টানা দেড় বছর সোশাল মিডিয়া থেকে দূরে ছিলাম। বলতে গেলে, ফেসবুক আইডি সব সময় অফ থাকতো, মেসেঞ্জার ব্যবহার করতাম প্রয়োজনে। এর মাঝে করোনা এলো, চাকরি ও নানা কাজে ব্যস্ততার সাথে করোনার কারনে আরেকটু মানসিক চাপ তৈরি হলো। আরও ছয় মাস ফেসবুক বন্ধ করে রাখলাম।
বন্ধু বান্ধব বলে সব ফেসবুকে, তুমি নাই কেন ? আমি নানা অজুহাত দেই। মার্কের চৌদ্দগোষ্টী উদ্ধার করি।
সবই ভালো চলছিল। কিন্তু বাইরে আসার পর একটা একাকীত্ব থেকে আবার ফেসবুক চালু করে কোথায় কি হলো দেখতে বসলাম। কয়েকদিন পর কিশোর কুমারের গানটিই মগজে খেলতে লাগলো সারাদিন। পৃথিবী বদলে গেছে, যা দেখি নতুন লাগে
শুধু মাত্র 'উই' এর নারী উদ্যোক্তারাই নন, বিভিন্ন পেশাজীবীর মানুষ এখন ফেসবুকে উদ্যোক্তা। যেমন আমার এক বন্ধু ৪২ বিসিএসের ভাইভার জন্য ফেসবুক কোচিং এর ভাইভার গ্রুপগুলোয় যুক্ত থাকার সাথে সাথে এখন পেশাজীবীদের ই কমার্স গ্রুপে ওর আম বাগানকে প্রমোট করছে। গত বছর করোনার মধ্যেও নাকি বেশ ভালো প্রফিট করেছিল। আবার, এক বন্ধু হস্পিটালের রোস্টার ডিউটি ছেড়ে দইয়ের ব্যবসা নিয়ে লেগে পড়লো আর পোস্ট গ্রাজুয়েশনের এন্ট্রান্সের পড়াশুনা শুরু করলো। কিছু বন্ধু্র মাধ্যমে আবার ফেসবুকের নানা ডেটিং গ্রুপের কথা জানলাম। আজকেই খুব চমৎকার একটা গ্রুপে ঢুকলাম যেখানে বাবা মা বা আত্নীয় স্বজন বিয়ের জন্য নিজের কন্যা বা পুত্রের ছবি দিয়ে পাত্র পাত্রী খুঁজছেন। এক ভদ্রলোককে পেলাম যদি ফেসবুক কেন্দ্রিক ডায়েট প্ল্যান ও এক্সারসাইজ প্রমোট করেন। এরোবিক্সের জন্য ফিটনেস সেন্টার খুলে বসেছেন।
বাসার ছোটদের পড়াশুনাও ফেসবুকে হচ্ছে। নিজের ক্লাসের গ্রুপে টিচাররা লাইভে আসছেন। ক্লাস নিচ্ছেন। এছাড়া এখন নানা বিষয়ে আলোচনার জন্য প্রতিদিন শতটা লাইভ হচ্ছেই।
আমার পৃথিবীর কিছু অংশ বদলে গেছে, নতুন লাগছে অনেক কিছু। মানুষ এখন আনুষ্ঠানিকভাবেই বাস্তব ও ভার্চুয়ালে জীবন যাপন করছে। এবং সামাজিক ও আর্থিক দিক দিয়ে দুটো থেকেই সুবিধা নিচ্ছে।
সর্বশেষ এডিট : ১৫ ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:২৯