মুসলিম, মুশরিক (মূর্তিপূজক) ও
ইয়াহুদীর সমাগম ছিল। নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম
তাদেরকে সালাম করলেন। (বুখারী ও
মুসলিম)25
সভা থেকে উঠে যাবার সময়ও
সাথীদেরকে ত্যাগ করে যাবার পূর্বে
সালাম দেয়া উত্তম
আবু হুরাইরা (রাঃ) হতে বর্ণিত, তিনি
বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “যখন
তোমাদের কেউ সভায় পৌঁছবে তখন
সালাম দেবে। আর যখন সভা ছেড়ে
চলে যাবে, তখনও সালাম দেবে।
কেননা, প্রথম সালাম শেষ সালাম
অপেক্ষা বেশি উত্তম নয়।” (আবু দাউদ,
তিরমিযী, হাসান হাদীস)26
বাড়িতে প্রবেশ করার অনুমতি গ্রহণ ও
তার আদব-কায়দা
মহান আল্লাহ বলেন,
ﻳَﺎ ﺃَﻳُّﻬَﺎ ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﺁﻣَﻨُﻮﺍ ﻟَﺎ ﺗَﺪْﺧُﻠُﻮﺍ ﺑُﻴُﻮﺗًﺎ ﻏَﻴْﺮَ ﺑُﻴُﻮﺗِﻜُﻢْ ﺣَﺘَّﻰٰ
ﺗَﺴْﺘَﺄْﻧِﺴُﻮﺍ ﻭَﺗُﺴَﻠِّﻤُﻮﺍ ﻋَﻠَﻰٰ ﺃَﻫْﻠِﻬَﺎ ۚ
অর্থাৎ, হে বিশ্বাসীগণ! তোমরা
নিজেদের গৃহ ব্যতীত অন্য কারও গৃহে
গৃহবাসীদের অনুমতি না নিয়ে ও
তাদেরকে সালাম না দিয়ে প্রবেশ
করো না। (সূরা নূরঃ ২৭)
তিনি আরো বলেন,
ﻭَﺇِﺫَﺍ ﺑَﻠَﻎَ ﺍﻟْﺄَﻃْﻔَﺎﻝُ ﻣِﻨﻜُﻢُ ﺍﻟْﺤُﻠُﻢَ ﻓَﻠْﻴَﺴْﺘَﺄْﺫِﻥﺍﻭُ ﻛَﻤَﺎ ﺍﺳْﺘَﺄْﺫَﻥَ
ﺍﻟَّﺬِﻳﻦَ ﻣِﻦ ﻗَﺒْﻠِﻬِﻢْ
অর্থাৎ, তোমাদের শিশুরা বয়ঃপ্রাপ্ত
হলে তারাও যেন তাদের
বয়োজ্যেষ্ঠদের মতো (সর্বদা) অনুমতি
প্রার্থনা করে। (সূরা নূরঃ ৫৯)
১) আবু মূসা আশআরী (রাঃ) হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ্ সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া ‍সাল্লাম বলেছেন,
“অনুমতি তিনবার নেয়া চায়। যদি
তোমাকে অনুমতি দেয় (তাহলে
ভেতরে প্রবেশ করবে) নচেৎ ফিরে
যাবে।” (বুখারী ও মুসলিম)27
২) সাহল ইবনে সাদ (রাঃ)হতে বর্ণিত,
তিনি বলেন, আল্লাহর রাসুল
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ‍সাল্লাম
বলেছেন, “দৃষ্টির কারণেই তো (প্রবেশ)
অনুমতির বিধান করা হয়েছে।” (অর্থাৎ
দৃষ্টি থেকে বাঁচার উদ্দেশ্যে ঐ
নির্দেশ।) (বুখারী ও মুসলিম)28
৩) রিবয়ী ইবনে গিরাশ (রাঃ) হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন বনু আমেরের একটা
লোক আমাকে হাদীস বর্ণনা করেছেন
যে, সে একদা নবী সাল্লাল্লাহু
আলাইহি ওয়া ‍সাল্লামের নিকট
(প্রবেশ) অনুমতি চাইল। তখন তিনি
বাড়িতে উপস্থিত ছিলেন। সুতরাং
সে নিবেদন করল, ‘আমি কি প্রবেশ করব?’
রাসুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া ‍সাল্লাম স্বীয় খাদেমকে বললেন,
‘বাইরে গিয়ে এই লোকটিকে অনুমতি
গ্রহণের পদ্ধতি শিখিয়ে দাও এবং
তাকে বল, তুমি বল ‘আসসালামু আলাইকুম,
