যদিও এখন চলছে করোনাকাল। আর এর অবসান কোথায় কবে আর কখন জানা নেই আমাদের। জানা নেই আরও কবে কাটবে এই কালবেলা কালোস্রোত। তবুও দেখলাম মানুষ যে যার মত করে আনন্দে বেঁচে থাকার পন্থা বেছে নিয়েছে। সবাই যে যতটুকু পেরেছে নিজেদের পরিবারের মানুষজন নিয়ে ঈদের নামাজ পড়েছেন, ঈদের খাবার খেয়েছেন, ঘরবাড়ি সাজিয়েছেনও নিশ্চয় কম বেশি সবাই । আর আমি তো খাজনার থেকে বরাবরই বাজনা বেশি। যেমন খানা খেতে কেমন হলো তা নিয়ে তত মাথা ব্যথা নেই দেখতে এবং সাজিয়ে কেমন হলো তা নিয়েই আমার চিন্তা বেশি। আর যেমনই হোক না কেনো সেই সাজুগুজু নিয়ে নিজেই খুশি। ঐ যে যতক্ষন আছি ভরে দেবে নাকি এ খেলারই ভেলাটাই তাই অকারণে গান গাই। রবিঠাকুর তো বলেই গেছেন আর তাই যতক্ষন শ্বাস আমারও রয়ে যাবে আঁশ। নো মোর বকবক । এবার জানাই কেমন কাটলো আমার ঈদের দিন। অবশ্যই আমার মত করে আনন্দে এবং মহানন্দে।
এই যে আমার রাজকীয় টেবিল ডেকোরেশন- কলাবাগানভাইয়ার মন্তব্য দরকার দরকার...... দেঁখি কোঁথায় খুঁত খুঁজে পাঁয় খুঁতখুঁতে ভাঁইয়ুটা!
এই যে আমার ঈদ উপলক্ষ্যে কেনা স্পেশাল কেক ডিশ। আহা স্পেশাল গোল্ডেন কেক ডিশে স্পেশাল গোল্ডেন হ্যোয়াইটে বানানো কাপকেকস! এটা আলভী শোভন ভাইয়ার জন্য..... ওহ হ্যাঁ ঐ যে দেখা যাচ্ছে না ব্ল্যাক গোল্ডেন ছোট্ট ক্যানভাসে আমার ঈদ মুবারাক লেখাটা? ওটা আমিই এঁকেছি মানে লিখেছি। তাই সেই লেখাটা শাহ আজিজ আর্টিস্ট ভাইয়ার দেখা বিশেষ প্রয়োজন।
এই ট্রাডিশন্যাল পুডিং ্উইথ মাই স্পেশাল পাগলা ডেকো কেক আমার ছবি আপুনিটার জন্য!!!!!! আর সহজ সুন্দর কিন্তু সিম্পলের মাঝে গর্জিয়াস সেমাইটা আমার ঢুকিচেপা আপু বাড়ি নিয়ে যাক। তারপর দরজা বন্ধ করে একা একা খাক!
আর লাল টকটক জর্দা বাটিটা আমার রেগে আগুন হয়ে থাকা অনল ভাইয়ার জন্য গচ্ছিত রহিলো।
এই ফলমুল খানা পিনা আর ফুল ফল গুলো সব আমার আহমেদ জি এস ভাইয়ার জন্য। কেনো?? তার ব্যাখ্যা দিলাম নাহে। ওহ খায়রুলভাইয়াও এর ভাগ পাবে। দুজনে মিলে মিলেমিশে খেও কিন্তু ভাইয়ামনিরা!!!!!!!
এটা হলো কেশ্যুনাট সালাদ। এই কেশ্যুনাট সালাদ বানাতে গিয়ে নাট মার্কা আখেনাটেন ভাইয়াকে মনে না পড়লে কি চলে! তঐ সেই সব খাক।
এখানে আছে কাবাব আর চপ। সব মিলিয়ে মোটমাট দশটা। কাজেই সোহানী আপু, করুনাধারা আপু, জুন আপু, সামু পাগলা আপু, ওমেরা আপু সামিয়া আপু, আনমোনা আপু, কাতিয়াশা আপু, মনিরা আপু সবাই মিলে নয়জন আপু একটা করে খাবে। দরকারে মাঝে দিয়ে কেটে দুইভাগ করে করে খাবে। অনেক বড় করে বানিয়েছি তো তাই। আর নয় জন আপুর সাথে একজন ভাইয়া অপু তানভীরও খাবে কারন আপুদের সাথে তার নাম অপু মিল আছে তো তাই। কি সুন্দর হিসাব আমার দেখলে? শিবরামের অঙ্কের জোর গল্প পড়ে শিখেছি।
মা হাসান ভাইয়া, কামরুজ্জামান ভাইয়া ,শুভ ভাইয়া, সোনাবীজ ভাইয়া, শেরজা ভাইয়া, মরুভূমির জলদস্যু ভাইয়া,রানারব্লগ ভাইয়া
পুলক ঢালী ভাইয়া, নীল আকাশ ভাইয়া, দেশপ্রেমিক বাঙ্গালী ভাইয়া, আলমগীর লিটন, মোস্তাফিজুর রাহমান তমাল ভাইয়া, ঢাবিয়ান ভাইয়া, তাজুল ইসলাম ভাইয়া,নেওয়াজ আলী, বিদ্রোহী ভৃগু ভাইয়া তোমাদের জন্য মধ্যাহ্ন ভোজের আয়োজন। কাচ্চি বিরিয়ানী। হ্যাপী! জানি জানি কেক পুডিং এ পোষাবেনা তোমাদের তাই এই ব্যবস্থা। ৮ টা চেয়ার আছে। দুই সিটিং এ খেও, না হয় ১৬ জন হতে ৮ জন চেয়ারে আর ৮ জন বাগানে বসে হাতে করে বুফে খেও তাও না হলে এক চেয়ারে দুজন ভাগাভাগি করে বসে খেও। চেয়ারগুলো বড় সড় আছে কিন্তু। উফ কি রকম করে সব সলভ করে দিলাম।
স্থিতধী ভাইয়া রাজীব নূর ভাইয়া দুজনের জন্য ঈদের খানায় পোষালোনা আমার তাই ফ্রিজে তুলে রাখা আমার ছাঁদ বাগানে ইফতার পার্টীর জিলাপী আর দই বড়া আনতে হলো। কেনো সেটাও বলছি। একটু ওয়েট করো আগে খানাগুলো আনি।
একদা স্থিতধী ভাইয়ার একটা পোস্ট পড়ে আমার মাথায় জিলাপীর প্যাচ খুলে গেছিলো। তাই এই ব্যাবস্থা। আর জিলাপীর পাশে দইবড়া দেখছোনা সেটা রাজীবভাইয়ার জন্য কারন মাঝে মাঝে ভাইয়ার পোস্ট পড়ে আমার চোখ দই বড়া না না ছানাবড়া হয়ে যায়!!!!!!!
