তারপর?তারপর দিন যায়,অনেক কিছুই কমে গেলো,থেমে গেলো,কিন্তু কমলো না ধর্ষণ।দিন দিন ধর্ষনের পরিমান বেড়েই চলতে লাগলো।বিবাহিত মহিলা,যুবতী,বৃদ্ধা ,এমনকি ধর্ষনের ওই নির্মম ধাবা থেকে রেহাই পায়নি শিশু বাচ্চারাও।
থানা পুলিশ কতো কিছুই না হয়,কিন্তু এই ধর্ষনের মতো জঘন্য কুকর্ম থামেনি,সমাজ থেকে দূর হয়নি।দিন দিন বেড়েই যেতে লাগলো।
মানুষ প্রতিবাদ করতো,কিন্তু এই প্রতিবাদকে অনলাইন বা ফেসবুক প্রতিবাদ বললেই ভালো হবে।অনলাইনে ঝড় উঠতো,
তারপর?তারপর দু-একদিন পর সেই প্রতিবাদও থেমে যেতো।
জনগনের বন্ধু নামক ওই পুলিশ বাহিনী দিয়েও এই জঘন্য কুকর্ম টা থামানো সম্ভব হয়নি ।হয়তো বড়োজোর কিছুদিনের জেল হতো,জরিমানা হতো।
বেশিরভাগ ক্ষেত্রে তাও হতো না।ধর্ষক টাকা পয়সা দিয়ে বেচে যেতো।
মানুষ আর কতো সহ্য করবে? সহ্যের বাঁধ যখন ভাঙতে লাগলো,ঠিক তখনি চলে আসলো 'হারকিউলিস'।
হারকিউলিস?? ইংরেজি মুভির সেই হারকিউলিস??-না,এই হারকিউলিস সেই হারকিউলিস না।এই হারকিউলিস ইংরেজি মুভির হারকিউলিস না।এটা রিয়েল হারকিউলিস,এটা বাংলার হারকিউলিস,ধর্ষকদের জন্যে যমদূত।
এই সমাজে যেসব ধর্ষকদের শাস্তি হতো না,হারকিউলিস সেইসব ধর্ষকদের শাস্তি দেয়।আর সেই শাস্তি হলো মৃত্যুদন্ড।
এইতো সেদিন এক ধর্ষককে তার পাপ্য শাস্তি দিয়ে তার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে এক চিরকুট 'আমি ধর্ষক'।
আবার আজকেই ঝালকাঠিতে এক ধর্ষককে তার পাপ্য শাস্তি মৃত্যুদন্ড দিয়ে তার গলায় ঝুলিয়ে দিয়েছে 'ধর্ষকের পরিণতি ইহাই। ধর্ষকেরা সাবধান— হারকিউলিস।’
বাংলার আইন যা করতে পা্রেনি না,তা করে দেখাচ্ছে এই হারকিউলিস।আইনের চোখে হয়তো সে অপরাধী,কিন্তু সমাজের চোখে,ধর্ষিতার চোখে হারকিউলিস একটা হিরো,রিয়েল হারকিউলিস।
ধর্ষকেরা সাবধান।
"মানুষের আইন হাতে তুলে নেয়া খারাপ কিছুরই ইঙ্গিত দেয়।তবে খারাপ থেকে যদি ভালো কিছু হয় তাহলে খারাপ ই ভালো"।
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা ফেব্রুয়ারি, ২০১৯ সন্ধ্যা ৭:৪১