পাবনা শহরের পপুলার জেনারেল হাসপাতালে গত বৃহসপতিবার রাতে দুই বছরের একটি ছেলে শিশুর পেটে অপারেশন করে আরেকটি ছেলে শিশুর মৃতদেহ বের করা হয়েছে। মৃত শিশুটির ওজন ৮০০ গ্রাম। এ খবর ছড়িয়ে পড়লে শুক্রবার সকাল থেকে শিশুটিকে দেখার জন্য হাজার হাজার নারী-পুরুষ ওই হাসপাতালে ভিড় জমায়। অপারেশন করা শিশুটি সাঁথিয়া উপজেলার বনগ্রামের মুনছুর আলীর একমাত্র পুত্র নাছিম (২)। শিশু নাছিমের মার নাম নাজমা খাতুন।
শিশু নাছিমের মা নাজমা জানান, জন্মের পর থেকেই তার ছেলের পেটটি একটু ফোলা মনে হচ্ছিল। ৪০ দিন পর ডাক্তার দেখালে ডাক্তার তার পেটে টিউমার হয়েছে বলে জানান এবং বলেন, তার পেট এত ছোট বয়সে অপারেশন করা ঠিক হবে না। ডাক্তারের এই পরামর্শে কেটে যায় দুই বছর। শিশুটির মা আরো জানান, এই টিউমার বয়সের সাথে সাথে দিন দিন বড় হতে থাকে এবং পেটটি বেশ ফুলে ওঠে। এতে আমরা ভীত হয়ে পড়ি। কিন্তু শিশুটি এতে কোনো ব্যথা অনুভব করত না। বৃহসপতিবার রাতে পাবনা শহরের পপুলার জেনারেল হাসপাতালে শিশু নাছিমকে ভর্তি করা হয় এবং রাতেই তার অপারেশন সম্পন্ন করা হয়। অপারেশন করেন ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ও বর্তমান উত্তরা আধুনিক মেডিক্যাল কলেজের সার্জারি বিভাগের প্রধান প্রফেসর ডা. মোঃ ওমর আলী। এ ব্যাপারে ডা. ওমর আলী জানান, এই ঘটনা খুব অস্বাভাবিক নয়। এটাকে ইংরেজিতে বলা হয় ফিটার-ইন-ফিউটো (বাচ্চার মধ্যে বাচ্চা)। তিনি জানান, শিশুটির পেট থেকে উদ্ধারকৃত বাচ্চাটি মূলত জমজ ভাই। মায়ের গর্ভাশয়ে দু’টি সন্তান জন্ম নেয়ার পর একটি বাচ্চা পুষ্টি বেশি পাওয়ার কারণে অপরটিকে ঢেকে ফেলে। ফলে শিশুটির পেটে বাচ্চাটি বড় হতে থাকে। শিশুটির মাথা, পেট, হাত-পা ও লিঙ্গ সপষ্ট বুঝা যাচ্ছে। এক কথায় অবিকল একটি মানুষ। শিশুটি মৃত এবং ওজন প্রায় ৮০০ গ্রাম। অপারেশনের মাধ্যমে বের করা বাচ্চাটিকে দেখার জন্য হাজার হাজার মানুষ ভীড় জমায়। ঘটনাটি পাবনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি করেছে।
সূত্রঃ Click This Link
সর্বশেষ এডিট : ১৪ ই সেপ্টেম্বর, ২০০৯ সকাল ৯:০০