somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

সফল প্রেমের ব্যর্থ পরিনতি - গল্প

১১ ই আগস্ট, ২০১০ রাত ১:৫৬
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

এই গল্পের নামগুলো কাল্পনিক । কাহিনি সত্য । কারও নামের সাথে মিলে গেলে তা অনিচ্ছাকৃত ।


আমি সাইফুল । অনার্স ফার্স্ট ইয়ার । আমার চারিত্রিক বৈশিষ্টগুলো হল, ভয়াবহ অমিতব্যয়ী, প্রচন্ড কল্পনাপ্রবণ, অতি powerful দ্রব (সবজায়গায় দ্রবীভুত হতে পারি), campus এর familiar face । আমার কল্পনাশক্তি এতটাই প্রবল যে আজও আকাশে উল্কাপাত দেখলে wish করি (অসম্ভব জেনেও আজও সেই পুরানো wish টাই করি)।রেগে গেলে ঘুষি মেরে জানালা বা আয়নার কাঁচ ভাঙ্গি ।

ক্লাসের একটি মেয়ের সাথে খুবই ভাল সম্পর্ক আমার । যথেষ্ট সুন্দরী । নাম সোহা (সোহা আলী খান ভাইবেন না আবার)। প্রথম থেকেই ওকে খুব ভাল লাগত । ভাল লাগা কখন যে ভালোবাসায় convert হয়ে যায়, টের পাইনি । ওর সাথে কোন এক অদ্ভুৎ কারনে এক রহস্যময় সম্পর্ক গড়ে ওঠে । পুরো ক্যাম্পাসে আমরা দু’জন গাবের আঠার মত থাকতাম । আমাদের সম্পর্ক আরও গভীর হয় একটি দুঃখজনক কারনে । দুঃখজনক হলেও তা আমার জন্য শাপে বর হয়ে দাঁড়ায় । সোহার বয়ফ্রেন্ড ওকে ছেড়ে দিয়েছিল । মানষিকভাবে বিপর্যস্ত ছিল বেচারী । সেসময় আমিই ওকে অনেক mental support দেই । সেই থেকে শুরু ।

দুজন অধিকাংশ সময় একসাথে কাটাতাম । ক্লাসে, ল্যাবে, খেতে যাওয়ার সময় । এক ঘন্টা journey করে ওকে বাসায় পৌছে দিতাম শুধু একটু বেশী সময় একসাথে থাকার লোভে । দু’জন যে কখন দু’জনকে ভালোবেসে ফেললাম, আমরা কেউ বুঝতে পারলাম না । দু’জনই বুঝি, কিন্তু কেউই কাউকে বলি না । আমার মতে, বলার কি দরকার, feelings টাই আসল । কিন্তু আমার বন্ধুরা জোরাজুরি করছিল, বলার জন্য । বললে at least সে ভরসা পাবে যে আমি আছি তার সাথে, আর থাকব ।

অবশেষে বললাম । 4th year এ উঠে । দিনটাও কাকতালীয়ভাবে ছিল ১৪ই ফেব্রুয়ারি । ভালোবাসা দিবস । ভালোবাসা দিবসেই আমাদের ভালোবাসা official হল । ভার্সিটিতে অনেকেই আমাদের একসাথে দেখে প্রথমেই বলত, MADE FOR EACH OTHER । আসলে আমাদের দুজনকে পাশাপাশি ভালই মানাতো ।

সমস্যা ছিল অন্য জায়গায় । আমাদের family . আমাদের ব্যপার জানার পর দুজনের কারও বাসায়ই সম্পর্কটা মেনে নেয়নি । ওর ফ্যামিলির যুক্তি, আমাদের গ্রামের বাড়ি বরিশাল । আর আমার ফ্যামিলির যুক্তি, ওকে দেখতে নাকি আমার চেয়ে বয়স বেশী লাগে । সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, ওর বিয়ে ঠিক হয়ে আছে এক অতি ধনী ছেলের সাথে । f**king richman . তারপরও আমরা আশা ছাড়িনি । কিন্তু একসময় তাও ভেঙ্গে যায় ।