জেসনভাইয়ার জন্য স্টাইলিশ ওয়াফেল স্যান্ডুইচ। হাজার হোক ভাইয়াটা আমার স্টাইলিশ মানুষ। আর সাজিদ পিচ্চুভাইয়া নুডুলসটা খেও। একা একা কিন্তু খাবেনা নুরুভাইয়াকে সাথে নিয়ে খাবে।
সাড়ে চুয়াত্তর ভাইয়া, মাইদুল ভাইয়া, ডঃ এম এ আলীভাইয়া,কাওসার ভাইয়া, উম্মে সায়মা এত দেরী করলে কেনো আসতে? ওরা তো সব দুপুরেই সাবাড় করে ফেললো। এখন খাও যা বেঁচে ছিলো তাই দিয়েই বিকালের খানা। খুব সুন্দর করে সাজিয়ে দিয়েছি কিন্তুক!
কাভা মডুভাইয়া নাকি রোজা রেখেও মোটু কোমাতে পারছে না তাই ভুরিভোজে না গিয়ে তার জন্য চিনিছাড়া তরমুজের শরবৎ আর কাঁচা আমের শরবৎও। চিন্তা করোনা ভাইয়া এতে ফ্যাট কাটে নাকি শুনেছি। রোজ এক গ্লাস করে পাঠিয়ে দেবো আচ্ছা?
ভুয়া মফিজ ভাইয়া জীবনে অনেক কাচ্চি রেঁধেছো এইবার খাও স্পেশাল শিককাবাব আর নান যেন দরকারে শিকগুলো আগুনে পুড়িয়ে ছ্যাকা দিতে পারো। আমাকে না কিন্তুক। মানে দরকার হইলেক
আর এটা আমার মলাভাইয়ার জন্য কুমিল্লার স্পেশাল রসমালাই ......
সেলিমভাইয়া জীবনে কত লালনীল কাব্যের ফুল ফুটালো তাই তার জন্য রেড টেবিল আয়োজন। তবে একাই খেওনা বাবুদেরকে আর ভাবীকে নিয়ে খেও...
এই ফুল আমার বাসায় কিছুতেই ভুলিয়ে ভালিয়েও না আসতে চাওয়া বিপ্লবভাইয়ার জন্য! কারণ সে আমার মত ডাকিনি যোগিনীর ছলনায় ভুলবে না ভুলবেনা তাই খানাও খাইবেক না আর তাই তার জন্য শুধুই ফুল। ফুল তো খাওয়া যায় না তাই নিরাপদ।
ইসিয়াক ভাইয়া দেখো তোমার জন্য আমার ২ প্লেট জাপানিজ স্পেশাল ফ্রায়েড রাইস খানা খেয়ে আবার ইসসিরে ইয়াক ইয়াক করে বমি করে ফেলো না যেন!!!!! তাইলে কিন্তু
নীলুমনি, মিররমনি, রামিসা রোজামনি তোমাদের জন্য আমার ঈদের জামা
চাঁদগাজী ভাইয়ার জন্য নো খানা পিনা অনলি এই অঙ্কন খানা!
যাইহোক অন্যেরা অনিয়মিত থাকায় খানা পিনা বানিয়ে অপচয় করিনি। যাইহোক তারা আসলে এই যে বেঁচে যাওয়া খাবার থেকে ভাগাভাগি করে খেয়ে নেবে ওকে?????????????
নিয়মিত অনিয়মিত সবাইকে ভালোবাসা ভালোবাসা। সবাই ভালো থেকো। কোভিডের সাথে যুদ্ধ জয় হতেই হবে হতেই হবে। আর নয় কোভিডকালীন ঈদ সংখ্যা। নেক্সট ইয়ার বিশুদ্ধ বাতাসে ঈদের আনন্দ পেতে চাই.......