ডয়েচে ভেলে'র প্রতিবেদন নতুন কিছু নয় এবং নতুন কিছুই নেই, শুধুমাত্র নতুন করে উপস্থাপনা, বেশ ভাল হয়েছে, তবে আরো তথ্যবহুল হতে পারত।
একজন বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকারী মানবাধিকার কর্মী হিসাবে আমার কর্মজীবনের শুরু ২০০৬ থেকেই থেকেই মনিটরিং, ফ্যাক্টস ফাইন্ডিং ইনভেস্টিগেশন ও ডকুমেন্টেশন করেছি। প্রতিটি ঘটনায় একই তথ্য পেয়েছি- একই নাটক মঞ্চস্থ হওয়ার তথ্য পেয়েছি।
ফ্রান্স প্রেসিডেন্টের সংবর্ধনা
এমনকি মেঘনার বালি চরে ক্রসফায়ার করার জন্য নিয়ে গিয়ে চোখ বেধে, দুহাত পিছু মুড়ে বেধে দৌড়াতে বলার কিছুক্ষনের মধ্যে মোবাইল ফোনে কল আসায় ক্রস ফায়ার থেকে বেচে যাওয়া স্থানীয় ব্যবসায়ীও তার অভিজ্ঞতা বলেছে আমার কাছে!
সেইসব অফিসারদের বিরুদ্ধে মামলা করতে গিয়েও ভয়ে করেনি, যে মামলার ড্রাফট এখনো আমার কাছে।
এমনকি একজন পুলিশ অফিসার ইনফরমালী আমাকে বলেছে যে সে শুধুমাত্র ক্রসফায়ার বেশী করায় পিপিএম পদক পেয়েছে! তাকে কিন্তু যুক্তরাষ্ট্র সরকার ঠিকই ট্রেইনিং দিয়েছে। অথচ স্টেট ডিপার্টমেন্ট এর নিকট নাকি আইন শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর যারা বিনা বিচারে হত্যাকাণ্ডে জড়িত তাদের বিষয়ে নাকি তথ্য আছে।
আর ২০০৪ সাল থেকে এ পর্যন্ত ক্রসফারে হত্যা বেশী করেছে র্যাব নাকি পুলিশ?
আমার কাছে ২০০৪ সাল থেকে ২০০৭ পর্যন্ত ক্রসফায়ারের যে তথ্য আছে (প্রতিটি ঘটনার তারিখ, ভিক্টিমের নাম, ঠিকানা, কোথায় ক্রসফায়ারের ঘটেছে, কোন বাহীনি ক্রসফায়ার করেছে, কোন পত্রিকায় এসেছে ইত্যাদি) তাতে ত দেখছি পুলিশই র্যাব এর চেয়ে বেশী ক্রস ফায়ার করেছে, অর্থাৎ পুলিশের হেফাজতেই মানুষ বেশী বিনা বিচারে হত্যার শিকার হয়েছে।
সুতরাং ডয়েচে ভেলের রিপোর্ট নিয়ে নিয়ে মাতামাতি করার কিছু নেই বা আশাবাদী হওয়ারও কিছু নেই। তক্ষন সরকারের বোধদয় না ঘটবে ততদিন চলতেই ধাকবে মানবাধিকার লংঘন।
অতঃএব, প্রস্তুত থাকুন আরো বেশী খারাপ কিছু দেখার জন্য !!!!!!!
সর্বশেষ এডিট : ০৯ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ১১:২৫