আমাদের তখন সেমিস্টার ফাইনাল পরীক্ষা চলছিল । তখন ও একদিন আমার এক ফ্রেন্ডকে জানায়, ওর engagement হয়ে গেছে । আমাকে জানায়নি । জানিয়েছে পরে । আমার ফ্রেন্ডদের ভাষ্য, ও যদি আগে জানাতো তাহলে কিছু হয়ত করা যেত । at least চেষ্টা করা যেত । কিন্তু ও সেই সুযোগ আমাকে দেয়নি । পরীক্ষার পর ও আমাকে জানায় ও আমার বন্ধুদের মিথ্যা বলেছে । আসলে ওর engagement হয়নি । বরং, বিয়ে হয়ে গেছে ।শুনে আমার মাথায় যেন আকাশ ভেঙ্গে পড়ল । আমি কি করব ? কই যাব ? পুরোপুরি ভেঙ্গে পড়লাম আমি । কাঁদতে কাঁদতে এক সময় চোখের পানিও শেষ করে ফেললাম । ক্যাম্পাসে তাও আমরা একসাথে থাকতাম । হয়ত এজন্য যে যতটুকু পারি একসাথে সময় কাটিয়ে নিতে । আর কয়েক মাস পরই graduation শেষ হয়ে যাবে ।তখন আমি হয়ত চাকরির জন্য জুতার তলা ক্ষয় করব, আর সোহা বসে সেই f**king richman এর ঘরের শোভা বাড়াবে । সব শেষ হয়ে যাওয়ার পরও আমাদের ভালোবাসা কমেনি একটুও । আমার বন্ধুরা সবাই ওকে দোষ দিত । হ্যা, ওর দোষ ছিল, ও আমাকে বিয়ের আগে জানাতে পারত চাইলে । আর ও সবচেয়ে খারাপ কাজ করেছে বিয়ের পরও আমার সাথে সম্পর্ক রেখে । হয়ত, আমাকে সম্পূর্ণ ভাঙ্গার পরও গুড়ো করে পাউডার বানাবার শখ ছিল । আমিও ওর হাতে শেষবারের মত পাউডার হতেও রাজি ছিলাম । আস্তে আস্তে ওর সাথে কথাবার্তা কমে গেল ।এক সময় বন্ধও হয়ে গেল ।

ফাইনাল শেষে চলে গেল সোহা । আর আমি হলাম দেবদাস । নিজেকে সামলাবার চেষ্টা করছিলাম । একটা কোম্পানিতে ঢুকলাম । এখনও সেখানেই আছি । ও ভাল আছে , সংসার করছে । এখন ভালই আছি । তবে আজও আকাশের দিকে তাকিয়ে ওকে খুঁজি । কোন উল্কাপিন্ড ঝরে পড়তে দেখলে আজও নিজের অজান্তেই ওর নামটাই মুখ দিয়ে বের হয়ে যায় । চাই যে ও যেখানেই থাকুক, ভাল থাকুক । তাও মনে বারবার প্রশ্ন জাগে “আমিই কেন? আমিই কেন?”

০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

সাজানো ভোটে বিএনপিকে সেনাবাহিনী আর আমলারা ক্ষমতায় আনতেছে। ভোট তো কেবল লোক দেখানো আনুষ্ঠানিকতা মাত্র।

লিখেছেন তানভির জুমার, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৮:২২



১০০% নিশ্চিত বিএনপি ক্ষমতায় আসছে, এবং আওয়ামী স্টাইলে ক্ষমতা চালাবে। সন্ত্রাসী লীগকে এই বিএনপিই আবার ফিরিয়ে আনবে।সেনাবাহিনী আর আমলাদের সাথে ডিল কমপ্লিট। সহসাই এই দেশে ন্যায়-ইনসাফ ফিরবে না। লুটপাট... ...বাকিটুকু পড়ুন

×