আমি কি প্রবেশ করব?’ সুতরাং লোকটা
ঐ কথা শুনতে পেয়ে বলল, ‘আসসালামু
আলাইকুম, আমি কি প্রবেশ করব?’ অতঃপর
নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি
ওয়া ‍সাল্লাম তাকে অনুমতি দিলেন
এবং সে প্রবেশ করল। (আবু দাউদ, বিশুদ্ধ
সূত্রে)29
৪) কিলদাহ ইবনে হাম্বাল (রাঃ) হতে
বর্ণিত, তিনি বলেন, আমি নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ‍সাল্লাম-
এর নিকট এসে তাঁর কাছে বিনা
সালামে প্রবেশ করলাম। নবী
সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া ‍সাল্লাম
বললেন, “ফিরে যাও এবং বল,
‘আসসালামু আলাইকুম, আমি ভেতরে
আসব কি?” (আবু দাউদ, তিরমিযী, হাসান)
30
==============================
===================
1/ সহীহুল বুখারী 12,28,6236, মুসলিম 39,
তিরমিযী 1855, নাসায়ী 5000, আবূ দাউদ
5194, ইবনু মাজাহ 3253, 3694, আহমদ 6545,
দারেমী 2081.
2/ সহীহুল বুখারী 3326, 6227, মুসলিম 2841,
আহমদ 8092, 10530,27388
3/ সহীহুল বুখারী 1239,2445,5175,563
5,5660,5838,5849,5836,6222, 6235,6654, মুসলিম
2066, তিরমিযী 1760, 2809, নাসায়ী
1939, 3778, 5309, ইবনু মাজাহ 2115 আহমাদ
18034, 18061, 18170,
4/ মুসলিম 54, তিরমিযী 2688, আবু দাউদ
5193, ইবনু মাজাহ 68, 3692, আহমাদ 8841,
9416, 9821, 10272, 27314
5/ তিরমিযী 2485, ইবনু মাজাহ 1334, 3251,
দারেমী 1460
6/ মুয়াত্তা মালিক 1793
7/ তিরমিযী 2689, আবু দাউদ 5195, আহমাদ
19446, দারেমী 2460
8/ সহীহুল বুখারী 3117, 3768, 6201, 6249,
6253, মুসলিম 2447, তিরমিযী 2963, 3881,
3882, নাসায়ী 39.52, 39536, 3954, আবু
দাউদ 5232, আহমাদ 32760, 23941, 24053,
25352
9/ সহীহুল বুখারী 94,95, তিরমিযী 2723,
3640, আহমাদ 12809, 12895
10/ মুসলিম 2055, তিরমিযী 2719, আহমাদ
23300, 23310
11/ তিরমিযী 2697, আবু দাউদ 5204, ইবনু
মাজাহ 3701, আহমাদ 27041, দারেমি
2637
12/ আবু দাউদ 5197, তিরমিযী 2694,
আহমাদ 21688, 21776, 21814
13/ তিরমিযী 2721, 2722, আবু দাউদ 5029
14/ সহীহুল বুখারী 6231, 6232, 6234, 31, 32,
34, মুসলিম 2160 তিরমিযী 2703, আবু দাউদ
5198, আহমাদ 27379, 8116, 10246
15/ তিরমিযী 2694, আবু দাউদ 5197,
আহমাদ 21688, 21749, 21776, 21814
16/ সহীহুল বুখারী 757, 793, 6251, 6667,
মুসলি, 397, তিরমিযী 303, নাসায়ী 884,
আবু দাউদ 856, ইবনু মাজাহ 1060, 3695,
আহমাদ 9352
17/ আবু দাউদ 5200
18/ তিরমিযী 2698
19/ সহীহুল বুখারী 6247, মুসলিম 2168,
তিরমিযী 2696, আবু দাউদ 5202, ইবনু
মাজাহ 3700, আহমাদ 11928, 12313, 12485,
12610, দারেমি 2636
20/ সহীহুল বুখারী 938, 939, 941, 5403, 2349,
6248, 6279, মুসলিম 856, তিরমিযী 525, ইবনু
মাজাহ 1099
21/ সহীহুল বুখারী 357, 280, মুসলিম 336,
তিরমিযী 474, 2734, নাসায়ী 225, আবু
দাউদ 1104, 1176, 3171, 4292, 6158, ইবনু
মাজাহ 465, 614, 1323, 1379, আহমাদ 26347,
26356, 26833, মালেক 359, দারেমী 1452,
1453
22/ আবু দাউদ 5204, দারেমি 2637,
তিরমিযী 2697, ইবনু মাজাহ 3701, আহমাদ
27014
23/ মুসলিম 2167, তিরমিযী 2700, আবু
দাউদ 149, আহমাদ 7513, 7562, 8356, 9433,
9603, 104418
24/ সহীহুল বুখারী 6258, 6926, মুসলিম 2163,
তিরমিযী 3301, আবু দাউদ 5207, ইবনু
মাজাহ 3697, আহমাদ 11537,11705,11731,1
2019,12583,12674,13345
25/ সহীহুল বুখালী 5663,4556,6207,6254
মুসলিম 1798, তিরমিযী 2702, আহমাদ
21260
26/ আবু দাউদ 5208, তিরমিযী 2706,
আহমাদ 7793,7102,9372
27/ সহীহুল বুখারী 6245,2062,7353, মুসলিম
2154, আবু দাউদ 5181, আহমাদ
19016,19062,19084, মুওয়াত্তা মালিক 1798
28/ সহীহুল বুখারী 6242,6889,6900 মুসলিম
2157, তিরমিযী 2708, নাসায়ী 4858, আবু
দাউদ 5171, আহমাদ 11848,11644,12017,1
2418,13131
29/ আবু দাউদ 5177, আহমাদ 22617
30/ আবু দাউদ 5176, তিরমিযী 2710,
আহমাদ 1499
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস-পরীক্ষার হলে দেরিঃ পক্ষ বনাম বিপক্ষ

লিখেছেন BM Khalid Hasan, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০৪



বর্তমানের হট টপিক হলো, “১ মিনিট দেরি করে বিসিএস পরীক্ষার হলে ঢুকতে না পেরে পরীক্ষার্থীর স্বপ্ন ভঙ্গ।” প্রচন্ড কান্নারত অবস্থায় তাদের ছবি ও ভিডিও দেখা যাচ্ছে। কারণ সারাজীবন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না।

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:২৮




আমাদের কার কি করা উচিৎ আর কি করা উচিৎ না সেটাই আমারা জানি না। আমাদের দেশে মানুষ জন্ম নেয়ার সাথেই একটি গাছ লাগানো উচিৎ । আর... ...বাকিটুকু পড়ুন

মানবতার কাজে বিশ্বাসে বড় ধাক্কা মিল্টন সমাদ্দার

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ২:১৭


মানুষ মানুষের জন্যে, যুগে যুগে মানুষ মাজুর হয়েছে, মানুষই পাশে দাঁড়িয়েছে। অনেকে কাজের ব্যস্ততায় এবং নিজের সময়ের সীমাবদ্ধতায় মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারে না। তখন তারা সাহায্যের হাত বাড়ান আর্থিক ভাবে।... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

×